ঢাকা ০৬:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫, ৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আন্দোলনের মুখে সরিয়ে দেয়া হলো শিক্ষা সচিবকে পাঁচবিবিতে সরকারী নালা বন্ধ করে বাড়ী নির্মাণ, পানি বন্দি ১৫ পরিবার মেয়েকে বাঁচাতে ছুটে গিয়ে আগুনে দগ্ধ মা রজনী, ফিরলেন লাশ হয়ে প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না দলীয় প্রধান গোপালগঞ্জ কারাগার পরিদর্শনে দুই উপদেষ্টা উত্তরা ট্র্যাজেডি: বিমান বিধ্বস্তে ২৫ শিশুসহ ২৭ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে প্রথমবারের মতো ভারতীয় আগরবাতি আমদানি ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে চেয়েছিলেন ক্যাপ্টেন তৌকির, লড়েছেন শেষ পর্যন্ত উত্তরায় প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত: হতাহতের খবর এখনও মেলেনি ইতালির প্রধানমন্ত্রী ঢাকায় আসছেন: অভিবাসন বিষয়ক বৈঠক হবে বিশেষ গুরুত্বের সাথে

চলন্ত বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানি: সিরাজগঞ্জ থেকে ৩ ডাকাত গ্রেপ্তার

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:২১:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫
  • / 71

ছবি সংগৃহীত

 

 

ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে চলন্ত বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানির ঘটনায় তিনজন ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (২৫ মে) রাতে সিরাজগঞ্জ সদর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

সোমবার (২৬ মে) সকালে টাঙ্গাইল পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান। গ্রেপ্তার তিনজন হলেন—সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার রহিমপুর গ্রামের সানোয়ার হোসেনের ছেলে সাব্বির হোসেন (৩৪), আব্দুল হামিদ সরকারের ছেলে সিহাব সরকার (২৭), ও মৃত ইমান আলী শেখের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৩৭)।

পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারদের কাছ থেকে লুট হওয়া নগদ অর্থ, স্বর্ণালঙ্কার এবং ১৯টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।

পুলিশ সুপার জানান, গত ২০ মে মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে ঢাকার আবদুল্লাহপুর থেকে আল ইমরান পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস রংপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। পথে সাভারের নরসিংহপুর, বাইপাইল ও আশুলিয়া এলাকা থেকে আরও কিছু যাত্রী বাসে ওঠেন।

বাসটিতে মোট ৩৮ জন যাত্রী ছিলেন, যাদের মধ্যে ১০ জন নারী। রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাসটি টাঙ্গাইলের কালিহাতীর এলেঙ্গা অতিক্রম করে যমুনা সেতুর পূর্ব প্রান্তে পৌঁছায়। তখন যাত্রীবেশে থাকা ৮-১০ জন ডাকাত হঠাৎ দেশীয় অস্ত্রের মুখে চালকের নিয়ন্ত্রণ নেয় এবং বাসটি থামিয়ে যাত্রীদের ওপর হামলা চালায়।

ডাকাতরা একে একে সব যাত্রীদের তল্লাশি করে মোবাইল ফোন, স্বর্ণালঙ্কার, নগদ টাকা ও অন্যান্য মূল্যবান সামগ্রী ছিনিয়ে নেয়। পরে বাসটি নিয়ন্ত্রণে রেখে তারা সাভারের চন্দ্রা ও আশুলিয়া এলাকায় কয়েকবার ঘুরিয়ে নিয়ে যায় এবং একপর্যায়ে বাসটি রেখে যায় টাঙ্গাইলের রাবনা বাইপাস এলাকায়।

এ ঘটনায় নির্যাতিত যাত্রীদের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করে এবং প্রযুক্তির সহায়তায় ডাকাতদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করে। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

চলন্ত বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানি: সিরাজগঞ্জ থেকে ৩ ডাকাত গ্রেপ্তার

আপডেট সময় ০৪:২১:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫

 

 

ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে চলন্ত বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানির ঘটনায় তিনজন ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (২৫ মে) রাতে সিরাজগঞ্জ সদর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

সোমবার (২৬ মে) সকালে টাঙ্গাইল পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান। গ্রেপ্তার তিনজন হলেন—সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার রহিমপুর গ্রামের সানোয়ার হোসেনের ছেলে সাব্বির হোসেন (৩৪), আব্দুল হামিদ সরকারের ছেলে সিহাব সরকার (২৭), ও মৃত ইমান আলী শেখের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৩৭)।

পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারদের কাছ থেকে লুট হওয়া নগদ অর্থ, স্বর্ণালঙ্কার এবং ১৯টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।

পুলিশ সুপার জানান, গত ২০ মে মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে ঢাকার আবদুল্লাহপুর থেকে আল ইমরান পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস রংপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। পথে সাভারের নরসিংহপুর, বাইপাইল ও আশুলিয়া এলাকা থেকে আরও কিছু যাত্রী বাসে ওঠেন।

বাসটিতে মোট ৩৮ জন যাত্রী ছিলেন, যাদের মধ্যে ১০ জন নারী। রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাসটি টাঙ্গাইলের কালিহাতীর এলেঙ্গা অতিক্রম করে যমুনা সেতুর পূর্ব প্রান্তে পৌঁছায়। তখন যাত্রীবেশে থাকা ৮-১০ জন ডাকাত হঠাৎ দেশীয় অস্ত্রের মুখে চালকের নিয়ন্ত্রণ নেয় এবং বাসটি থামিয়ে যাত্রীদের ওপর হামলা চালায়।

ডাকাতরা একে একে সব যাত্রীদের তল্লাশি করে মোবাইল ফোন, স্বর্ণালঙ্কার, নগদ টাকা ও অন্যান্য মূল্যবান সামগ্রী ছিনিয়ে নেয়। পরে বাসটি নিয়ন্ত্রণে রেখে তারা সাভারের চন্দ্রা ও আশুলিয়া এলাকায় কয়েকবার ঘুরিয়ে নিয়ে যায় এবং একপর্যায়ে বাসটি রেখে যায় টাঙ্গাইলের রাবনা বাইপাস এলাকায়।

এ ঘটনায় নির্যাতিত যাত্রীদের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করে এবং প্রযুক্তির সহায়তায় ডাকাতদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করে। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।