ঢাকা ১২:৩৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে প্রথমবারের মতো ভারতীয় আগরবাতি আমদানি ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে চেয়েছিলেন ক্যাপ্টেন তৌকির, লড়েছেন শেষ পর্যন্ত উত্তরায় প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত: হতাহতের খবর এখনও মেলেনি ইতালির প্রধানমন্ত্রী ঢাকায় আসছেন: অভিবাসন বিষয়ক বৈঠক হবে বিশেষ গুরুত্বের সাথে ফার্মগেট স্টেশনে মেট্রোরেল আটকে যাওয়ার পর ফের চালু সাজিদের মৃত্যুর ঘটনায় ইবি প্রশাসনের সংবাদ সম্মেলন, তদন্তে শিক্ষার্থী অন্তর্ভুক্তির আশ্বাস ইকুয়েডরে ভয়াবহ সংঘর্ষ: পিকআপ ট্রাক ও এসইউভিতে নিহত ৯ ৪৮তম বিশেষ বিসিএস: ৫২০৬ জন উত্তীর্ণ ইসরায়েলি সেনার গুলিতে নিহত ৬৭ ফিলিস্তিনি: ত্রাণ নিতে আসার সময় ঘটে এ ঘটনা গাজীপুরে নাসির হত্যার ঘটনায় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য গ্রেপ্তার

পাবনায় বিএনপি নেতার বাড়ির সামনে ককটেল বিস্ফোরণ ও সংঘর্ষ, আহত ৫

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:১১:৪৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫
  • / 79

ছবি সংগৃহীত

 

পাবনা শহরের রাঘবপুর এলাকায় জেলা বিএনপির সদস্যসচিব মাসুদ খন্দকারের বাড়ির সামনে ককটেল বিস্ফোরণ ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার রাত সাড়ে আটটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত পাঁচজন নেতা-কর্মী আহত হন।

ঘটনার পর মাসুদ খন্দকার দাবি করেন, তাঁকে হত্যার উদ্দেশ্যেই হামলা চালানো হয়েছিল। তবে পুলিশ বলছে, বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে মারপিট ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। গুলির কোনো আলামত পাওয়া যায়নি।

প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে, সন্ধ্যার পর থেকেই মাসুদ খন্দকারের বাড়ির সামনে নেতাকর্মীদের ভিড় বাড়তে থাকে। রাত আটটার দিকে পাবনা পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ফরহাদ জোয়াদ্দারের নেতৃত্বে একটি মোটরসাইকেল বহর সেখানে পৌঁছায়। কিছুক্ষণ পর আরও একটি মোটরসাইকেল বহর সেখানে আসে। এরপর দুই পক্ষের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক থেকে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।

সংঘর্ষ চলাকালে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে এবং কিছু গুলির শব্দ শোনা যায় বলে জানান স্থানীয়রা। এতে মাসুদ খন্দকারের অনুসারী অন্তত পাঁচজন আহত হন। তাদেরকে পাবনা জেনারেল হাসপাতাল ও বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।

মাসুদ খন্দকার বলেন, “প্রতিদিনই আমার বাড়ির সামনে নেতা-কর্মীরা অবস্থান করেন। আমি ঘটনার সময় বাড়ির ভেতরে ছিলাম। হঠাৎ একদল সশস্ত্র দুর্বৃত্ত মোটরসাইকেলে এসে গুলি চালায় ও ককটেল ফাটায়। আমার জীবননাশের উদ্দেশ্যেই এ হামলা করা হয়েছে।”

এ ঘটনায় দ্রুত তদন্ত ও দোষীদের বিচারের দাবি জানান তিনি।

পাবনা সদর থানার ওসি আবদুস সালাম বলেন, “বিএনপির নতুন কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে দলীয় কোন্দল চলছিল। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে এ কারণেই ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক। একটি ককটেল বিস্ফোরণের আলামত মিলেছে, তবে গুলির কোনো আলামত পাওয়া যায়নি।”

ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লেও বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

এই ঘটনায় এলাকায় রাজনৈতিক উত্তেজনা আবারও নতুন করে চাঙা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্তে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

পাবনায় বিএনপি নেতার বাড়ির সামনে ককটেল বিস্ফোরণ ও সংঘর্ষ, আহত ৫

আপডেট সময় ১০:১১:৪৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫

 

পাবনা শহরের রাঘবপুর এলাকায় জেলা বিএনপির সদস্যসচিব মাসুদ খন্দকারের বাড়ির সামনে ককটেল বিস্ফোরণ ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার রাত সাড়ে আটটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত পাঁচজন নেতা-কর্মী আহত হন।

ঘটনার পর মাসুদ খন্দকার দাবি করেন, তাঁকে হত্যার উদ্দেশ্যেই হামলা চালানো হয়েছিল। তবে পুলিশ বলছে, বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে মারপিট ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। গুলির কোনো আলামত পাওয়া যায়নি।

প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে, সন্ধ্যার পর থেকেই মাসুদ খন্দকারের বাড়ির সামনে নেতাকর্মীদের ভিড় বাড়তে থাকে। রাত আটটার দিকে পাবনা পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ফরহাদ জোয়াদ্দারের নেতৃত্বে একটি মোটরসাইকেল বহর সেখানে পৌঁছায়। কিছুক্ষণ পর আরও একটি মোটরসাইকেল বহর সেখানে আসে। এরপর দুই পক্ষের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক থেকে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।

সংঘর্ষ চলাকালে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে এবং কিছু গুলির শব্দ শোনা যায় বলে জানান স্থানীয়রা। এতে মাসুদ খন্দকারের অনুসারী অন্তত পাঁচজন আহত হন। তাদেরকে পাবনা জেনারেল হাসপাতাল ও বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।

মাসুদ খন্দকার বলেন, “প্রতিদিনই আমার বাড়ির সামনে নেতা-কর্মীরা অবস্থান করেন। আমি ঘটনার সময় বাড়ির ভেতরে ছিলাম। হঠাৎ একদল সশস্ত্র দুর্বৃত্ত মোটরসাইকেলে এসে গুলি চালায় ও ককটেল ফাটায়। আমার জীবননাশের উদ্দেশ্যেই এ হামলা করা হয়েছে।”

এ ঘটনায় দ্রুত তদন্ত ও দোষীদের বিচারের দাবি জানান তিনি।

পাবনা সদর থানার ওসি আবদুস সালাম বলেন, “বিএনপির নতুন কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে দলীয় কোন্দল চলছিল। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে এ কারণেই ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক। একটি ককটেল বিস্ফোরণের আলামত মিলেছে, তবে গুলির কোনো আলামত পাওয়া যায়নি।”

ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লেও বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

এই ঘটনায় এলাকায় রাজনৈতিক উত্তেজনা আবারও নতুন করে চাঙা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্তে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।