দারিদ্র্যের মূল কারণ ভূমি দখল ও আইনি ত্রুটি: পরিকল্পনা উপদেষ্টা

- আপডেট সময় ০৬:৩৯:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫
- / 7
পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, “বাংলাদেশে দারিদ্র্যের বড় কারণ প্রভাবশালীদের দ্বারা জমি দখল এবং ত্রুটিপূর্ণ আইনি ব্যবস্থার কারণে তা পুনরুদ্ধারে সাধারণ মানুষের সর্বস্বান্ত হওয়া।” তিনি জানান, দারিদ্র্য শুধুমাত্র আয়-রোজগারের সীমাবদ্ধতায় নয়, বরং সামাজিক ও কাঠামোগত বৈষম্যতেও গভীরভাবে জড়িত।
আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টায় বরিশালের সার্কিট হাউস সম্মেলনকক্ষে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর আয়োজনে দারিদ্র্যের মানচিত্র নিয়ে আয়োজিত এক সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, “পুলিশ থেকে সঠিক সেবা না পেলে সেটাও দারিদ্র্যের একটি বড় কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা না হলে সমাজে নিরাপত্তাহীনতা বাড়ে, যার ভয়াবহ প্রভাব পড়ে গরিব মানুষের ওপর।”
ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ আরো বলেন, “ছাত্র ও জনতার অভ্যুত্থানের পর দেশের রাজনীতিতে নতুনভাবে পরিবর্তন আনার চেষ্টা চলছে। যদিও কিছু ব্যত্যয় ঘটেছে, কিছু ক্ষেত্রে উন্নয়নের ধারা পিছিয়েও গেছে, তবুও আমি আশাবাদী বাংলাদেশ আর আগের অবস্থানে ফিরে যাবে না। বাংলাদেশ একটি নতুন পথে অগ্রসর হবে।”
তিনি বলেন, “মানুষ অন্যায়-অত্যাচার দীর্ঘদিন সহ্য করে না। ক্ষমতাসীন যে কেউ এই বাস্তবতা অনুধাবন করবে বলেই আমার বিশ্বাস। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মূল লক্ষ্য হলো এমন কিছু কাঠামোগত সংস্কার নিশ্চিত করা, যাতে একটি সুশাসিত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার দিকে দেশ এগিয়ে যেতে পারে।”
পুলিশ বিভাগের প্রয়োজনীয় সংস্কারের কথা উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, “পুলিশকে অতীতে নানা দিক থেকে খারাপভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। এখন সময় এসেছে পুলিশ বিভাগকে নতুনভাবে গড়ে তোলার। এজন্য সমাজের প্রতিটি স্তরে পুলিশকে সহায়তা করা উচিত।”
তিনি বলেন, “পুলিশ যেমন সকলকে নিরাপত্তা দেয়, তেমনি তাদেরও রক্ষা করা দরকার। জনগণের উচিত পুলিশ ও প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক গড়ে তোলা।”
শেষে তিনি বলেন, “আশা করছি অচিরেই একটি গণতান্ত্রিক সরকার গঠিত হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং স্থানীয় পর্যায়ে জনপ্রতিনিধি ছাড়া দেশের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।”