০৩:২৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রকে ভেনেজুয়েলার হুঁশিয়ারি: “আমাদের হাতে ৫ হাজার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র” সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, গভীর সমুদ্রে যাত্রা নিষেধ আতলেতিকোর জালে ১৪ মিনিটে ৪ গোল, দাপুটে জয়ে আর্সেনাল

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ২৪ ঘণ্টায় নিহত ৯৩, আহত শতাধিক

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:২২:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫
  • / 44

ছবি সংগৃহীত

 

গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৯৩ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ২৬২ জন। এ নিয়ে গাজা উপত্যকায় চলমান সহিংসতায় মোট নিহতের সংখ্যা ৫৩ হাজার ৬৫৫ জনে পৌঁছেছে। বুধবার (২২ মে) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার ভোর থেকে গাজা উপত্যকার বিভিন্ন এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান ও স্থল হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৯৩ জন। ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো বহু মানুষ আটকে রয়েছেন, যাদের অনেককেই উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে না। উদ্ধারকারী দলগুলোর চলাচল বাধাগ্রস্ত হওয়ায় হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।ইসরায়েল

বিজ্ঞাপন

এদিকে তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলুর প্রতিবেদন অনুযায়ী, শুধু গত ২৪ ঘণ্টার হামলায় নিহত হয়েছেন ৮২ জন এবং আহত হয়েছেন ২৬২ জন। এই নিয়ে ইসরায়েলি আগ্রাসনের শুরু থেকে আহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ২১ হাজার ৯৫০ জনে।

এছাড়া অধিকৃত পশ্চিম তীরের জেনিন শরণার্থী শিবিরে আন্তর্জাতিক কূটনীতিকদের লক্ষ্য করে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিবর্ষণের ঘটনায় আন্তর্জাতিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে কূটনৈতিক মহলে নিন্দার ঝড় উঠেছে।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের জানুয়ারিতে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে একটি সাময়িক যুদ্ধবিরতির চুক্তি কার্যকর হলেও মার্চ মাসে তা ভেঙে দিয়ে ইসরায়েল আবারও পূর্ণমাত্রায় গাজায় আক্রমণ শুরু করে। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে তারা স্থল অভিযান ব্যাপকভাবে জোরদার করেছে, পাশাপাশি বোমা হামলার মাত্রাও আগের চেয়ে অনেক বেশি বেড়েছে।

গাজার হাসপাতালগুলো ইতিমধ্যেই চিকিৎসা সরঞ্জামের তীব্র সংকটে রয়েছে। আহতদের চিকিৎসা দেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। ধ্বংস হওয়া ভবনগুলোর নিচে এখনও অনেকে জীবিত আছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে, কিন্তু নিরাপদ উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা অসম্ভব হয়ে উঠেছে।

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো এই পরিস্থিতিকে ‘চরম মানবিক বিপর্যয়’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে এবং দ্রুত যুদ্ধবিরতি ও মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর আহ্বান জানিয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ২৪ ঘণ্টায় নিহত ৯৩, আহত শতাধিক

আপডেট সময় ১১:২২:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫

 

গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৯৩ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ২৬২ জন। এ নিয়ে গাজা উপত্যকায় চলমান সহিংসতায় মোট নিহতের সংখ্যা ৫৩ হাজার ৬৫৫ জনে পৌঁছেছে। বুধবার (২২ মে) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার ভোর থেকে গাজা উপত্যকার বিভিন্ন এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান ও স্থল হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৯৩ জন। ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো বহু মানুষ আটকে রয়েছেন, যাদের অনেককেই উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে না। উদ্ধারকারী দলগুলোর চলাচল বাধাগ্রস্ত হওয়ায় হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।ইসরায়েল

বিজ্ঞাপন

এদিকে তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলুর প্রতিবেদন অনুযায়ী, শুধু গত ২৪ ঘণ্টার হামলায় নিহত হয়েছেন ৮২ জন এবং আহত হয়েছেন ২৬২ জন। এই নিয়ে ইসরায়েলি আগ্রাসনের শুরু থেকে আহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ২১ হাজার ৯৫০ জনে।

এছাড়া অধিকৃত পশ্চিম তীরের জেনিন শরণার্থী শিবিরে আন্তর্জাতিক কূটনীতিকদের লক্ষ্য করে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিবর্ষণের ঘটনায় আন্তর্জাতিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে কূটনৈতিক মহলে নিন্দার ঝড় উঠেছে।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের জানুয়ারিতে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে একটি সাময়িক যুদ্ধবিরতির চুক্তি কার্যকর হলেও মার্চ মাসে তা ভেঙে দিয়ে ইসরায়েল আবারও পূর্ণমাত্রায় গাজায় আক্রমণ শুরু করে। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে তারা স্থল অভিযান ব্যাপকভাবে জোরদার করেছে, পাশাপাশি বোমা হামলার মাত্রাও আগের চেয়ে অনেক বেশি বেড়েছে।

গাজার হাসপাতালগুলো ইতিমধ্যেই চিকিৎসা সরঞ্জামের তীব্র সংকটে রয়েছে। আহতদের চিকিৎসা দেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। ধ্বংস হওয়া ভবনগুলোর নিচে এখনও অনেকে জীবিত আছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে, কিন্তু নিরাপদ উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা অসম্ভব হয়ে উঠেছে।

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো এই পরিস্থিতিকে ‘চরম মানবিক বিপর্যয়’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে এবং দ্রুত যুদ্ধবিরতি ও মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর আহ্বান জানিয়েছে।