ঢাকা ০৩:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাকিস্তানের পাল্টা হামলায় ভারতের ২০টিরও বেশি সামরিক স্থাপনায় আঘাত

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:১৭:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫
  • / 29

ছবি: সংগৃহীত

 

পাকিস্তানের প্রতিশোধমূলক সামরিক অভিযানে ভারতের অন্তত ২০টিরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থাপনায় ব্যাপক হামলার ঘটনা ঘটেছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাতে জানা গেছে, এসব হামলায় ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা অনেকাংশেই গুরুতর।

সূত্র জানায়, ভারতের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ঘাঁটি, ক্ষেপণাস্ত্র সংরক্ষণাগার ও অস্ত্র ডিপো এই পাল্টা হামলার প্রধান লক্ষ্য ছিল। পাকিস্তানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এটি একটি ‘পরিকল্পিত ও প্রতিরক্ষামূলক প্রতিক্রিয়া’, যা সীমান্ত উত্তেজনার প্রেক্ষিতে নেওয়া হয়েছে।

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, যেসব স্থাপনায় হামলা চালানো হয়েছে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু নিম্নরূপ:

বেয়াস অঞ্চলে ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্রের একটি সংরক্ষণাগারে সঠিকভাবে আঘাত হানা হয়েছে, যা সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।

উধমপুর বিমানঘাঁটিতে হামলার ফলে বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। ঘাঁটিটি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং সেখানে জরুরি অবতরণ ব্যবস্থা কার্যত অচল হয়ে পড়েছে।

পাঠানকোট বিমানঘাঁটিতে রানওয়ে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। এতে মাঝারি ধরনের ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে।

জলন্ধর বিমানঘাঁটিও হামলার শিকার হয়েছে, যদিও সেখানে সুনির্দিষ্ট ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো নিশ্চিত করা যায়নি।

গুজরাটে একাধিক বিমানঘাঁটিতে আঘাত হানার খবর জানানো হয়েছে।

দিল্লি অঞ্চল, বিশেষত হিসারে, পাকিস্তান থেকে ছোড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করা হয়েছে। তবে এতে কোনো নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম হয়নি।

রাজস্থানে সেনাবাহিনীর কিছু স্থাপনায় হামলা চালানো হয়েছে, তবে এখনো সেখানে ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।

শ্রীনগর বিমানঘাঁটিতে হামলার ঘটনায় হতাহতের খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে।

অন্যদিকে, চণ্ডীগড়ের একটি অস্ত্র ডিপোতে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে তা সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করা হয়েছে বলে দাবি করছে পাকিস্তানপক্ষ।

পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, এই প্রতিক্রিয়া ভারতীয় সেনাবাহিনীর সাম্প্রতিক আগ্রাসনের পরিপ্রেক্ষিতে নেওয়া হয়েছে। দুই দেশের সীমান্তে উত্তেজনা ক্রমেই বাড়ছে। আন্তর্জাতিক মহল পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং উভয় পক্ষকে সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানানো হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

পাকিস্তানের পাল্টা হামলায় ভারতের ২০টিরও বেশি সামরিক স্থাপনায় আঘাত

আপডেট সময় ১২:১৭:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫

 

পাকিস্তানের প্রতিশোধমূলক সামরিক অভিযানে ভারতের অন্তত ২০টিরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থাপনায় ব্যাপক হামলার ঘটনা ঘটেছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাতে জানা গেছে, এসব হামলায় ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা অনেকাংশেই গুরুতর।

সূত্র জানায়, ভারতের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ঘাঁটি, ক্ষেপণাস্ত্র সংরক্ষণাগার ও অস্ত্র ডিপো এই পাল্টা হামলার প্রধান লক্ষ্য ছিল। পাকিস্তানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এটি একটি ‘পরিকল্পিত ও প্রতিরক্ষামূলক প্রতিক্রিয়া’, যা সীমান্ত উত্তেজনার প্রেক্ষিতে নেওয়া হয়েছে।

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, যেসব স্থাপনায় হামলা চালানো হয়েছে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু নিম্নরূপ:

বেয়াস অঞ্চলে ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্রের একটি সংরক্ষণাগারে সঠিকভাবে আঘাত হানা হয়েছে, যা সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।

উধমপুর বিমানঘাঁটিতে হামলার ফলে বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। ঘাঁটিটি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং সেখানে জরুরি অবতরণ ব্যবস্থা কার্যত অচল হয়ে পড়েছে।

পাঠানকোট বিমানঘাঁটিতে রানওয়ে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। এতে মাঝারি ধরনের ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে।

জলন্ধর বিমানঘাঁটিও হামলার শিকার হয়েছে, যদিও সেখানে সুনির্দিষ্ট ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো নিশ্চিত করা যায়নি।

গুজরাটে একাধিক বিমানঘাঁটিতে আঘাত হানার খবর জানানো হয়েছে।

দিল্লি অঞ্চল, বিশেষত হিসারে, পাকিস্তান থেকে ছোড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করা হয়েছে। তবে এতে কোনো নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম হয়নি।

রাজস্থানে সেনাবাহিনীর কিছু স্থাপনায় হামলা চালানো হয়েছে, তবে এখনো সেখানে ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।

শ্রীনগর বিমানঘাঁটিতে হামলার ঘটনায় হতাহতের খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে।

অন্যদিকে, চণ্ডীগড়ের একটি অস্ত্র ডিপোতে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে তা সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করা হয়েছে বলে দাবি করছে পাকিস্তানপক্ষ।

পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, এই প্রতিক্রিয়া ভারতীয় সেনাবাহিনীর সাম্প্রতিক আগ্রাসনের পরিপ্রেক্ষিতে নেওয়া হয়েছে। দুই দেশের সীমান্তে উত্তেজনা ক্রমেই বাড়ছে। আন্তর্জাতিক মহল পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং উভয় পক্ষকে সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানানো হচ্ছে।