ঢাকা ০৭:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ২৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সাগরিকার হ্যাটট্রিক: শ্রীলঙ্কাকে গোলবন্যায় ভাসাল বাংলাদেশ বিএনপির দুই পক্ষে সংঘর্ষ: পাবনায় ১০ নেতাকর্মীর বহিষ্কার কর্ণফুলী ইপিজেডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড: আগুন নিয়ন্ত্রণে ৮ ইউনিটের অভিযান চারদিন সাগরে ভেসে থাকা ৯ জেলেকে উদ্ধার: এখনও নিখোঁজ ৩ বাংলাদেশে প্রথমবার মুক্তি পাচ্ছে নেপালি ছবি: ‘ন ডরাই’ এর বিনিময়ে ফয়জুল করীম: ‘দেশের রাজনৈতিক সংস্কার ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়’ বিশ্বাসীদের কবি আল মাহমুদের ৯০তম জন্মদিন আজ ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্নের পথে ইউরোপীয় ইউনিয়ন হাসপাতাল নিতে বলায় গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যা: আতঙ্কজনক ঘটনা ডেঙ্গু আতঙ্ক: মৃত্যু ২, হাসপাতালে ভর্তি ৩৩৭

পাকিস্তানি পণ্যে নিষেধাজ্ঞা জারি করলো ভারত, বন্ধ হলো আমদানি

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৩:১১:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫
  • / 29

ছবি সংগৃহীত

 

কাশ্মীরের পহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের উত্তেজনা নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। এরই মধ্যে ভারত সরকার পাকিস্তান থেকে সব ধরনের পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ করেছে। শনিবার (৩ মে) ভারতের শীর্ষ সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এক নির্দেশনায় জানিয়েছে, জাতীয় নিরাপত্তা ও জননীতির স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাকিস্তানে উৎপাদিত বা দেশটি থেকে রপ্তানিকৃত কোনো পণ্যই আর ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করতে পারবে না। আদেশটি তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হয়েছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, বর্তমানে পাকিস্তান থেকে সরাসরি খুব কম পণ্যই ভারতে আসে। তবে কিছু পণ্য তৃতীয় কোনো দেশের মাধ্যমে বা পরোক্ষ পথে প্রবেশ করত। এবার সেই পরোক্ষ চ্যানেলও বন্ধ করতে চায় ভারত। এজন্যই কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মোদি সরকার।

নিষেধাজ্ঞা জারির আদেশে আরও বলা হয়, শুধুমাত্র ভারত সরকারের বিশেষ অনুমোদন পেলেই কোনো ব্যতিক্রম ঘটতে পারবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।

এর আগে, ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগামে পর্যটকদের বহনকারী একটি বাসে ভয়াবহ হামলা চালানো হয়। হামলায় কমপক্ষে ২৬ জন প্রাণ হারান। হামলার দায় এখনও কেউ স্বীকার না করলেও, নয়াদিল্লি পরোক্ষভাবে ইসলামাবাদকে দায়ী করছে। এর জেরে একাধিক কৌশলগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। এর মধ্যে রয়েছে পাকিস্তানিদের ভিসা বাতিল, সিন্ধু পানিচুক্তি স্থগিত এবং ওয়াঘা-আটারি সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ করা।

উল্লেখ্য, পাকিস্তান এই হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। দেশটি বলেছে, তারা একটি স্বচ্ছ ও বিশ্বাসযোগ্য তদন্তে অংশ নিতে প্রস্তুত। জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসলামাবাদ শান্তিপূর্ণ সমাধানের পক্ষে এবং উত্তেজনা নিরসনে আলোচনার মাধ্যমে পথ খুঁজে পেতে চায়।

এই পরিস্থিতিতে দক্ষিণ এশিয়ার দুই পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশী দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও অবনতির দিকে যাচ্ছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

পাকিস্তানি পণ্যে নিষেধাজ্ঞা জারি করলো ভারত, বন্ধ হলো আমদানি

আপডেট সময় ০৩:১১:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫

 

কাশ্মীরের পহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের উত্তেজনা নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। এরই মধ্যে ভারত সরকার পাকিস্তান থেকে সব ধরনের পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ করেছে। শনিবার (৩ মে) ভারতের শীর্ষ সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এক নির্দেশনায় জানিয়েছে, জাতীয় নিরাপত্তা ও জননীতির স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাকিস্তানে উৎপাদিত বা দেশটি থেকে রপ্তানিকৃত কোনো পণ্যই আর ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করতে পারবে না। আদেশটি তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হয়েছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, বর্তমানে পাকিস্তান থেকে সরাসরি খুব কম পণ্যই ভারতে আসে। তবে কিছু পণ্য তৃতীয় কোনো দেশের মাধ্যমে বা পরোক্ষ পথে প্রবেশ করত। এবার সেই পরোক্ষ চ্যানেলও বন্ধ করতে চায় ভারত। এজন্যই কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মোদি সরকার।

নিষেধাজ্ঞা জারির আদেশে আরও বলা হয়, শুধুমাত্র ভারত সরকারের বিশেষ অনুমোদন পেলেই কোনো ব্যতিক্রম ঘটতে পারবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।

এর আগে, ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগামে পর্যটকদের বহনকারী একটি বাসে ভয়াবহ হামলা চালানো হয়। হামলায় কমপক্ষে ২৬ জন প্রাণ হারান। হামলার দায় এখনও কেউ স্বীকার না করলেও, নয়াদিল্লি পরোক্ষভাবে ইসলামাবাদকে দায়ী করছে। এর জেরে একাধিক কৌশলগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। এর মধ্যে রয়েছে পাকিস্তানিদের ভিসা বাতিল, সিন্ধু পানিচুক্তি স্থগিত এবং ওয়াঘা-আটারি সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ করা।

উল্লেখ্য, পাকিস্তান এই হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। দেশটি বলেছে, তারা একটি স্বচ্ছ ও বিশ্বাসযোগ্য তদন্তে অংশ নিতে প্রস্তুত। জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসলামাবাদ শান্তিপূর্ণ সমাধানের পক্ষে এবং উত্তেজনা নিরসনে আলোচনার মাধ্যমে পথ খুঁজে পেতে চায়।

এই পরিস্থিতিতে দক্ষিণ এশিয়ার দুই পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশী দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও অবনতির দিকে যাচ্ছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।