রুশ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলায় ইউক্রেনে নিহত ১২

- আপডেট সময় ০২:১২:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫
- / 16
রুশ ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইউক্রেনজুড়ে এক রাতেই প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১২ জন। আহত হয়েছেন আরও বহু ইউক্রেনীয়। দেশটির বিভিন্ন শহরে এই হামলার ঘটনা ঘটে শনিবার দিবাগত রাত থেকে রোববার ভোর পর্যন্ত।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, ২৫ মে ভোরে কিয়েভসহ ইউক্রেনের একাধিক শহরে ব্যাপক হামলা চালায় রুশ বাহিনী। ইউক্রেনের বিমান বাহিনী জানায়, তারা স্থানীয় সময় রাত ৮টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত ৪৫টি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ও ২৬৬টি ড্রোন ভূপাতিত করতে সক্ষম হয়েছে।
কিয়েভের আঞ্চলিক প্রশাসন ও জরুরি পরিষেবা সংস্থা জানিয়েছে, রাজধানীর আশপাশের দুটি ছোট শহরে তিনজন নিহত হয়েছেন। পশ্চিমাঞ্চলীয় খমেলনিতস্কি অঞ্চলে প্রাণ হারিয়েছেন আরও চারজন। দক্ষিণাঞ্চলের শহর মাইকোলাইভে একটি বাড়িতে বিস্ফোরণে নিহত হন এক বৃদ্ধ। এর বাইরে কিয়েভের পশ্চিমে ঝাইটোমির অঞ্চলে তিনটি শিশুর করুণ মৃত্যু হয়েছে।
এই হামলাগুলো এমন সময় হলো, যখন একদিন আগেই কিয়েভ শহর রুশ আগ্রাসনের শুরুর পর থেকে অন্যতম ভয়াবহ হামলার মুখে পড়ে। ওই হামলায় অন্তত ১৩ জন নিহত হয়েছিলেন।
অন্যদিকে, রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, দোনেৎস্কের পূর্বাঞ্চলের ওদ্রাদনে ও আরও দুটি এলাকায় তারা পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে। রাশিয়ার মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, শুক্রবার রাতে ইউক্রেনের সামরিক-শিল্প স্থাপনাগুলোয়, যেখানে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন উৎপাদিত হয়, সেখানে অত্যন্ত নির্ভুলভাবে চালানো হয় সমন্বিত হামলা। একইসঙ্গে একটি মার্কিন নির্মিত প্যাট্রিয়ট বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার অবস্থানে এবং একটি ইলেকট্রনিক গোয়েন্দা কেন্দ্রে হামলা চালানো হয়।
এদিকে, রুশ বিমান হামলার মধ্যেই যুদ্ধবন্দি বিনিময়ের খবরও জানিয়েছে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। শনিবার ৩০৭ জন করে যুদ্ধবন্দি একে অপরের কাছে হস্তান্তর করেছে রাশিয়া ও ইউক্রেন। রাশিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয়, কিয়েভ নিয়ন্ত্রিত অঞ্চল থেকে ফিরেছেন তাদের ৩০৭ সেনা সদস্য এবং ইউক্রেনও একই সংখ্যক বন্দিকে মুক্ত করেছে। এর আগের দিন, শুক্রবার, ৩৯০ জন করে সেনা ও বেসামরিক নাগরিক বিনিময় করা হয়।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া। বর্তমানে দেশটির প্রায় ২০ শতাংশ ভূখণ্ড রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ইউক্রেনজুড়ে রুশ আগ্রাসন অব্যাহত থাকায় যুদ্ধের ভয়াবহতা আরও বাড়ছে।