ঢাকা ০৮:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫, ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কাজী নজরুলের জীবনী নিয়ে চলচ্চিত্র ও তাঁর রচনাবলী অনুবাদ করা হবে: সংস্কৃতি উপদেষ্টা মধুপুরে বনবাসীদের ১২৯টি মামলা প্রত্যাহারের ঘোষণা পরিবেশ উপদেষ্টার জনগণের ন্যায্য দাবিতে সরকারের ‘মান-অভিমান’ চলবে না: তারেক রহমান দুই দিনের রিমান্ডে নেওয়া হলো সাবেক মেয়র আইভীকে ঈদের তারিখ জানতে ২৭ মে চাঁদ দেখার আহ্বান জানাল সৌদি আরব ইউক্রেন যুদ্ধের ড্রোন কৌশল থেকে শিক্ষা নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র – ট্রাম্প ২০২৫ সালে শিল্পের সঙ্গে শিল্পোউদ্যোক্তাদেরও মেরে ফেলা হচ্ছে: বিটিএমএ সভাপতি গঠনমূলক সমালোচনার ওপর জোর দিলেন তারেক রহমান, প্রত্যাশা অবাধ নির্বাচনের আজ বিশ্ব থাইরয়েড দিবস: দ্রুত শনাক্ত করুন, সুস্থ থাকুন ঈদের ছুটিতেও সীমিত পরিসরে ব্যাংক খোলা রাখতে নতুন নির্দেশনা

সচিবালয়ে দপ্তর ছেড়ে নিচে নেমে কর্মচারীদের বিক্ষোভ, ‘কালাকানুন’ প্রত্যাহারের দাবি

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:৪০:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫
  • / 4

ছবি সংগৃহীত

 

 

‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ এর খসড়া অনুমোদনের প্রতিবাদে আজ রোববার দ্বিতীয় দিনের মতো বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের ডাকে সচিবালয়ের ভেতরে বড় ধরনের বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সকাল থেকেই সচিবালয়ে শত শত কর্মকর্তা-কর্মচারী দপ্তর ছেড়ে নিচে নেমে মিছিলে যোগ দেন। বিক্ষোভকারীরা ‘অবৈধ কালো আইন মানি না’, ‘দমনমূলক আইন বাতিল করো’, ‘অধিকার হরণে প্রতিবাদ’— এমন সব স্লোগানে মুখর ছিলেন।

বিক্ষোভকারী কর্মচারীরা অভিযোগ করেন, সদ্য অনুমোদিত খসড়ায় সাড়ে চার দশক আগের কিছু বিশেষ বিধানের নির্যাতনমূলক ধারা সংযোজন করা হয়েছে। এতে কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সহজে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা ও চাকরিচ্যুত করার সুযোগ তৈরি হয়েছে বলে দাবি তাদের।

এ অধ্যাদেশকে ‘নিবর্তনমূলক ও সংবিধানবিরোধী’ উল্লেখ করে তারা অবিলম্বে খসড়া পুনর্বিবেচনা ও প্রত্যাহারের দাবি জানান।

গত বৃহস্পতিবার, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ‘সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮’ সংশোধন করে নতুন ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়। এরপর থেকেই সচিবালয়ের ভেতরে কর্মচারীদের মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষ ও ক্ষোভ দেখা দেয়।

সচিবালয়ের ভেতরে এতো বড় মিছিল ও কর্মবিরতির ফলে বিভিন্ন দপ্তরের স্বাভাবিক কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটে। প্রশাসন দপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে অতিরিক্ত নিরাপত্তা সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। তবে এখনো কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

কর্মচারী পরিষদের বক্তব্য
সংযুক্ত পরিষদের একজন মুখপাত্র বলেন, “এটি একটি সুপরিকল্পিত দমনমূলক অধ্যাদেশ। আমরা এর বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাবো। প্রয়োজনে কর্মবিরতি কর্মসূচিও দেওয়া হবে।”

অন্তর্বর্তী সরকারের এমন সিদ্ধান্ত, নির্বাচনের পূর্বমুহূর্তে সরকারি কর্মচারীদের মনোভাব ও প্রশাসনিক স্থিতিশীলতার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, সরকারকে দ্রুত এই বিষয়ে গঠনমূলক সংলাপে বসতে হবে, নইলে ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে অস্থিরতা সৃষ্টি হতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

সচিবালয়ে দপ্তর ছেড়ে নিচে নেমে কর্মচারীদের বিক্ষোভ, ‘কালাকানুন’ প্রত্যাহারের দাবি

আপডেট সময় ১২:৪০:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫

 

 

‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ এর খসড়া অনুমোদনের প্রতিবাদে আজ রোববার দ্বিতীয় দিনের মতো বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের ডাকে সচিবালয়ের ভেতরে বড় ধরনের বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সকাল থেকেই সচিবালয়ে শত শত কর্মকর্তা-কর্মচারী দপ্তর ছেড়ে নিচে নেমে মিছিলে যোগ দেন। বিক্ষোভকারীরা ‘অবৈধ কালো আইন মানি না’, ‘দমনমূলক আইন বাতিল করো’, ‘অধিকার হরণে প্রতিবাদ’— এমন সব স্লোগানে মুখর ছিলেন।

বিক্ষোভকারী কর্মচারীরা অভিযোগ করেন, সদ্য অনুমোদিত খসড়ায় সাড়ে চার দশক আগের কিছু বিশেষ বিধানের নির্যাতনমূলক ধারা সংযোজন করা হয়েছে। এতে কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সহজে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা ও চাকরিচ্যুত করার সুযোগ তৈরি হয়েছে বলে দাবি তাদের।

এ অধ্যাদেশকে ‘নিবর্তনমূলক ও সংবিধানবিরোধী’ উল্লেখ করে তারা অবিলম্বে খসড়া পুনর্বিবেচনা ও প্রত্যাহারের দাবি জানান।

গত বৃহস্পতিবার, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ‘সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮’ সংশোধন করে নতুন ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়। এরপর থেকেই সচিবালয়ের ভেতরে কর্মচারীদের মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষ ও ক্ষোভ দেখা দেয়।

সচিবালয়ের ভেতরে এতো বড় মিছিল ও কর্মবিরতির ফলে বিভিন্ন দপ্তরের স্বাভাবিক কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটে। প্রশাসন দপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে অতিরিক্ত নিরাপত্তা সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। তবে এখনো কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

কর্মচারী পরিষদের বক্তব্য
সংযুক্ত পরিষদের একজন মুখপাত্র বলেন, “এটি একটি সুপরিকল্পিত দমনমূলক অধ্যাদেশ। আমরা এর বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাবো। প্রয়োজনে কর্মবিরতি কর্মসূচিও দেওয়া হবে।”

অন্তর্বর্তী সরকারের এমন সিদ্ধান্ত, নির্বাচনের পূর্বমুহূর্তে সরকারি কর্মচারীদের মনোভাব ও প্রশাসনিক স্থিতিশীলতার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, সরকারকে দ্রুত এই বিষয়ে গঠনমূলক সংলাপে বসতে হবে, নইলে ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে অস্থিরতা সৃষ্টি হতে পারে।