সীমান্ত এলাকায় বিজিবির সাফল্য
চোরাচালান বিরোধী অভিযানে বিজিবি, ডিসেম্বরে ১৪৭ কোটি টাকার পণ্য উদ্ধার
দেশের সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান দমনে অসামান্য দক্ষতা প্রদর্শন করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। গত ডিসেম্বর মাসে পরিচালিত বিভিন্ন অভিযান থেকে ১৪৭ কোটি ৮৪ লাখ ৮৫ হাজার টাকা মূল্যের চোরাচালান পণ্যসামগ্রী জব্দ করেছে এই বাহিনী।
বিজিবির দেওয়া তথ্যমতে, জব্দকৃত পণ্যের তালিকায় রয়েছে ৪ কেজি ১৯২ গ্রাম স্বর্ণ, ১০ কেজি ১২৫ গ্রাম রুপা, ১১,৫২৩টি শাড়ি, ৯,৬১৭টি থ্রিপিস, ৮,৩৮৭টি তৈরি পোশাক, এবং ১০,২০৪ মিটার থান কাপড়। এ ছাড়াও রয়েছে ৭ লাখ ৮৯ হাজার ১৫২টি কসমেটিক সামগ্রী, ১৩ লাখ ৪২ হাজার ৬০৩টি আতশবাজি, ৬,৭৮১ ঘনফুট কাঠ, ২১,৪৯০ কেজি সুপারি, এবং ৩ লাখ ৯৫ হাজার ৩৯৫ কেজি চিনি।
অন্যদিকে, গাড়ি ও পরিবহন সামগ্রীও উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় জব্দ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ৫টি ট্রাক, একটি বাস, ছয়টি পিকআপ, ৩১টি সিএনজি, এবং ৭২টি মোটরসাইকেল। এছাড়া বিজিবি অস্ত্র উদ্ধারেও সাফল্য দেখিয়েছে। উদ্ধার করা অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে একটি পিস্তল, একটি রাইফেল, একটি এয়ারগান, ৫টি ম্যাগাজিন, ১৪ রাউন্ড গুলি, একটি মর্টার শেল, একটি গ্রেনেড এবং একটি রকেট গোলা।
মাদকের তালিকায় রয়েছে ২ লাখ ৬৬ হাজার ২৬২ পিস ইয়াবা, ১ কেজি ৭৯০ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইস, ৬ কেজি ২৬৭ গ্রাম হেরোইন, ৫ কেজি ৭৮৮ গ্রাম কোকেন, ২৮ হাজার ৯১৩ বোতল ফেনসিডিল এবং ১৮ হাজার ৩২৪ বোতল বিদেশি মদ।
চোরাচালান ও মাদক পাচারের অভিযোগে বিজিবি ২০৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে ৪২৬ জন বাংলাদেশি এবং ১৮ জন ভারতীয় নাগরিককে আটক করা হয়েছে। এ ছাড়া অনুপ্রবেশকালে ৭৭২ জন মিয়ানমার নাগরিককে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। বিজিবি জানিয়েছে, চোরাচালান ও মাদক পাচার প্রতিরোধে তাদের অভিযান ভবিষ্যতেও চলমান থাকবে।