০৬:৩২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোট শেখ হাসিনার মামলার রায় ১৭ নভেম্বর ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রকে গোয়েন্দা তথ্য দেয়া বন্ধ করলো যুক্তরাজ্য এই সপ্তাহে মাঠে নামছে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা, জানুন কখন কোথায় খেলবে দুই বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অ্যাঙ্গোলার স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বিশেষ অতিথি মেসি ও আর্জেন্টিনা দল ইউক্রেনে রুশ ড্রোন আটকাতে ফ্রান্সের পুরনো মাছ ধরার জাল ব্যবহৃত হচ্ছে মায়েরা কাজ করবে ৫ ঘণ্টা, বাকি ৩ ঘণ্টার বেতন দেবে সরকার: জামায়াত আমির পাকিস্তানে আদালতের বাইরে বিস্ফোরণ, নিহত ১২ সশস্ত্র বাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা বাড়ল বিবিসির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থার হুমকি ট্রাম্পের

চলন্ত বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানি: সিরাজগঞ্জ থেকে ৩ ডাকাত গ্রেপ্তার

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:২১:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫
  • / 188

ছবি সংগৃহীত

 

 

ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে চলন্ত বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানির ঘটনায় তিনজন ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (২৫ মে) রাতে সিরাজগঞ্জ সদর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (২৬ মে) সকালে টাঙ্গাইল পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান। গ্রেপ্তার তিনজন হলেন—সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার রহিমপুর গ্রামের সানোয়ার হোসেনের ছেলে সাব্বির হোসেন (৩৪), আব্দুল হামিদ সরকারের ছেলে সিহাব সরকার (২৭), ও মৃত ইমান আলী শেখের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৩৭)।

পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারদের কাছ থেকে লুট হওয়া নগদ অর্থ, স্বর্ণালঙ্কার এবং ১৯টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।

পুলিশ সুপার জানান, গত ২০ মে মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে ঢাকার আবদুল্লাহপুর থেকে আল ইমরান পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস রংপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। পথে সাভারের নরসিংহপুর, বাইপাইল ও আশুলিয়া এলাকা থেকে আরও কিছু যাত্রী বাসে ওঠেন।

বাসটিতে মোট ৩৮ জন যাত্রী ছিলেন, যাদের মধ্যে ১০ জন নারী। রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাসটি টাঙ্গাইলের কালিহাতীর এলেঙ্গা অতিক্রম করে যমুনা সেতুর পূর্ব প্রান্তে পৌঁছায়। তখন যাত্রীবেশে থাকা ৮-১০ জন ডাকাত হঠাৎ দেশীয় অস্ত্রের মুখে চালকের নিয়ন্ত্রণ নেয় এবং বাসটি থামিয়ে যাত্রীদের ওপর হামলা চালায়।

ডাকাতরা একে একে সব যাত্রীদের তল্লাশি করে মোবাইল ফোন, স্বর্ণালঙ্কার, নগদ টাকা ও অন্যান্য মূল্যবান সামগ্রী ছিনিয়ে নেয়। পরে বাসটি নিয়ন্ত্রণে রেখে তারা সাভারের চন্দ্রা ও আশুলিয়া এলাকায় কয়েকবার ঘুরিয়ে নিয়ে যায় এবং একপর্যায়ে বাসটি রেখে যায় টাঙ্গাইলের রাবনা বাইপাস এলাকায়।

এ ঘটনায় নির্যাতিত যাত্রীদের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করে এবং প্রযুক্তির সহায়তায় ডাকাতদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করে। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

চলন্ত বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানি: সিরাজগঞ্জ থেকে ৩ ডাকাত গ্রেপ্তার

আপডেট সময় ০৪:২১:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫

 

 

ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে চলন্ত বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানির ঘটনায় তিনজন ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (২৫ মে) রাতে সিরাজগঞ্জ সদর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (২৬ মে) সকালে টাঙ্গাইল পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান। গ্রেপ্তার তিনজন হলেন—সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার রহিমপুর গ্রামের সানোয়ার হোসেনের ছেলে সাব্বির হোসেন (৩৪), আব্দুল হামিদ সরকারের ছেলে সিহাব সরকার (২৭), ও মৃত ইমান আলী শেখের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৩৭)।

পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারদের কাছ থেকে লুট হওয়া নগদ অর্থ, স্বর্ণালঙ্কার এবং ১৯টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।

পুলিশ সুপার জানান, গত ২০ মে মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে ঢাকার আবদুল্লাহপুর থেকে আল ইমরান পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস রংপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। পথে সাভারের নরসিংহপুর, বাইপাইল ও আশুলিয়া এলাকা থেকে আরও কিছু যাত্রী বাসে ওঠেন।

বাসটিতে মোট ৩৮ জন যাত্রী ছিলেন, যাদের মধ্যে ১০ জন নারী। রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাসটি টাঙ্গাইলের কালিহাতীর এলেঙ্গা অতিক্রম করে যমুনা সেতুর পূর্ব প্রান্তে পৌঁছায়। তখন যাত্রীবেশে থাকা ৮-১০ জন ডাকাত হঠাৎ দেশীয় অস্ত্রের মুখে চালকের নিয়ন্ত্রণ নেয় এবং বাসটি থামিয়ে যাত্রীদের ওপর হামলা চালায়।

ডাকাতরা একে একে সব যাত্রীদের তল্লাশি করে মোবাইল ফোন, স্বর্ণালঙ্কার, নগদ টাকা ও অন্যান্য মূল্যবান সামগ্রী ছিনিয়ে নেয়। পরে বাসটি নিয়ন্ত্রণে রেখে তারা সাভারের চন্দ্রা ও আশুলিয়া এলাকায় কয়েকবার ঘুরিয়ে নিয়ে যায় এবং একপর্যায়ে বাসটি রেখে যায় টাঙ্গাইলের রাবনা বাইপাস এলাকায়।

এ ঘটনায় নির্যাতিত যাত্রীদের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করে এবং প্রযুক্তির সহায়তায় ডাকাতদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করে। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।