ঢাকা ১২:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৫, ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
এআই চ্যাটবট নিয়ে গুরুতর তথ্য ফাঁস স্বীকার করল মেটা নবীগঞ্জে ৩০ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদককারবারি আটক সংগ্রাম-শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় ৮১ বছরে খালেদা জিয়া রাশিয়ার সম্ভাব্য হুমকি মোকাবিলায় ড্রোন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খুলছে লিথুয়ানিয়া এআই–ভিত্তিক হার্ডওয়্যারে বড় উদ্যোগ নিচ্ছে অ্যাপল জেরুজালেমকে চিরতরে ছিনিয়ে নিতে ই-ওয়ান বসতি প্রকল্প পুনরুজ্জীবনের ঘোষণা ইসরাইলি অর্থমন্ত্রীর ইউক্রেনকে অস্ত্র সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্রকে পেছনে ফেলল ইউরোপ সিরিয়ার পুনর্গঠনে ইদলিব হবে কেন্দ্রবিন্দু: প্রেসিডেন্ট শারআ নির্বাচন করলে তফসিলের আগেই উপদেষ্টার পদ ছেড়ে দেব: আসিফ মাহমুদ রাজনীতি থেকে মাইনাস হবে, যারা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করবে: সালাহউদ্দিন

শিক্ষার্থীদের মুচলেকা দিলে মামলা-জিডি প্রত্যাহারের ঘোষণা বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:৪২:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫
  • / 75

ছবি সংগৃহীত

 

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা মুচলেকা দিলে তাঁদের বিরুদ্ধে করা মামলা ও সাধারণ ডায়েরি (জিডি) প্রত্যাহার করা হবে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক শুচিতা শরমিন।

আজ রোববার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে উপাচার্যের বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান। উপাচার্য বলেন, “সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলামকে অপসারণ করা হয়েছে। সাত দিনের মধ্যে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নতুন রেজিস্ট্রার নিয়োগ দেওয়া হবে।”

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে করা মামলা ও জিডি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “শিক্ষার্থীরা যদি মুচলেকা দেয়, তবে তাদের বিরুদ্ধে মামলা ও জিডি প্রত্যাহার করা হবে।”

এ সময় তিনি আরও জানান, ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ মহসিন উদ্দীনকে সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিল থেকে অব্যাহতির যে দাবি উঠেছে, সেটি হাইকোর্টে বিচারাধীন। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি ফ্যাসিস্ট সরকারের সমর্থক বলে চিহ্নিত শিক্ষক-কর্মকর্তাদের শনাক্ত করতে একজন সিন্ডিকেট সদস্যকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী জেবুন্নেছা হকের ক্যানসারে মৃত্যুর ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “জেবুন্নেছা চিকিৎসা সহায়তার জন্য আবেদন করেছিলেন। তা যথাসময়ে না পাওয়ার অভিযোগ তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।”

প্রসঙ্গত, রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলামের অপসারণের দাবিতে গত ২৭ এপ্রিল থেকে আন্দোলনে নামে একদল শিক্ষার্থী। তাঁরা তাঁকে ‘ফ্যাসিস্টদের দোসর’ দাবি করে কুশপুত্তলিকা দাহ ও রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার (নিরাপত্তা) কে এম সানোয়ার পারভেজ ১০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ১০–১২ জন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে জিডি করেন।

এর আগে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি উপাচার্যের অপসারণের দাবিতে শিক্ষার্থীরা তাঁর বাসভবনের ফটক ভাঙচুর করলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ৩২ জন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা করে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলামের চার বছরের চাকরির মেয়াদ শেষ হয় গত ৩০ জানুয়ারি। এরপর উপাচার্য তাঁকে দায়িত্বে রাখেন এবং পরবর্তী সিন্ডিকেট সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়ার ঘোষণা দেন। অবশেষে গতকাল শনিবার ৮৮তম বিশেষ সিন্ডিকেট সভায় তাঁকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

শিক্ষার্থীদের মুচলেকা দিলে মামলা-জিডি প্রত্যাহারের ঘোষণা বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের

আপডেট সময় ০৪:৪২:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫

 

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা মুচলেকা দিলে তাঁদের বিরুদ্ধে করা মামলা ও সাধারণ ডায়েরি (জিডি) প্রত্যাহার করা হবে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক শুচিতা শরমিন।

আজ রোববার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে উপাচার্যের বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান। উপাচার্য বলেন, “সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলামকে অপসারণ করা হয়েছে। সাত দিনের মধ্যে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নতুন রেজিস্ট্রার নিয়োগ দেওয়া হবে।”

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে করা মামলা ও জিডি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “শিক্ষার্থীরা যদি মুচলেকা দেয়, তবে তাদের বিরুদ্ধে মামলা ও জিডি প্রত্যাহার করা হবে।”

এ সময় তিনি আরও জানান, ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ মহসিন উদ্দীনকে সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিল থেকে অব্যাহতির যে দাবি উঠেছে, সেটি হাইকোর্টে বিচারাধীন। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি ফ্যাসিস্ট সরকারের সমর্থক বলে চিহ্নিত শিক্ষক-কর্মকর্তাদের শনাক্ত করতে একজন সিন্ডিকেট সদস্যকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী জেবুন্নেছা হকের ক্যানসারে মৃত্যুর ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “জেবুন্নেছা চিকিৎসা সহায়তার জন্য আবেদন করেছিলেন। তা যথাসময়ে না পাওয়ার অভিযোগ তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।”

প্রসঙ্গত, রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলামের অপসারণের দাবিতে গত ২৭ এপ্রিল থেকে আন্দোলনে নামে একদল শিক্ষার্থী। তাঁরা তাঁকে ‘ফ্যাসিস্টদের দোসর’ দাবি করে কুশপুত্তলিকা দাহ ও রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার (নিরাপত্তা) কে এম সানোয়ার পারভেজ ১০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ১০–১২ জন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে জিডি করেন।

এর আগে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি উপাচার্যের অপসারণের দাবিতে শিক্ষার্থীরা তাঁর বাসভবনের ফটক ভাঙচুর করলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ৩২ জন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা করে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলামের চার বছরের চাকরির মেয়াদ শেষ হয় গত ৩০ জানুয়ারি। এরপর উপাচার্য তাঁকে দায়িত্বে রাখেন এবং পরবর্তী সিন্ডিকেট সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়ার ঘোষণা দেন। অবশেষে গতকাল শনিবার ৮৮তম বিশেষ সিন্ডিকেট সভায় তাঁকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।