ঢাকা ০২:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫, ১১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
অস্ট্রেলিয়ার ১০ বিলিয়ন ডলারের উইন্ড ফার্ম প্রকল্প বাতিল কোস্টগার্ডের হাতে ধরা পড়ল ৪১৩ কোটি টাকার অবৈধ জাল ডাকসু প্রচারণায় কঠোর শৃঙ্খলা জারি, প্রার্থীদের জন্য নতুন নির্দেশনা চীন সফরে যাচ্ছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির শীর্ষস্থানীয় প্রতিনিধি দল ঢাকা অঞ্চলের ৩১৬ দাবি-আপত্তির শুনানি করছে নির্বাচন কমিশন ফেডারেল রিজার্ভ গভর্নর লিসা কুককে অপসারণের ঘোষণা ট্রাম্পের “প্রত্যাবাসনের পথ: যুক্তরাষ্ট্র-চীনের দ্বন্দ্বে রোহিঙ্গাদের ভবিষ্যৎ” যুদ্ধ শেষ হলেও রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকবে : ফিনল্যান্ড আবাসন ভাতাসহ তিন দাবিতে জবি ছাত্রদলের মানববন্ধন প্রথমবারের মতো হাফতার নিয়ন্ত্রিত লিবিয়ায় ভিড়ল তুর্কি যুদ্ধজাহাজ

হার্ভার্ডে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তিতে ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞায় আদালতের স্থগিতাদেশ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:৩৬:০৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫
  • / 47

ছবি সংগৃহীত

 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধে যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল, সেটি সাময়িকভাবে স্থগিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল আদালত। বিচারক অ্যালিসন বারোস শুক্রবার এক সংক্ষিপ্ত আদেশে এই স্থগিতাদেশ দেন, যেখানে বলা হয়েছে এই সিদ্ধান্ত প্রায় ৬ হাজার ৮০০ বিদেশি শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎকে মারাত্মক ঝুঁকির মুখে ফেলছে।

বিচারক জানান, হোমল্যান্ড সিকিউরিটিজ ডিপার্টমেন্টের এই সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থীদের গুরুতর ক্ষতির আশঙ্কা তৈরি করেছে। তাই আদালতের পূর্ণাঙ্গ বিবেচনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত এটি কার্যকর করা অনুচিত।

মামলায় হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, এই পদক্ষেপ শুধু শিক্ষার্থীদের মৌলিক অধিকার ও মত প্রকাশের স্বাধীনতাকেই লঙ্ঘন করেনি, বরং বিশ্ববিদ্যালয়ের এক-চতুর্থাংশ শিক্ষার্থীকে মাত্র একটি চিঠির মাধ্যমে শিক্ষাজীবন থেকে ছেঁটে ফেলার মতো সিদ্ধান্ত ছিল।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট অ্যালান গারবার অভিযোগ করে বলেন, সরকারের এই সিদ্ধান্ত মূলত প্রতিশোধমূলক। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রম, শিক্ষক নিয়োগ ও ভর্তি প্রক্রিয়ায় সরাসরি হস্তক্ষেপ করার প্রচেষ্টা।

এদিকে, হোয়াইট হাউস দাবি করেছে, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় চরমপন্থি আন্দোলন ও ইসরাইলবিরোধী মনোভাব দমনে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সম্পর্ক রয়েছে। তবে হার্ভার্ড কর্তৃপক্ষ এসব অভিযোগকে ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে প্রত্যাখ্যান করেছে।

এই সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে সবচেয়ে বেশি উদ্বেগে পড়েছেন চীনা শিক্ষার্থীরা। অনেকেই জানিয়েছেন, ইমিগ্রেশন পুলিশের অভিযানের আশঙ্কায় তারা আতঙ্কে রয়েছেন। কেউ কেউ বিমানের টিকিট কাটার পরও শেষ মুহূর্তে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল করেছেন।

উল্লেখ্য, এই নিষেধাজ্ঞার আগে থেকেই ট্রাম্প প্রশাসন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি চাপ বাড়াতে ফেডারেল তহবিল কমাতে শুরু করে। ‘বৈষম্যমূলক ও গভীর সমস্যায় জর্জরিত’ বলে উল্লেখ করে ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৬৫ কোটি ডলারের তহবিল কমিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।

এই স্থগিতাদেশে হার্ভার্ডের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের হাজার হাজার বিদেশি শিক্ষার্থীও সাময়িক স্বস্তি পেয়েছেন।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

হার্ভার্ডে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তিতে ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞায় আদালতের স্থগিতাদেশ

আপডেট সময় ১০:৩৬:০৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫

 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধে যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল, সেটি সাময়িকভাবে স্থগিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল আদালত। বিচারক অ্যালিসন বারোস শুক্রবার এক সংক্ষিপ্ত আদেশে এই স্থগিতাদেশ দেন, যেখানে বলা হয়েছে এই সিদ্ধান্ত প্রায় ৬ হাজার ৮০০ বিদেশি শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎকে মারাত্মক ঝুঁকির মুখে ফেলছে।

বিচারক জানান, হোমল্যান্ড সিকিউরিটিজ ডিপার্টমেন্টের এই সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থীদের গুরুতর ক্ষতির আশঙ্কা তৈরি করেছে। তাই আদালতের পূর্ণাঙ্গ বিবেচনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত এটি কার্যকর করা অনুচিত।

মামলায় হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, এই পদক্ষেপ শুধু শিক্ষার্থীদের মৌলিক অধিকার ও মত প্রকাশের স্বাধীনতাকেই লঙ্ঘন করেনি, বরং বিশ্ববিদ্যালয়ের এক-চতুর্থাংশ শিক্ষার্থীকে মাত্র একটি চিঠির মাধ্যমে শিক্ষাজীবন থেকে ছেঁটে ফেলার মতো সিদ্ধান্ত ছিল।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট অ্যালান গারবার অভিযোগ করে বলেন, সরকারের এই সিদ্ধান্ত মূলত প্রতিশোধমূলক। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রম, শিক্ষক নিয়োগ ও ভর্তি প্রক্রিয়ায় সরাসরি হস্তক্ষেপ করার প্রচেষ্টা।

এদিকে, হোয়াইট হাউস দাবি করেছে, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় চরমপন্থি আন্দোলন ও ইসরাইলবিরোধী মনোভাব দমনে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সম্পর্ক রয়েছে। তবে হার্ভার্ড কর্তৃপক্ষ এসব অভিযোগকে ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে প্রত্যাখ্যান করেছে।

এই সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে সবচেয়ে বেশি উদ্বেগে পড়েছেন চীনা শিক্ষার্থীরা। অনেকেই জানিয়েছেন, ইমিগ্রেশন পুলিশের অভিযানের আশঙ্কায় তারা আতঙ্কে রয়েছেন। কেউ কেউ বিমানের টিকিট কাটার পরও শেষ মুহূর্তে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল করেছেন।

উল্লেখ্য, এই নিষেধাজ্ঞার আগে থেকেই ট্রাম্প প্রশাসন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি চাপ বাড়াতে ফেডারেল তহবিল কমাতে শুরু করে। ‘বৈষম্যমূলক ও গভীর সমস্যায় জর্জরিত’ বলে উল্লেখ করে ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৬৫ কোটি ডলারের তহবিল কমিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।

এই স্থগিতাদেশে হার্ভার্ডের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের হাজার হাজার বিদেশি শিক্ষার্থীও সাময়িক স্বস্তি পেয়েছেন।