ঢাকা ০৭:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ২৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কর্ণফুলী ইপিজেডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড: আগুন নিয়ন্ত্রণে ৮ ইউনিটের অভিযান চারদিন সাগরে ভেসে থাকা ৯ জেলেকে উদ্ধার: এখনও নিখোঁজ ৩ বাংলাদেশে প্রথমবার মুক্তি পাচ্ছে নেপালি ছবি: ‘ন ডরাই’ এর বিনিময়ে ফয়জুল করীম: ‘দেশের রাজনৈতিক সংস্কার ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়’ বিশ্বাসীদের কবি আল মাহমুদের ৯০তম জন্মদিন আজ ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্নের পথে ইউরোপীয় ইউনিয়ন হাসপাতাল নিতে বলায় গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যা: আতঙ্কজনক ঘটনা ডেঙ্গু আতঙ্ক: মৃত্যু ২, হাসপাতালে ভর্তি ৩৩৭ ইসরায়েলের সমালোচনায় মার্কিন সরকারের পদক্ষেপ: জাতিসংঘ দূতের ওপর নিষেধাজ্ঞা গাজায় রক্তপাত চলছেই, তবু নেতানিয়াহুকে চাপ দেন না ট্রাম্প—কেন?”

ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞা, আলোচনার মাঝেই উত্তেজনা বৃদ্ধি

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:০১:১১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫
  • / 26

ছবি সংগৃহীত

 

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সংবেদনশীল পারমাণবিক ইস্যুতে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার আলোচনার মাঝপথে হঠাৎ করে নতুন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ওয়াশিংটন। সোমবার যুক্তরাষ্ট্র তিনজন ইরানি নাগরিক এবং তেহরান-ভিত্তিক একটি প্রতিরক্ষা গবেষণা প্রতিষ্ঠানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।

ওয়াশিংটন সূত্রে এএফপির খবরে জানা যায়, নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েছে ইরানের প্রতিরক্ষামূলক উদ্ভাবন ও গবেষণা সংস্থা, যা ‘SPND’ নামে পরিচিত। এই সংস্থা এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের পারমাণবিক কর্মসূচিতে জড়িত থাকার অভিযোগে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এক বিবৃতিতে বলেন, “ইরান এখনো তার পারমাণবিক কর্মসূচি অব্যাহতভাবে সম্প্রসারণ করছে। তারা এমন কিছু গবেষণা ও উন্নয়ন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে, যা পারমাণবিক অস্ত্র ও অস্ত্র সরবরাহ ব্যবস্থায় ব্যবহৃত হতে পারে। এই ধরনের দ্বৈত-ব্যবহার প্রযুক্তি আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি।”

তিনি আরও জানান, বর্তমানে ইরানের কাছে ৬০ শতাংশ বিশুদ্ধ ইউরেনিয়ামের মজুদ রয়েছে। অথচ ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তিতে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের সীমা ছিল সর্বোচ্চ ৩.৬৭ শতাংশ। পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির জন্য ৯০ শতাংশ বিশুদ্ধ ইউরেনিয়াম প্রয়োজন হয়। এই পার্থক্যই যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগের মূল কারণ।

প্রসঙ্গত, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদে ২০১৫ সালের ঐতিহাসিক পারমাণবিক চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেন। এরপর থেকেই দুই দেশের সম্পর্ক আবারও উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে ওঠে।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে নতুন এক চুক্তির লক্ষ্যে আলোচনা শুরু হয়েছিল। গত মাসে শুরু হওয়া এই আলোচনার মাধ্যমে ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি থেকে বিরত রাখতে কূটনৈতিক সমাধানের পথ খোঁজা হচ্ছিল। চতুর্থ দফার আলোচনা শেষ হওয়ার পরদিনই ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে এ নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করা হয়।

বিশ্লেষকদের মতে, আলোচনার মাঝেই এই ধরনের নিষেধাজ্ঞা নতুন করে উত্তেজনা বাড়াতে পারে এবং কূটনৈতিক সমাধানের পথ আরও কঠিন করে তুলতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ ইরানের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ আরও বাড়াবে বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে ইরান এখনো এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

বর্তমান পরিস্থিতিতে দুই দেশের সম্পর্ক কোন দিকে মোড় নেয়, তা সময়ই বলে দেবে। তবে এটুকু স্পষ্ট, পারমাণবিক ইস্যুতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের নজর এখন আবারও ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের দিকে নিবদ্ধ।

নিউজটি শেয়ার করুন

ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞা, আলোচনার মাঝেই উত্তেজনা বৃদ্ধি

আপডেট সময় ১১:০১:১১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫

 

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সংবেদনশীল পারমাণবিক ইস্যুতে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার আলোচনার মাঝপথে হঠাৎ করে নতুন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ওয়াশিংটন। সোমবার যুক্তরাষ্ট্র তিনজন ইরানি নাগরিক এবং তেহরান-ভিত্তিক একটি প্রতিরক্ষা গবেষণা প্রতিষ্ঠানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।

ওয়াশিংটন সূত্রে এএফপির খবরে জানা যায়, নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েছে ইরানের প্রতিরক্ষামূলক উদ্ভাবন ও গবেষণা সংস্থা, যা ‘SPND’ নামে পরিচিত। এই সংস্থা এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের পারমাণবিক কর্মসূচিতে জড়িত থাকার অভিযোগে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এক বিবৃতিতে বলেন, “ইরান এখনো তার পারমাণবিক কর্মসূচি অব্যাহতভাবে সম্প্রসারণ করছে। তারা এমন কিছু গবেষণা ও উন্নয়ন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে, যা পারমাণবিক অস্ত্র ও অস্ত্র সরবরাহ ব্যবস্থায় ব্যবহৃত হতে পারে। এই ধরনের দ্বৈত-ব্যবহার প্রযুক্তি আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি।”

তিনি আরও জানান, বর্তমানে ইরানের কাছে ৬০ শতাংশ বিশুদ্ধ ইউরেনিয়ামের মজুদ রয়েছে। অথচ ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তিতে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের সীমা ছিল সর্বোচ্চ ৩.৬৭ শতাংশ। পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির জন্য ৯০ শতাংশ বিশুদ্ধ ইউরেনিয়াম প্রয়োজন হয়। এই পার্থক্যই যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগের মূল কারণ।

প্রসঙ্গত, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদে ২০১৫ সালের ঐতিহাসিক পারমাণবিক চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেন। এরপর থেকেই দুই দেশের সম্পর্ক আবারও উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে ওঠে।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে নতুন এক চুক্তির লক্ষ্যে আলোচনা শুরু হয়েছিল। গত মাসে শুরু হওয়া এই আলোচনার মাধ্যমে ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি থেকে বিরত রাখতে কূটনৈতিক সমাধানের পথ খোঁজা হচ্ছিল। চতুর্থ দফার আলোচনা শেষ হওয়ার পরদিনই ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে এ নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করা হয়।

বিশ্লেষকদের মতে, আলোচনার মাঝেই এই ধরনের নিষেধাজ্ঞা নতুন করে উত্তেজনা বাড়াতে পারে এবং কূটনৈতিক সমাধানের পথ আরও কঠিন করে তুলতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ ইরানের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ আরও বাড়াবে বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে ইরান এখনো এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

বর্তমান পরিস্থিতিতে দুই দেশের সম্পর্ক কোন দিকে মোড় নেয়, তা সময়ই বলে দেবে। তবে এটুকু স্পষ্ট, পারমাণবিক ইস্যুতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের নজর এখন আবারও ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের দিকে নিবদ্ধ।