গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় একদিনে নিহত ৮১ জন

- আপডেট সময় ১১:১৬:১৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫
- / 6
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) টানা বিমান হামলায় গাজা উপত্যকায় সোমবার সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন আরও ৮১ জন ফিলিস্তিনি। এ নিয়ে অক্টোবর ২০২৩ থেকে শুরু হওয়া অভিযানে মোট প্রাণহানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৩ হাজার ৯৭৭ জনে।
মঙ্গলবার (২৭ মে) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের বরাতে এই ভয়াবহ প্রাণহানির তথ্য পাওয়া গেছে। একইসঙ্গে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)-র এক মুখপাত্র উদ্বেগ জানিয়ে বলেন, “গাজার মানুষ চরম কষ্টে আছে। হাসপাতালগুলোতে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জামের মারাত্মক ঘাটতি রয়েছে। ইসরায়েলি হামলার তীব্রতা বাড়ার পাশাপাশি সাহায্য পৌঁছাতেও বাধা দিচ্ছে তারা।”
অন্যদিকে, মঙ্গলবার সকালে অধিকৃত পশ্চিম তীরের জেরিকো শহরের আল-আরব পাড়ায় অভিযান চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান ২০ বছর বয়সী ফিলিস্তিনি যুবক আহমেদ জালাইতা।
গাজার পাশাপাশি পশ্চিম তীরেও চলমান অভিযানে নিত্যদিন ভাঙছে ফিলিস্তিনিদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। স্কুল, হাসপাতাল, খাবার সরবরাহ—সব কিছুতেই নেমে এসেছে চরম সংকট। নারী ও শিশুরাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মহল একাধিকবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর প্রতি সামরিক অভিযান বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে। কিন্তু তাতে কর্ণপাত করেনি তেলআবিব। নেতানিয়াহু স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, হামাসকে সম্পূর্ণরূপে নিশ্চিহ্ন না করা পর্যন্ত তাদের অভিযান চলবে।
২০২৩ সালের অক্টোবরে শুরু হওয়া এই সামরিক অভিযানে এখন পর্যন্ত আহত হয়েছেন ১ লাখ ২২ হাজার ৯৬৬ জন ফিলিস্তিনি। নিহত ও আহতদের মধ্যে অন্তত ৫৬ শতাংশই নারী ও শিশু, যা পুরো বিশ্বে মানবিক সংকটের ভয়াবহতা আরও স্পষ্ট করে তুলছে।
গাজা ও পশ্চিম তীরে জীবনযাত্রা এখন মৃত্যুভয়ে জর্জরিত। চিকিৎসা, খাদ্য ও নিরাপত্তার মৌলিক চাহিদাগুলো প্রতিনিয়ত ব্যাহত হচ্ছে। এ অবস্থায় দ্রুত যুদ্ধবিরতির দাবি জানাচ্ছেন বিশ্ববাসী। কিন্তু বাস্তবে তা এখনও অনেক দূরের স্বপ্ন হয়ে আছে।