১১:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রকে ভেনেজুয়েলার হুঁশিয়ারি: “আমাদের হাতে ৫ হাজার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র” সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, গভীর সমুদ্রে যাত্রা নিষেধ আতলেতিকোর জালে ১৪ মিনিটে ৪ গোল, দাপুটে জয়ে আর্সেনাল

বৈধ পথে রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় বাড়ায় দেশের রিজার্ভে স্বস্তি

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৮:৩৬:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫
  • / 37

ছবি সংগৃহীত

 

বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আবারো ঊর্ধ্বমুখী। বর্তমানে দেশের মোট রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৭ দশমিক ৪১ বিলিয়ন ডলারে। বুধবার (৩০ এপ্রিল) বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান।

তিনি জানান, সম্প্রতি অর্থপাচার উল্লেখযোগ্য হারে কমে গেছে। ফলে বৈধ পথে রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি রপ্তানি খাতেও উচ্চ প্রবৃদ্ধি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এই দুটি ইতিবাচক প্রবণতার কারণে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ছে। একই সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে ডলারের বিনিময় হার ১২২ টাকায় স্থিতিশীল রয়েছে, যা দেশের অর্থনীতির জন্য আশার বার্তা।

বিজ্ঞাপন

এর আগে ২০২২ সালের আগস্টে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রিজার্ভ ছিল ৪৮ দশমিক শূন্য ৬ বিলিয়ন ডলার। তবে এরপর থেকে প্রতি মাসে তা কমতে থাকে। গত বছরের জুলাইয়ের শেষ নাগাদ রিজার্ভ কমে দাঁড়ায় ২০ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন ডলারে।

বর্তমানে পরিস্থিতি পরিবর্তনের পথে। সরকার পরিবর্তনের পর থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ থেকে আর ডলার বিক্রি করছে না। বরং ডলার বাজার থেকে সংগ্রহ করছে, যার ফলে বাজারে চাপ কমছে। একই সঙ্গে বাজার ব্যবস্থাপনার কৌশল কাজে লাগিয়ে পূর্বের ৩২০ কোটি ডলারের দায়ও সফলভাবে পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এ প্রসঙ্গে আরিফ হোসেন খান বলেন, “আমদানির ব্যয় স্বাভাবিক, আবার রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় বাড়ায় বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্য অনেকটা স্থিতিশীল অবস্থানে ফিরেছে। আমাদের প্রধান লক্ষ্য এখন রিজার্ভ টেকসইভাবে বাড়ানো এবং বিনিময় হারকে স্থিতিশীল রাখা।”

অর্থনীতিবিদদের মতে, রিজার্ভ বাড়ার এই ধারা অব্যাহত থাকলে আমদানি ব্যয় নির্বাহ, সরকারি ঋণ পরিশোধ এবং আন্তর্জাতিক ব্যবসা বাণিজ্যে আস্থা ফেরাতে বড় ভূমিকা রাখবে।

সব মিলিয়ে রিজার্ভ বাড়ার পাশাপাশি ডলারের দাম স্থিতিশীল থাকা দেশের অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক অগ্রগতির বার্তা দিচ্ছে। অর্থনীতির ভারসাম্য ও স্থিতিশীলতা ধরে রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংকের কৌশল কার্যকর হচ্ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

বৈধ পথে রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় বাড়ায় দেশের রিজার্ভে স্বস্তি

আপডেট সময় ০৮:৩৬:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫

 

বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আবারো ঊর্ধ্বমুখী। বর্তমানে দেশের মোট রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৭ দশমিক ৪১ বিলিয়ন ডলারে। বুধবার (৩০ এপ্রিল) বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান।

তিনি জানান, সম্প্রতি অর্থপাচার উল্লেখযোগ্য হারে কমে গেছে। ফলে বৈধ পথে রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি রপ্তানি খাতেও উচ্চ প্রবৃদ্ধি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এই দুটি ইতিবাচক প্রবণতার কারণে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ছে। একই সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে ডলারের বিনিময় হার ১২২ টাকায় স্থিতিশীল রয়েছে, যা দেশের অর্থনীতির জন্য আশার বার্তা।

বিজ্ঞাপন

এর আগে ২০২২ সালের আগস্টে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রিজার্ভ ছিল ৪৮ দশমিক শূন্য ৬ বিলিয়ন ডলার। তবে এরপর থেকে প্রতি মাসে তা কমতে থাকে। গত বছরের জুলাইয়ের শেষ নাগাদ রিজার্ভ কমে দাঁড়ায় ২০ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন ডলারে।

বর্তমানে পরিস্থিতি পরিবর্তনের পথে। সরকার পরিবর্তনের পর থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ থেকে আর ডলার বিক্রি করছে না। বরং ডলার বাজার থেকে সংগ্রহ করছে, যার ফলে বাজারে চাপ কমছে। একই সঙ্গে বাজার ব্যবস্থাপনার কৌশল কাজে লাগিয়ে পূর্বের ৩২০ কোটি ডলারের দায়ও সফলভাবে পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এ প্রসঙ্গে আরিফ হোসেন খান বলেন, “আমদানির ব্যয় স্বাভাবিক, আবার রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় বাড়ায় বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্য অনেকটা স্থিতিশীল অবস্থানে ফিরেছে। আমাদের প্রধান লক্ষ্য এখন রিজার্ভ টেকসইভাবে বাড়ানো এবং বিনিময় হারকে স্থিতিশীল রাখা।”

অর্থনীতিবিদদের মতে, রিজার্ভ বাড়ার এই ধারা অব্যাহত থাকলে আমদানি ব্যয় নির্বাহ, সরকারি ঋণ পরিশোধ এবং আন্তর্জাতিক ব্যবসা বাণিজ্যে আস্থা ফেরাতে বড় ভূমিকা রাখবে।

সব মিলিয়ে রিজার্ভ বাড়ার পাশাপাশি ডলারের দাম স্থিতিশীল থাকা দেশের অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক অগ্রগতির বার্তা দিচ্ছে। অর্থনীতির ভারসাম্য ও স্থিতিশীলতা ধরে রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংকের কৌশল কার্যকর হচ্ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।