ঢাকা ১২:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
পারমাণবিক আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব, তেহরানের ‘অবিশ্বাস’ স্পষ্ট আধুনিক সভ্যতা ভেঙে পড়েছে, গণতন্ত্রও ব্যর্থ: মাহাথির মোহাম্মদ নয়াদিল্লিতে চারতলা ভবনে ভয়াবহ ধস, বহু মানুষ চাপা পড়ার আশঙ্কা জলাবদ্ধতায় নোয়াখালীতে পানিবন্দী প্রায় দুই লাখ মানুষ, বাড়ছে দুর্ভোগ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে ভয়াবহ ইঞ্জিন সংকট, ট্রেন চলাচলে বিশৃঙ্খলা ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত গাজা এখন ‘শিশু ও অনাহারীদের কবরস্থান’: জাতিসংঘের সতর্কবার্তা লেবাননের সঙ্গে ১০ কোটি ডলারের যুদ্ধবিমান রক্ষণাবেক্ষণ চুক্তি যুক্তরাষ্ট্রের মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর থেকে ১,৩৫০ কর্মকর্তা ছাঁটাই করলো ট্রাম্প প্রশাসন অপরাধী যেই হোক, তাকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে: মির্জা ফখরুল

বিচারের আগপর্যন্ত আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ, সাইবার স্পেসেও নিষেধাজ্ঞা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০২:০৫:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫
  • / 21

ছবি সংগৃহীত

 

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। গতকাল শনিবার রাতে উপদেষ্টা পরিষদের এক বিশেষ বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শুধু মাঠপর্যায়ের রাজনৈতিক কর্মসূচিই নয়, সাইবার স্পেসে আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনগুলোর যাবতীয় অনলাইন কার্যক্রমেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

বিশেষ ওই বৈঠকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে সংশোধনীও অনুমোদন করা হয়েছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজসহ সকল ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে আওয়ামী লীগের উপস্থিতি বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব গণমাধ্যমকে বলেন, “আমরা এখন উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্তের পরিপত্রের জন্য অপেক্ষা করছি। এটি জারি হলে বিটিআরসির মাধ্যমে মেটাসহ অন্যান্য অনলাইন প্ল্যাটফর্মে চিঠি পাঠানো হবে। যাতে দ্রুততম সময়ে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়।”

তিনি আরও জানান, আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনগুলো ৫ আগস্ট দলের সভাপতি শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর থেকে অনলাইনে সক্রিয় থেকে কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল।

দলটির পক্ষ থেকে ফেসবুক, ইউটিউব ও এক্স (পূর্বের টুইটার)-এর মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে বিবৃতি, বক্তব্য ও রাজনৈতিক বার্তা প্রচার করা হচ্ছিল। একইসঙ্গে বিভিন্ন সময় এসব মাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর অভিযোগও উঠেছে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে।

সরকারি সূত্র জানায়, নিষেধাজ্ঞার পরিপত্র জারির সঙ্গে সঙ্গে বিটিআরসি সকল ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম থেকে আওয়ামী লীগের উপস্থিতি সরিয়ে ফেলতে উদ্যোগ নেবে। এর ফলে অনলাইনে দলটির কার্যক্রম বন্ধ করা হবে এবং তথ্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর অবস্থানে যাবে সরকার।

এই সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। অনেকে একে রাজনৈতিক ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ মোড়ফেরত হিসেবে দেখছেন।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

বিচারের আগপর্যন্ত আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ, সাইবার স্পেসেও নিষেধাজ্ঞা

আপডেট সময় ০২:০৫:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫

 

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। গতকাল শনিবার রাতে উপদেষ্টা পরিষদের এক বিশেষ বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শুধু মাঠপর্যায়ের রাজনৈতিক কর্মসূচিই নয়, সাইবার স্পেসে আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনগুলোর যাবতীয় অনলাইন কার্যক্রমেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

বিশেষ ওই বৈঠকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে সংশোধনীও অনুমোদন করা হয়েছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজসহ সকল ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে আওয়ামী লীগের উপস্থিতি বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব গণমাধ্যমকে বলেন, “আমরা এখন উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্তের পরিপত্রের জন্য অপেক্ষা করছি। এটি জারি হলে বিটিআরসির মাধ্যমে মেটাসহ অন্যান্য অনলাইন প্ল্যাটফর্মে চিঠি পাঠানো হবে। যাতে দ্রুততম সময়ে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়।”

তিনি আরও জানান, আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনগুলো ৫ আগস্ট দলের সভাপতি শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর থেকে অনলাইনে সক্রিয় থেকে কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল।

দলটির পক্ষ থেকে ফেসবুক, ইউটিউব ও এক্স (পূর্বের টুইটার)-এর মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে বিবৃতি, বক্তব্য ও রাজনৈতিক বার্তা প্রচার করা হচ্ছিল। একইসঙ্গে বিভিন্ন সময় এসব মাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর অভিযোগও উঠেছে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে।

সরকারি সূত্র জানায়, নিষেধাজ্ঞার পরিপত্র জারির সঙ্গে সঙ্গে বিটিআরসি সকল ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম থেকে আওয়ামী লীগের উপস্থিতি সরিয়ে ফেলতে উদ্যোগ নেবে। এর ফলে অনলাইনে দলটির কার্যক্রম বন্ধ করা হবে এবং তথ্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর অবস্থানে যাবে সরকার।

এই সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। অনেকে একে রাজনৈতিক ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ মোড়ফেরত হিসেবে দেখছেন।