ববিতে উপাচার্যের অপসারণ দাবিতে শিক্ষার্থীদের আমরণ অনশন শুরু
- আপডেট সময় ১১:৫৪:০২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫
- / 107
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিনের অপসারণ দাবিতে শিক্ষার্থীরা এবার আমরণ অনশনে বসেছেন। সোমবার (১২ মে) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ক্যাম্পাসে চলমান একাডেমিক শাটডাউনের মধ্যে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আয়োজিত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী সুজয় শুভ বলেন, “আমরা উপাচার্যকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছি। আন্দোলনের ২৮ দিন অতিবাহিত হলেও তিনি একবারের জন্যও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মুখোমুখি কথা বলেননি। অথচ এখন ফেসবুক লাইভে এসে নাটক করছেন। এমন একজন ফ্যাসিস্ট ভিসিকে আমরা চাই না।”
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে আরও বলেন, “মঙ্গলবার দুপুর ২টার মধ্যে যদি উপাচার্য পদত্যাগ না করেন, তাহলে আমরা দক্ষিণবঙ্গ অচল করে দেব।”
শিক্ষার্থী মোশাররফ হোসেন জানান, “আমরা সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি—দাবি না মানা হলে আন্দোলন আরও কঠোর রূপ নেবে। আমরা আমাদের ন্যায্য অধিকার আদায় করেই ঘরে ফিরব।”
শুধু শিক্ষার্থীরাই নয়, বরং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের একটি বড় অংশও এ আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন। ফলে সোমবার পুরো বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম প্রায় অচল হয়ে পড়ে।
বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, উপাচার্য ড. শুচিতা শরমিন আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠদের পুনর্বাসনের চেষ্টা করছেন, চলমান আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের নামে মামলা করেছেন এবং প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন সদিচ্ছা দেখা যাচ্ছে না। এসব কারণেই তারা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।
চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে অবস্থান কর্মসূচি, মশাল মিছিল, মহাসড়ক অবরোধ, উপাচার্যের বাসভবনে তালা ঝুলানো, সংবাদ সম্মেলনসহ একাধিক কর্মসূচি পালন করে আসছেন।
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. সোনিয়া খান সনির সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, আন্দোলন শুরুর পর থেকেই প্রশাসনের নিরবতা এবং কোনো ধরনের ইতিবাচক সংলাপের উদ্যোগ না নেওয়ায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। এবার তারা অনশন কর্মসূচির মাধ্যমে তাদের দাবির প্রতি দৃঢ় প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করলেন।
















