ঢাকা ১১:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ইরান কয়েক মাসের মধ্যেই সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম উৎপাদন শুরু করতে পারে: আইএইএ পাকিস্তানে মুষলধারে বৃষ্টি ও আকস্মিক বন্যায় ২৫ জনের মৃত্যু, নিখোঁজ ১৭ বাংলাদেশ ক্রিকেটকে তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে দিতে নিরলস প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বিসিবি: আমিনুল ইসলাম বাংলাদেশের জন্য পিআর পদ্ধতির নির্বাচন প্রযোজ্য নয়: সালাহউদ্দিন আহমদ চীন থেকে যুদ্ধবিমান কেনার খবর ভিত্তিহীন, ইরানের কড়া প্রতিবাদ ইসরায়েলি হামলায় ইরানের আইআরজিসি সদর দপ্তরে নিহত হয়েছিল ৪১ জন গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় নিহত ৮১, ধ্বংসস্তূপে চলছে মরদেহ উদ্ধার মুরাদনগরে প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ ঘটনায় মূল আসামিসহ গ্রেপ্তার ৫ গাজায় ইসরাইলি অবরোধে অপুষ্টিতে ৬৬ শিশুর মৃত্যু জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইরানের আনুষ্ঠানিক অভিযোগ

আবরার ফাহাদ হত্যা: হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ – ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৫ জনের যাবজ্জীবন

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:৫২:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫
  • / 30

ছবি সংগৃহীত

 

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড এবং পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ বহাল রেখে হাইকোর্ট ১৩১ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেছে।

গত ১৬ মার্চ বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি শেষে এই রায় দেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে দেওয়া এই রায়ে আদালত বলেন, আবরার ফাহাদকে পরিকল্পিতভাবে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল, যার জন্য দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রয়োজন।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের একটি কক্ষে আবরার ফাহাদকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী। তিনি তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

হত্যাকাণ্ডের পরদিনই আবরারের বাবা বরকতউল্লাহ ঢাকার চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। এরপর ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এ মামলার রায় ঘোষণা করেন বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান।

ওই রায়ে বিচারক বলেন, “আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে একে অপরের সহায়তায় শিবির সন্দেহে আবরারের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলে এবং তাকে অত্যন্ত নিষ্ঠুরভাবে পিটিয়ে হত্যা করে। এটি ছিল এক জঘন্য হত্যাকাণ্ড।”

আদালতের রায়ে ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। পরবর্তীতে রায় উচ্চ আদালতে ডেথ রেফারেন্স ও আপিল হিসেবে পাঠানো হয়, যা গত ১৬ মার্চ চূড়ান্তভাবে রায় ঘোষণা করে হাইকোর্ট।

আবরার হত্যাকাণ্ড দেশজুড়ে ব্যাপক আলোড়ন তোলে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ন্যায়বিচারের দাবিতে উত্তাল হয় তরুণ সমাজ। এই রায়ের মাধ্যমে আদালত আবারও প্রমাণ করলো যে, ন্যায়বিচার অবশেষে প্রতিষ্ঠিত হয়, যদিও সময় লাগে।

হাইকোর্টের প্রকাশিত পূর্ণাঙ্গ রায় এখন দেশের বিচারপ্রক্রিয়ায় একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আবরার ফাহাদ হত্যা: হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ – ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৫ জনের যাবজ্জীবন

আপডেট সময় ০১:৫২:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫

 

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড এবং পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ বহাল রেখে হাইকোর্ট ১৩১ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেছে।

গত ১৬ মার্চ বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি শেষে এই রায় দেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে দেওয়া এই রায়ে আদালত বলেন, আবরার ফাহাদকে পরিকল্পিতভাবে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল, যার জন্য দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রয়োজন।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের একটি কক্ষে আবরার ফাহাদকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী। তিনি তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

হত্যাকাণ্ডের পরদিনই আবরারের বাবা বরকতউল্লাহ ঢাকার চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। এরপর ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এ মামলার রায় ঘোষণা করেন বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান।

ওই রায়ে বিচারক বলেন, “আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে একে অপরের সহায়তায় শিবির সন্দেহে আবরারের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলে এবং তাকে অত্যন্ত নিষ্ঠুরভাবে পিটিয়ে হত্যা করে। এটি ছিল এক জঘন্য হত্যাকাণ্ড।”

আদালতের রায়ে ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। পরবর্তীতে রায় উচ্চ আদালতে ডেথ রেফারেন্স ও আপিল হিসেবে পাঠানো হয়, যা গত ১৬ মার্চ চূড়ান্তভাবে রায় ঘোষণা করে হাইকোর্ট।

আবরার হত্যাকাণ্ড দেশজুড়ে ব্যাপক আলোড়ন তোলে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ন্যায়বিচারের দাবিতে উত্তাল হয় তরুণ সমাজ। এই রায়ের মাধ্যমে আদালত আবারও প্রমাণ করলো যে, ন্যায়বিচার অবশেষে প্রতিষ্ঠিত হয়, যদিও সময় লাগে।

হাইকোর্টের প্রকাশিত পূর্ণাঙ্গ রায় এখন দেশের বিচারপ্রক্রিয়ায় একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।