ঢাকা ১১:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
শাহাদাতের রক্তে রাঙা অবিনাশী চেতনা শীর্ষক কনফারেন্স সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফফুজে খতমে নবুওয়তের সভাপতি নির্বাচিত হলেন আল্লামা শায়েখ সাজিদুর রহমান খন্দকার মোশাররফের নেতৃত্বে যমুনায় বিএনপির প্রতিনিধি দল থাইল্যান্ডে পুলিশ হেলিকপ্টার বিধ্বস্তে ৩ জন নিহত চার দাবিতে এনবিআরে পূর্ণাঙ্গ কর্মবিরতি চলবে রোববার সর্বদলীয় বৈঠক ডাকলেন প্রধান উপদেষ্টা নবীনগরে গলায় লিচুর বিচি আটকে শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু ভারতের টেস্ট দলের নতুন অধিনায়ক হলেন শুভমান গিল পুঁজিবাজার থেকে উধাও ১৫ হাজার কোটি টাকা: দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের বিস্ফোরক দাবি ওষুধ ছাড়াই ইউরিক এসিড নিয়ন্ত্রণে যেসব খাবার খাবেন!

লন্ডনে শেখ হাসিনা সংশ্লিষ্টদের ১৪০০ কোটি টাকার সম্পত্তি জব্দ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৩:১৯:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫
  • / 6

ছবি সংগৃহীত

 

যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি (এনসিএ) বাংলাদেশের সাবেক ক্ষমতাসীনদের মালিকানাধীন বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এনসিএ ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও সাবেক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের ছেলে শায়ান এফ রহমানের লন্ডনের দুটি সম্পত্তি জব্দ করেছে। পাশাপাশি আরও সাতটি সম্পত্তির বিরুদ্ধে জব্দের আদেশ পেয়েছে সংস্থাটি।

শনিবার (২৪ মে) ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান প্রকাশিত এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশি প্রভাবশালী ব্যক্তিদের মালিকানাধীন প্রায় ৯০ মিলিয়ন পাউন্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৪০০ কোটি টাকা) মূল্যের সম্পদ জব্দের আদেশ দেওয়া হয়েছে।

শায়ান এফ রহমানের জব্দ হওয়া দুটি সম্পত্তির একটি অবস্থিত লন্ডনের অন্যতম অভিজাত এলাকা ১৭ গ্রোভনার স্কয়ারে একটি বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট, যা ২০১০ সালে ৬.৫ মিলিয়ন পাউন্ডে কেনা হয়। অপরটি হলো উত্তর লন্ডনের গ্রেশাম গার্ডেনসে অবস্থিত একটি বাড়ি, যার মূল্য ছিল ১.২ মিলিয়ন পাউন্ড (ক্রয়কাল ২০১১)।

ফিনান্সিয়াল টাইমস-এর বরাতে গার্ডিয়ান জানিয়েছে, গ্রেশাম গার্ডেনসের বাড়িটিতে শেখ হাসিনার বোন ও ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিকের মা শেখ রেহানা বসবাস করতেন।

সালমান এফ রহমান বাংলাদেশে শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে বহুবছর দায়িত্ব পালন করেন এবং তাকে দেশের অন্যতম প্রভাবশালী ব্যক্তি হিসেবে গণ্য করা হতো। দুর্নীতির অভিযোগে তার বিরুদ্ধে এর আগে নানা আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে।

গত বছর গার্ডিয়ান ও ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল-ইউকের যৌথ তদন্তে শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠদের মালিকানাধীন প্রায় ৪০০ মিলিয়ন পাউন্ডের সম্পত্তির তথ্য প্রকাশিত হয়, যেখানে শায়ান ও তার আত্মীয়দের নাম উঠে আসে।

এ বিষয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল-ইউকের নীতি পরিচালক ডানকান হেমস বলেন, “আমরা আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি তারা যেন দ্রুত তদন্ত সম্পন্ন করে এবং সন্দেহভাজন সকল সম্পদ জব্দ করে।”

এনসিএ-এর এক মুখপাত্র গার্ডিয়ানকে বলেন, “আমরা নিশ্চিত করছি যে, সিভিল তদন্তের অংশ হিসেবে এনসিএ বেশ কিছু সম্পত্তি জব্দের আদেশ পেয়েছে এবং কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।”

এ নিয়ে যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশি রাজনৈতিক পরিবারের সম্পত্তি বিষয়ে আলোচনার ঝড় উঠেছে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

লন্ডনে শেখ হাসিনা সংশ্লিষ্টদের ১৪০০ কোটি টাকার সম্পত্তি জব্দ

আপডেট সময় ০৩:১৯:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫

 

যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি (এনসিএ) বাংলাদেশের সাবেক ক্ষমতাসীনদের মালিকানাধীন বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এনসিএ ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও সাবেক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের ছেলে শায়ান এফ রহমানের লন্ডনের দুটি সম্পত্তি জব্দ করেছে। পাশাপাশি আরও সাতটি সম্পত্তির বিরুদ্ধে জব্দের আদেশ পেয়েছে সংস্থাটি।

শনিবার (২৪ মে) ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান প্রকাশিত এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশি প্রভাবশালী ব্যক্তিদের মালিকানাধীন প্রায় ৯০ মিলিয়ন পাউন্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৪০০ কোটি টাকা) মূল্যের সম্পদ জব্দের আদেশ দেওয়া হয়েছে।

শায়ান এফ রহমানের জব্দ হওয়া দুটি সম্পত্তির একটি অবস্থিত লন্ডনের অন্যতম অভিজাত এলাকা ১৭ গ্রোভনার স্কয়ারে একটি বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট, যা ২০১০ সালে ৬.৫ মিলিয়ন পাউন্ডে কেনা হয়। অপরটি হলো উত্তর লন্ডনের গ্রেশাম গার্ডেনসে অবস্থিত একটি বাড়ি, যার মূল্য ছিল ১.২ মিলিয়ন পাউন্ড (ক্রয়কাল ২০১১)।

ফিনান্সিয়াল টাইমস-এর বরাতে গার্ডিয়ান জানিয়েছে, গ্রেশাম গার্ডেনসের বাড়িটিতে শেখ হাসিনার বোন ও ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিকের মা শেখ রেহানা বসবাস করতেন।

সালমান এফ রহমান বাংলাদেশে শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে বহুবছর দায়িত্ব পালন করেন এবং তাকে দেশের অন্যতম প্রভাবশালী ব্যক্তি হিসেবে গণ্য করা হতো। দুর্নীতির অভিযোগে তার বিরুদ্ধে এর আগে নানা আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে।

গত বছর গার্ডিয়ান ও ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল-ইউকের যৌথ তদন্তে শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠদের মালিকানাধীন প্রায় ৪০০ মিলিয়ন পাউন্ডের সম্পত্তির তথ্য প্রকাশিত হয়, যেখানে শায়ান ও তার আত্মীয়দের নাম উঠে আসে।

এ বিষয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল-ইউকের নীতি পরিচালক ডানকান হেমস বলেন, “আমরা আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি তারা যেন দ্রুত তদন্ত সম্পন্ন করে এবং সন্দেহভাজন সকল সম্পদ জব্দ করে।”

এনসিএ-এর এক মুখপাত্র গার্ডিয়ানকে বলেন, “আমরা নিশ্চিত করছি যে, সিভিল তদন্তের অংশ হিসেবে এনসিএ বেশ কিছু সম্পত্তি জব্দের আদেশ পেয়েছে এবং কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।”

এ নিয়ে যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশি রাজনৈতিক পরিবারের সম্পত্তি বিষয়ে আলোচনার ঝড় উঠেছে।