ঢাকা ০২:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৫, ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
এআই চ্যাটবট নিয়ে গুরুতর তথ্য ফাঁস স্বীকার করল মেটা নবীগঞ্জে ৩০ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদককারবারি আটক সংগ্রাম-শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় ৮১ বছরে খালেদা জিয়া রাশিয়ার সম্ভাব্য হুমকি মোকাবিলায় ড্রোন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খুলছে লিথুয়ানিয়া এআই–ভিত্তিক হার্ডওয়্যারে বড় উদ্যোগ নিচ্ছে অ্যাপল জেরুজালেমকে চিরতরে ছিনিয়ে নিতে ই-ওয়ান বসতি প্রকল্প পুনরুজ্জীবনের ঘোষণা ইসরাইলি অর্থমন্ত্রীর ইউক্রেনকে অস্ত্র সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্রকে পেছনে ফেলল ইউরোপ সিরিয়ার পুনর্গঠনে ইদলিব হবে কেন্দ্রবিন্দু: প্রেসিডেন্ট শারআ নির্বাচন করলে তফসিলের আগেই উপদেষ্টার পদ ছেড়ে দেব: আসিফ মাহমুদ রাজনীতি থেকে মাইনাস হবে, যারা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করবে: সালাহউদ্দিন

কাঠামোগত সংস্কারে জোর, জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র গড়ার আহ্বান আলী রীয়াজের

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৩:৫১:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ মে ২০২৫
  • / 31

ছবি: সংগৃহীত

 

জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় কাঠামোগত পরিবর্তন অত্যন্ত জরুরি উল্লেখ করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ বলেছেন, “আমরা যদি কাঠামোগত সংস্কারের মধ্য দিয়ে একটি জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র গড়তে পারি, তবে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বাংলাদেশকে একটি আদর্শ রাষ্ট্র হিসেবে বিবেচনা করবে।”

বৃহস্পতিবার (৮ মে) সকালে জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে ভাসানী জনশক্তি পার্টির সঙ্গে সংস্কার আলোচনার সূচনা বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি। আলোচনায় অংশ নেয়া ভাসানী জনশক্তি পার্টির ১৫ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন পার্টির চেয়ারম্যান শেখ রফিকুল ইসলাম বাবুল।

অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, “লাখো মানুষের আত্মত্যাগে অর্জিত গণঅভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশ যেন আর কখনও প্রাণ দিয়ে অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে না হয়। সেই লক্ষ্যেই কাজ করছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।” তিনি আরও বলেন, “ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারলে দেশের কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তনের ধারা সূচিত হবে।”

ভাসানী জনশক্তি পার্টির চেয়ারম্যান শেখ রফিকুল ইসলাম বাবুল বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, ভবিষ্যৎ স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদ রুখতে হলে কাঠামোগত সংস্কার প্রয়োজন। সেই সংস্কারের মধ্য দিয়েই বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে রূপান্তর সম্ভব।” তিনি জানান, কমিশনের প্রস্তাবিত ১৬৬টি সংস্কার সুপারিশের মধ্যে ১২৯টির প্রতি ইতিবাচক মত দিয়েছে তার দল।

আলোচনায় বক্তারা বলেন, দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি, প্রশাসনিক কাঠামো ও বিচার ব্যবস্থার পুনর্গঠন ছাড়া প্রকৃত অর্থে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। এ লক্ষ্যে ঐকমত্য সৃষ্টি এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সক্রিয় অংশগ্রহণের বিকল্প নেই।

এদিনের বৈঠকটি সংস্কার আলোচনার অংশ হিসেবে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ভবিষ্যতে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গেও এ ধরনের সংলাপ অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।

নিউজটি শেয়ার করুন

কাঠামোগত সংস্কারে জোর, জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র গড়ার আহ্বান আলী রীয়াজের

আপডেট সময় ০৩:৫১:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ মে ২০২৫

 

জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় কাঠামোগত পরিবর্তন অত্যন্ত জরুরি উল্লেখ করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ বলেছেন, “আমরা যদি কাঠামোগত সংস্কারের মধ্য দিয়ে একটি জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র গড়তে পারি, তবে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বাংলাদেশকে একটি আদর্শ রাষ্ট্র হিসেবে বিবেচনা করবে।”

বৃহস্পতিবার (৮ মে) সকালে জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে ভাসানী জনশক্তি পার্টির সঙ্গে সংস্কার আলোচনার সূচনা বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি। আলোচনায় অংশ নেয়া ভাসানী জনশক্তি পার্টির ১৫ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন পার্টির চেয়ারম্যান শেখ রফিকুল ইসলাম বাবুল।

অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, “লাখো মানুষের আত্মত্যাগে অর্জিত গণঅভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশ যেন আর কখনও প্রাণ দিয়ে অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে না হয়। সেই লক্ষ্যেই কাজ করছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।” তিনি আরও বলেন, “ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারলে দেশের কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তনের ধারা সূচিত হবে।”

ভাসানী জনশক্তি পার্টির চেয়ারম্যান শেখ রফিকুল ইসলাম বাবুল বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, ভবিষ্যৎ স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদ রুখতে হলে কাঠামোগত সংস্কার প্রয়োজন। সেই সংস্কারের মধ্য দিয়েই বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে রূপান্তর সম্ভব।” তিনি জানান, কমিশনের প্রস্তাবিত ১৬৬টি সংস্কার সুপারিশের মধ্যে ১২৯টির প্রতি ইতিবাচক মত দিয়েছে তার দল।

আলোচনায় বক্তারা বলেন, দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি, প্রশাসনিক কাঠামো ও বিচার ব্যবস্থার পুনর্গঠন ছাড়া প্রকৃত অর্থে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। এ লক্ষ্যে ঐকমত্য সৃষ্টি এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সক্রিয় অংশগ্রহণের বিকল্প নেই।

এদিনের বৈঠকটি সংস্কার আলোচনার অংশ হিসেবে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ভবিষ্যতে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গেও এ ধরনের সংলাপ অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।