মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে অনিয়ম ও বৈষম্যের সুযোগ রাখা হবে না: প্রধান উপদেষ্টার দূত

- আপডেট সময় ০১:১৫:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫
- / 3
মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর প্রক্রিয়ায় কোনো ধরনের অনিয়ম ও বৈষম্যের সুযোগ রাখা হবে না বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী। তিনি বলেন, কর্মী পাঠানোর পুরো প্রক্রিয়াটি হবে স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতামূলক।
বুধবার (২১ মে) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকের উদ্বোধনী অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
লুৎফে সিদ্দিকী জানান, “গত বছর প্রথম ধাপে শ্রমবাজার বন্ধ হওয়ায় যারা যাবার সব প্রস্তুতি নিয়েও যেতে পারেননি, তাদের মধ্যে প্রায় আট হাজার কর্মীকে এবার প্রাধান্য দেওয়া হবে। এই কর্মীদের দ্রুত বোয়েসেলের মাধ্যমে সরকারি ব্যবস্থাপনায় মালয়েশিয়ায় পাঠানো হবে।”
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশে বিপুলসংখ্যক রিক্রুটিং এজেন্সি থাকায় মালয়েশিয়া সরকার সীমিত সংখ্যক এজেন্সির মাধ্যমে কর্মী নিতে আগ্রহী। তাই আজকের যৌথ বৈঠকে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনে পূর্বের সমঝোতা স্মারক সংশোধনের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।”
মালয়েশিয়া সরকার কোনো শর্ত দেয়নি বলেও জানান তিনি। লুৎফে সিদ্দিকী বলেন, “সিন্ডিকেট সংক্রান্ত পুরনো মামলাগুলো প্রত্যাহার বা অন্য কোনো শর্ত আরোপ করেনি মালয়েশিয়া। বরং দেশটি বাংলাদেশি কর্মীদের ব্যাপারে আন্তরিক মনোভাব পোষণ করছে।”
তিনি জানান, মালয়েশিয়া সরকার বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা দেওয়ার বিষয়টি ইতোমধ্যেই আন্তঃমন্ত্রণালয় পর্যায়ে আলোচনায় নিয়েছে। দুই দেশই চায়, শ্রমবাজারে স্বচ্ছতা বজায় রেখে একটি নির্ভরযোগ্য প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কর্মী প্রেরণ হোক।
বৈঠকে মালয়েশিয়ার পক্ষ থেকে সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল অংশ নেয়, যার নেতৃত্ব দেন দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল ড. মো. শাহরিন বিন উমর।
বৈঠকে বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর চূড়ান্ত প্রক্রিয়া নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। এতে ভবিষ্যতে সুসংগঠিত ও স্বচ্ছ ব্যবস্থাপনায় কর্মী পাঠানোর পথ সুগম হবে বলে আশা করা হচ্ছে।