০২:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষ্যে রাজধানীতে জশনে জুলুস শোভাযাত্রা কুষ্টিয়ায় নিখোঁজের দুই দিন পর পুকুর থেকে লাশ উদ্ধার তুরাগ নদীর ১৭ কিলোমিটার ড্রেজিংয়ে অর্থ দেবে বিশ্বব্যাংক যারা ডিসেম্বরে নির্বাচন চেয়েছে, তারাই এখন বানচালের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত: আসিফ মাহমুদ বিষাক্ত মদ্যপানে মুন্সিগঞ্জে ৪ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে আরও ৩ লেবাননে সব অস্ত্র রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পরিকল্পনা অনুমোদন বৈশ্বিক ড্রোন বিক্রি বাড়াতে ১৯৮৭ সালের ব্যাখ্যা পরিবর্তন করছে যুক্তরাষ্ট্র নথি ফাঁস: ২০১৯ সালে মার্কিন বাহিনী উত্তর কোরিয়ার বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা করে যুক্তরাজ্য–নরওয়ের মধ্যে ১০ বিলিয়ন পাউন্ডের প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি সিরিয়া থেকে বেআইনিভাবে তেল উত্তোলন করছে SDF/YPG, AANES

পরিবেশ উপেক্ষিত থাকলে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়: রিজওয়ানা হাসান

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৭:১৪:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫
  • / 28

ছবি সংগৃহীত

 

“আমাদের বায়ু, নদী ও জীববৈচিত্র্য চরম হুমকির মুখে” এমন উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

তিনি বলেন, প্রকৃতিকে উন্নয়নের কেন্দ্রে না রাখলে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়। সরকারি সংস্থাগুলোর সঙ্গে পরিবেশবিদদের দূরত্ব বাড়ছে এবং অনেক সময় প্রকল্প অনুমোদনের সময় পরিবেশগত দিকগুলো উপেক্ষিত হচ্ছে। পরিবেশকে ‘পরবর্তীতে ভাবার বিষয়’ হিসেবে দেখার দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের আহ্বান জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক জীববৈচিত্র্য দিবস উপলক্ষে পরিবেশ অধিদপ্তরের আগারগাঁও কার্যালয়ে ‘হারমনি উইথ নেচার অ্যান্ড সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট’ শীর্ষক এক পরামর্শ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজওয়ানা হাসান আরও বলেন, “পরিবেশ অধিদপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছি, যেন সব পরিবেশগত প্রভাব নিরূপণ (ইআইএ) প্রতিবেদন জনসমক্ষে প্রকাশ করা হয়। জনগণের জানার অধিকার আছে। অভিযোগের জবাব দেওয়া আমাদের দায়িত্ব, দয়া নয়। প্রকৃত টেকসই উন্নয়নের জন্য প্রকৃতির সঙ্গে সত্যিকারের সম্প্রীতি জরুরি।”

তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “শুধু সবুজ প্রলেপ বা নিয়মতান্ত্রিক কাজের মতো পরিবেশ সংরক্ষণকে দেখলে হবে না। জনসম্পৃক্ততা, তথ্যপ্রাপ্তির অধিকার এবং ন্যায়বিচারের সুযোগ নিশ্চিত না করলে টেকসই উন্নয়ন অসম্ভব।”

পরিবেশগত প্রতিবেদনগুলো সাধারণ মানুষের বোধগম্য ভাষায় না হলে এবং জনসাধারণের সঙ্গে শেয়ার না করলে তার কার্যকারিতা থাকে না বলেও মন্তব্য করেন উপদেষ্টা। তিনি বলেন, “শুধু জনমত শুনলেই হবে না, সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে হবে। একটি মন্ত্রণালয় একা পরিবেশ রক্ষা করতে পারবে না, সব মন্ত্রণালয়ের সমন্বিত দায়িত্ব নিতে হবে।”

তিনি প্রশাসনিক সমন্বয় ও সংস্কারের ওপর জোর দিয়ে বলেন, “এগুলো ছাড়া পরিবেশ সংরক্ষণ সম্ভব নয়।”

পরামর্শ কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. কামরুজ্জামান। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব ড. ফাহমিদা খানম, ইউএনডিপি বাংলাদেশের ডেপুটি রেসিডেন্ট রিপ্রেজেন্টেটিভ সোনালি দয়ারত্নে, বন্য প্রাণী বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ড. মো. আলী রেজা খান এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ড. মো. সোহরাব আলী।

পরিবেশবিদ, নীতিনির্ধারক, শিক্ষাবিদ ও উন্নয়ন সহযোগীদের উপস্থিতিতে আয়োজিত এই কর্মশালায় জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং প্রকৃতির সঙ্গে সম্প্রীতির মাধ্যমে টেকসই উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

পরিবেশ উপেক্ষিত থাকলে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়: রিজওয়ানা হাসান

আপডেট সময় ০৭:১৪:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫

 

“আমাদের বায়ু, নদী ও জীববৈচিত্র্য চরম হুমকির মুখে” এমন উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

তিনি বলেন, প্রকৃতিকে উন্নয়নের কেন্দ্রে না রাখলে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়। সরকারি সংস্থাগুলোর সঙ্গে পরিবেশবিদদের দূরত্ব বাড়ছে এবং অনেক সময় প্রকল্প অনুমোদনের সময় পরিবেশগত দিকগুলো উপেক্ষিত হচ্ছে। পরিবেশকে ‘পরবর্তীতে ভাবার বিষয়’ হিসেবে দেখার দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের আহ্বান জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক জীববৈচিত্র্য দিবস উপলক্ষে পরিবেশ অধিদপ্তরের আগারগাঁও কার্যালয়ে ‘হারমনি উইথ নেচার অ্যান্ড সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট’ শীর্ষক এক পরামর্শ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজওয়ানা হাসান আরও বলেন, “পরিবেশ অধিদপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছি, যেন সব পরিবেশগত প্রভাব নিরূপণ (ইআইএ) প্রতিবেদন জনসমক্ষে প্রকাশ করা হয়। জনগণের জানার অধিকার আছে। অভিযোগের জবাব দেওয়া আমাদের দায়িত্ব, দয়া নয়। প্রকৃত টেকসই উন্নয়নের জন্য প্রকৃতির সঙ্গে সত্যিকারের সম্প্রীতি জরুরি।”

তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “শুধু সবুজ প্রলেপ বা নিয়মতান্ত্রিক কাজের মতো পরিবেশ সংরক্ষণকে দেখলে হবে না। জনসম্পৃক্ততা, তথ্যপ্রাপ্তির অধিকার এবং ন্যায়বিচারের সুযোগ নিশ্চিত না করলে টেকসই উন্নয়ন অসম্ভব।”

পরিবেশগত প্রতিবেদনগুলো সাধারণ মানুষের বোধগম্য ভাষায় না হলে এবং জনসাধারণের সঙ্গে শেয়ার না করলে তার কার্যকারিতা থাকে না বলেও মন্তব্য করেন উপদেষ্টা। তিনি বলেন, “শুধু জনমত শুনলেই হবে না, সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে হবে। একটি মন্ত্রণালয় একা পরিবেশ রক্ষা করতে পারবে না, সব মন্ত্রণালয়ের সমন্বিত দায়িত্ব নিতে হবে।”

তিনি প্রশাসনিক সমন্বয় ও সংস্কারের ওপর জোর দিয়ে বলেন, “এগুলো ছাড়া পরিবেশ সংরক্ষণ সম্ভব নয়।”

পরামর্শ কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. কামরুজ্জামান। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব ড. ফাহমিদা খানম, ইউএনডিপি বাংলাদেশের ডেপুটি রেসিডেন্ট রিপ্রেজেন্টেটিভ সোনালি দয়ারত্নে, বন্য প্রাণী বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ড. মো. আলী রেজা খান এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ড. মো. সোহরাব আলী।

পরিবেশবিদ, নীতিনির্ধারক, শিক্ষাবিদ ও উন্নয়ন সহযোগীদের উপস্থিতিতে আয়োজিত এই কর্মশালায় জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং প্রকৃতির সঙ্গে সম্প্রীতির মাধ্যমে টেকসই উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করা হয়।