ঢাকা ০৮:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫, ১০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কেমিক্যাল বিস্ফোরণে দগ্ধ ৩ শ্রমিক, ভর্তি বার্ন ইনস্টিটিউটে ভারতের কোচ হওয়ার ইচ্ছা জানালেন জাভি হার্নান্দেজ ভক্তদের জন্য উপহার, আসছে মাইকেল জ্যাকসনের বায়োপিক “মিরপুরের উইকেট নিয়ে লিটনের ভিন্ন সুর” আগামী আগস্ট থেকে সিরিয়ায় গ্যাস সরবরাহ করবে আজারবাইজান, তুরস্ক হবে ট্রানজিট পথ তুরস্কের ইউরোফাইটার চুক্তিতে অস্বস্তিতে ইসরায়েল: “গেমচেঞ্জার না হলেও মাথাব্যথা” ওমান সাগরে উত্তেজনা: ইরানি হেলিকপ্টারের হুঁশিয়ারিতে পথ বদলালো মার্কিন যুদ্ধজাহাজ বাগেরহাটে লোকালয়ে ঢুকে পড়া বিশাল অজগর উদ্ধার গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান, ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতির ঘোষণা দিলেন ম্যাক্রোঁ থানার ভেতরে ছুরিকাঘাত, গাইবান্ধার এএসআই গুরুতর আহত”

ঈদ ঘিরে সীমান্তে সক্রিয় পশু চোরাচালান চক্র, বিপাকে দেশি খামারিরা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:০৭:২০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫
  • / 72

ছবি সংগৃহীত

 

ঈদুল আজহা সামনে রেখে দেশের উত্তর-পূর্ব সীমান্তে আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে চোরাচালান চক্র। রাতের আঁধারে কাঁটাতার পেরিয়ে ভারত থেকে চোরাই পথে দেশে ঢুকছে গরু, মহিষসহ নানা ধরনের পশু। এসব পশু নির্দিষ্ট বাজারে বৈধতার মোড়কে বিক্রি হচ্ছে প্রকাশ্যেই। ফলে সংকটে পড়েছেন প্রান্তিক কৃষক, খামারি ও দেশি পশু ব্যবসায়ীরা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রাতের ঘন অন্ধকারে সীমান্তের ফাঁকফোকর গলে পশু পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে দেশের অভ্যন্তরে। এজন্য রয়েছে নির্ধারিত লোকবল ও পারিশ্রমিক ব্যবস্থা। সীমান্তরক্ষীদের চোখ ফাঁকি দিয়ে চক্রটি বিশেষ কৌশলে দীর্ঘদিন ধরে সিলেট অঞ্চলের বিভিন্ন সীমান্ত ব্যবহার করে পশু চোরাচালান করে আসছে।

বিজিবি নিয়মিত অভিযান চালিয়ে চোরাই পশু আটক করলেও মূল হোতারা থেকে যাচ্ছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। ঈদ ঘিরে চক্রটি আরও সক্রিয় হয়ে উঠেছে। সময় সংবাদ অনুসরণ করে এমন একটি ট্রাকের খোঁজ পেয়েছে, যেটিতে ছিল চোরাই পশুর চালান।

স্থানীয়দের ভাষ্য, সীমান্তের ওপারে ভারতে গরু লুকিয়ে আনা হয় সুনির্দিষ্ট পদ্ধতিতে। পরে রাতের বেলায় সীমান্ত অতিক্রম করিয়ে দিনের বেলায় দেশের বিভিন্ন হাটবাজারে পৌঁছে দেওয়া হয়। চালকের দাবি, সিলেটের ছাতক, দোয়ারাবাজারের বোগলা বাজারসহ বিভিন্ন হাটে এভাবে গরু নিয়ে যাওয়া হয়।

সুনামগঞ্জের ভারতঘেঁষা বোগলা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন ফার্মের নামে খোলা হয়েছে অস্থায়ী ঘর, যেখানে ভারতীয় পশু থাকছে দিনের পর দিন। অভিযোগ রয়েছে, এখানেই ‘দেশি পশু’ হিসেবে ছাড়পত্র দেওয়া হয় এসব চোরাই গরুকে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এসব অপকর্মে জড়িত প্রভাবশালী একটি সিন্ডিকেট, যারা প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে প্রকাশ্যে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। তারা আরও বলেন, প্রতিদিন অসংখ্য ট্রাকে করে কিংবা হেঁটে এসব গরু আসে।

ফলে বাজারে ভারতীয় পশু ঢুকিয়ে দেশি খামারিদের জন্য তৈরি হচ্ছে চরম ক্ষতির আশঙ্কা। দেশি গরুর দাম পড়ে যাওয়ার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন খামারি ও ব্যবসায়ীরা।

এ বিষয়ে দোয়ারাবাজার থানার ওসি জাহিদুল হক জানান, ঈদকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে এবং সীমান্তে চেকপোস্ট বৃদ্ধি করা হয়েছে।

৪৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. নাজমুল হক বলেন, অনেক সময় বাহক ধরা গেলেও মূল পরিকল্পনাকারীরা রয়ে যাচ্ছে আড়ালে। তাদের শনাক্ত করতে নিয়মিত চেষ্টা চলছে।

উল্লেখ্য, সিলেটের জৈন্তাপুর, কানাইঘাট, বিছানাকান্দি, প্রতাপপুর এবং সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার সীমান্ত দিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই পশু চোরাচালানের অভিযোগ রয়েছে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

ঈদ ঘিরে সীমান্তে সক্রিয় পশু চোরাচালান চক্র, বিপাকে দেশি খামারিরা

আপডেট সময় ১১:০৭:২০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫

 

ঈদুল আজহা সামনে রেখে দেশের উত্তর-পূর্ব সীমান্তে আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে চোরাচালান চক্র। রাতের আঁধারে কাঁটাতার পেরিয়ে ভারত থেকে চোরাই পথে দেশে ঢুকছে গরু, মহিষসহ নানা ধরনের পশু। এসব পশু নির্দিষ্ট বাজারে বৈধতার মোড়কে বিক্রি হচ্ছে প্রকাশ্যেই। ফলে সংকটে পড়েছেন প্রান্তিক কৃষক, খামারি ও দেশি পশু ব্যবসায়ীরা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রাতের ঘন অন্ধকারে সীমান্তের ফাঁকফোকর গলে পশু পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে দেশের অভ্যন্তরে। এজন্য রয়েছে নির্ধারিত লোকবল ও পারিশ্রমিক ব্যবস্থা। সীমান্তরক্ষীদের চোখ ফাঁকি দিয়ে চক্রটি বিশেষ কৌশলে দীর্ঘদিন ধরে সিলেট অঞ্চলের বিভিন্ন সীমান্ত ব্যবহার করে পশু চোরাচালান করে আসছে।

বিজিবি নিয়মিত অভিযান চালিয়ে চোরাই পশু আটক করলেও মূল হোতারা থেকে যাচ্ছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। ঈদ ঘিরে চক্রটি আরও সক্রিয় হয়ে উঠেছে। সময় সংবাদ অনুসরণ করে এমন একটি ট্রাকের খোঁজ পেয়েছে, যেটিতে ছিল চোরাই পশুর চালান।

স্থানীয়দের ভাষ্য, সীমান্তের ওপারে ভারতে গরু লুকিয়ে আনা হয় সুনির্দিষ্ট পদ্ধতিতে। পরে রাতের বেলায় সীমান্ত অতিক্রম করিয়ে দিনের বেলায় দেশের বিভিন্ন হাটবাজারে পৌঁছে দেওয়া হয়। চালকের দাবি, সিলেটের ছাতক, দোয়ারাবাজারের বোগলা বাজারসহ বিভিন্ন হাটে এভাবে গরু নিয়ে যাওয়া হয়।

সুনামগঞ্জের ভারতঘেঁষা বোগলা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন ফার্মের নামে খোলা হয়েছে অস্থায়ী ঘর, যেখানে ভারতীয় পশু থাকছে দিনের পর দিন। অভিযোগ রয়েছে, এখানেই ‘দেশি পশু’ হিসেবে ছাড়পত্র দেওয়া হয় এসব চোরাই গরুকে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এসব অপকর্মে জড়িত প্রভাবশালী একটি সিন্ডিকেট, যারা প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে প্রকাশ্যে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। তারা আরও বলেন, প্রতিদিন অসংখ্য ট্রাকে করে কিংবা হেঁটে এসব গরু আসে।

ফলে বাজারে ভারতীয় পশু ঢুকিয়ে দেশি খামারিদের জন্য তৈরি হচ্ছে চরম ক্ষতির আশঙ্কা। দেশি গরুর দাম পড়ে যাওয়ার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন খামারি ও ব্যবসায়ীরা।

এ বিষয়ে দোয়ারাবাজার থানার ওসি জাহিদুল হক জানান, ঈদকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে এবং সীমান্তে চেকপোস্ট বৃদ্ধি করা হয়েছে।

৪৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. নাজমুল হক বলেন, অনেক সময় বাহক ধরা গেলেও মূল পরিকল্পনাকারীরা রয়ে যাচ্ছে আড়ালে। তাদের শনাক্ত করতে নিয়মিত চেষ্টা চলছে।

উল্লেখ্য, সিলেটের জৈন্তাপুর, কানাইঘাট, বিছানাকান্দি, প্রতাপপুর এবং সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার সীমান্ত দিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই পশু চোরাচালানের অভিযোগ রয়েছে।