ঢাকা ০১:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৫, ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
এআই চ্যাটবট নিয়ে গুরুতর তথ্য ফাঁস স্বীকার করল মেটা নবীগঞ্জে ৩০ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদককারবারি আটক সংগ্রাম-শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় ৮১ বছরে খালেদা জিয়া রাশিয়ার সম্ভাব্য হুমকি মোকাবিলায় ড্রোন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খুলছে লিথুয়ানিয়া এআই–ভিত্তিক হার্ডওয়্যারে বড় উদ্যোগ নিচ্ছে অ্যাপল জেরুজালেমকে চিরতরে ছিনিয়ে নিতে ই-ওয়ান বসতি প্রকল্প পুনরুজ্জীবনের ঘোষণা ইসরাইলি অর্থমন্ত্রীর ইউক্রেনকে অস্ত্র সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্রকে পেছনে ফেলল ইউরোপ সিরিয়ার পুনর্গঠনে ইদলিব হবে কেন্দ্রবিন্দু: প্রেসিডেন্ট শারআ নির্বাচন করলে তফসিলের আগেই উপদেষ্টার পদ ছেড়ে দেব: আসিফ মাহমুদ রাজনীতি থেকে মাইনাস হবে, যারা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করবে: সালাহউদ্দিন

আফগানিস্তানে দাবা নিষিদ্ধ: শরিয়া বিরোধী দাবি তালেবানের

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:৩১:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫
  • / 21

ছবি: সংগৃহীত

 

আফগানিস্তানে দাবা খেলা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে তালেবান সরকার। ইসলামি শরিয়ার সঙ্গে এই খেলাটি সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় বলে উল্লেখ করে অনির্দিষ্টকালের জন্য এর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে তারা। খামা প্রেসের বরাতে খবরটি জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া।

তালেবান সরকারের ‘পুণ্য প্রচার ও পাপ প্রতিরোধ মন্ত্রণালয়’ এক ঘোষণায় জানিয়েছে, ইসলামি শরিয়া অনুযায়ী দাবা হারাম। এই সিদ্ধান্তের অংশ হিসেবে আফগানিস্তান দাবা ফেডারেশনকেও বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।

ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেন, “দাবা খেলা জুয়ার একটি মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত হয় শরিয়া আইনে।” তাই দেশজুড়ে সব দাবা-সম্পর্কিত কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। শরিয়ার দৃষ্টিকোণ থেকে খেলাটি বৈধ কি না, তা স্পষ্ট না হওয়া পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে বলেও জানানো হয়েছে।

তালেবান ২০২১ সালে আফগানিস্তানের ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে একের পর এক সাংস্কৃতিক, ক্রীড়া ও বিনোদনমূলক কর্মকাণ্ডের ওপর কড়াকড়ি আরোপ করে আসছে। বিশেষ করে যেসব কর্মকাণ্ড শরিয়া আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক—সেগুলোর ওপর কঠোর নজরদারি চালানো হচ্ছে।

এর আগেও, ২০২3 সালে তালেবান সরকার মিক্সড মার্শাল আর্টস বা ফ্রি ফাইটিং নিষিদ্ধ করে। তখন তারা জানিয়েছিল, খেলাটি অতিমাত্রায় হিংসাত্মক এবং ইসলামি শরিয়ার দৃষ্টিতে তা গ্রহণযোগ্য নয়।

নতুন করে দাবা নিষিদ্ধের এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আবারও তালেবানের ধর্মীয় শাসনের বিতর্কিত দৃষ্টিভঙ্গিকে সামনে নিয়ে এসেছে। একসময়ে আন্তর্জাতিক ক্রীড়াঙ্গনে অংশগ্রহণকারী আফগান খেলোয়াড়রা এখন নানা ধরনের নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েছেন।

বিশ্লেষকদের মতে, তালেবানের এমন সিদ্ধান্ত দেশটির যুবসমাজের বিনোদন, মননশীলতা ও মানসিক বিকাশের পথকে আরও সংকীর্ণ করে তুলবে। আফগানিস্তানে ক্রীড়া ও সংস্কৃতির স্বাধীনতা আরও কতটা সীমিত হবে, তা নিয়ে তৈরি হচ্ছে নতুন শঙ্কা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আফগানিস্তানে দাবা নিষিদ্ধ: শরিয়া বিরোধী দাবি তালেবানের

আপডেট সময় ০৪:৩১:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫

 

আফগানিস্তানে দাবা খেলা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে তালেবান সরকার। ইসলামি শরিয়ার সঙ্গে এই খেলাটি সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় বলে উল্লেখ করে অনির্দিষ্টকালের জন্য এর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে তারা। খামা প্রেসের বরাতে খবরটি জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া।

তালেবান সরকারের ‘পুণ্য প্রচার ও পাপ প্রতিরোধ মন্ত্রণালয়’ এক ঘোষণায় জানিয়েছে, ইসলামি শরিয়া অনুযায়ী দাবা হারাম। এই সিদ্ধান্তের অংশ হিসেবে আফগানিস্তান দাবা ফেডারেশনকেও বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।

ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেন, “দাবা খেলা জুয়ার একটি মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত হয় শরিয়া আইনে।” তাই দেশজুড়ে সব দাবা-সম্পর্কিত কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। শরিয়ার দৃষ্টিকোণ থেকে খেলাটি বৈধ কি না, তা স্পষ্ট না হওয়া পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে বলেও জানানো হয়েছে।

তালেবান ২০২১ সালে আফগানিস্তানের ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে একের পর এক সাংস্কৃতিক, ক্রীড়া ও বিনোদনমূলক কর্মকাণ্ডের ওপর কড়াকড়ি আরোপ করে আসছে। বিশেষ করে যেসব কর্মকাণ্ড শরিয়া আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক—সেগুলোর ওপর কঠোর নজরদারি চালানো হচ্ছে।

এর আগেও, ২০২3 সালে তালেবান সরকার মিক্সড মার্শাল আর্টস বা ফ্রি ফাইটিং নিষিদ্ধ করে। তখন তারা জানিয়েছিল, খেলাটি অতিমাত্রায় হিংসাত্মক এবং ইসলামি শরিয়ার দৃষ্টিতে তা গ্রহণযোগ্য নয়।

নতুন করে দাবা নিষিদ্ধের এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আবারও তালেবানের ধর্মীয় শাসনের বিতর্কিত দৃষ্টিভঙ্গিকে সামনে নিয়ে এসেছে। একসময়ে আন্তর্জাতিক ক্রীড়াঙ্গনে অংশগ্রহণকারী আফগান খেলোয়াড়রা এখন নানা ধরনের নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েছেন।

বিশ্লেষকদের মতে, তালেবানের এমন সিদ্ধান্ত দেশটির যুবসমাজের বিনোদন, মননশীলতা ও মানসিক বিকাশের পথকে আরও সংকীর্ণ করে তুলবে। আফগানিস্তানে ক্রীড়া ও সংস্কৃতির স্বাধীনতা আরও কতটা সীমিত হবে, তা নিয়ে তৈরি হচ্ছে নতুন শঙ্কা।