ঢাকা ১১:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
মগবাজারের হোটেলে স্ত্রী-সন্তানসহ প্রবাসীর রহস্যজনক মৃত্যু ফরিদপুরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের হোতা কুটি মিয়া অস্ত্র ও মাদকসহ গ্রেফতার এইচএসসি পরীক্ষায় দ্বিতীয় দিনে অনুপস্থিত ২২ হাজার শিক্ষার্থী, বহিষ্কার ৪১ ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক হবে সম্মান এবং পারস্পরিক স্বার্থে: আমীর খসরু ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন দাবি বিএনপির, আপসের প্রশ্ন নেই: দুদু ইরানে আইএইএ মহাপরিচালকের মৃত্যুদণ্ডের দাবির কড়া প্রতিক্রিয়া মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দেশে নতুন করে ১৩ জনের করোনা শনাক্ত, ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু নেই বিসিবির সভা আগামীকাল, এজেন্ডায় থাকছে কী? আজ গাজায় ইসরায়েলি হামলায় তিন শিশুসহ নিহত ১৪ জন শীর্ষক: রেমিট্যান্স প্রবাহে ঊর্ধ্বগতি: জুনের ২৮ দিনেই এসেছে ২৫৩ কোটি ডলার

কাশ্মীর সীমান্তে টানা চার রাত গুলি, সীমান্তবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:৪২:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫
  • / 37

ছবি সংগৃহীত

 

 

কাশ্মীরের পহেলগামে পর্যটকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে টানা চার রাত ধরে গুলির লড়াই চলছে। সীমান্তের বিভিন্ন সেক্টরে ভারতীয় ও পাকিস্তানি সেনাদের মধ্যে গোলাগুলি হয়েছে। তবে এতে শুধু ছোট আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহৃত হয়েছে। ভারতীয় সেনার দাবি, পাকিস্তান বিনা প্ররোচনায় গুলি চালিয়েছে, যার জবাব দিয়েছে ভারত।

পুঞ্চ ও কুপওয়ারায় সংঘর্ষ

রবিবার ও সোমবার মধ্যরাতেও পুঞ্চ ও কুপওয়ারায় গোলাগুলি হয়েছে। এবার প্রথমবার পুঞ্চে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে। ভারতীয় সেনা জানিয়েছে, পুঞ্চে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে পাকিস্তানের সেনা প্রথমে গুলি চালায়। কুপওয়ারাতেও একইভাবে গুলি চলে। তবে কেউ হতাহত হয়নি বলে জানানো হয়েছে।

উরি সীমান্তে উত্তেজনা

ডয়চে ভেলে বাংলার প্রতিনিধি স্যমন্তক ঘোষ উরিতে গিয়ে জানান, শ্রীনগর থেকে ১০৭ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত উরির তিনদিকে পাকিস্তানের সীমান্ত। সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে সাধারণ মানুষ থাকলেও এখন সেখানে বেসামরিক লোকদের যাতায়াত নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

সেখানকার আমন ব্রিজ, যা দিয়ে ভারত-পাকিস্তান চলাচল হতো, সেটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। উরির নদীর ওপর কাঁটাতারের বেড়া তুলে নেওয়া হয়েছে। সেনা উপস্থিতি বাড়ানো হয়েছে। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দিনে গোলাগুলি না হলেও, রাত বারোটার পর থেকে গুলি চলে। এখন পর্যন্ত হতাহতের কোনো খবর নেই।

আশঙ্কায় সীমান্তবাসী

সীমান্তঘেঁষা গ্রামের মানুষ বলছেন, ২০১৬ সালে ভয়াবহ গোলাগুলির সময় অনেককে উরি শহরে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। তাদের আশঙ্কা, আবারও একই পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।

স্থানীয় বাসিন্দা মহম্মদ ইশফাক জানান, “অনেকদিন ধরে বাংকার তৈরির দাবি জানালেও এখনও যথেষ্ট বাংকার হয়নি। রাতের বেলা গুলি শুরু হলে বাংকারে যাওয়া সম্ভব হয় না।”

উরি শহরের বাসিন্দারাও বাংকার না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা বলছেন, কামানের আক্রমণ হলে উরি শহরও নিরাপদ থাকবে না।

উরির বাসিন্দা ওয়াসিম চৌধুরী বলেন, “এই গোলাগুলি বন্ধ হোক। আলোচনা করে একটা সমাধানে পৌঁছানো দরকার। সীমান্তবাসীরা এভাবে সবসময় আতঙ্কে থাকেন।”

উরির পুলিশ জানিয়েছে, জরুরি পরিস্থিতির জন্য বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে। প্রয়োজনে সাধারণ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

কাশ্মীর সীমান্তে টানা চার রাত গুলি, সীমান্তবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক

আপডেট সময় ১২:৪২:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫

 

 

কাশ্মীরের পহেলগামে পর্যটকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে টানা চার রাত ধরে গুলির লড়াই চলছে। সীমান্তের বিভিন্ন সেক্টরে ভারতীয় ও পাকিস্তানি সেনাদের মধ্যে গোলাগুলি হয়েছে। তবে এতে শুধু ছোট আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহৃত হয়েছে। ভারতীয় সেনার দাবি, পাকিস্তান বিনা প্ররোচনায় গুলি চালিয়েছে, যার জবাব দিয়েছে ভারত।

পুঞ্চ ও কুপওয়ারায় সংঘর্ষ

রবিবার ও সোমবার মধ্যরাতেও পুঞ্চ ও কুপওয়ারায় গোলাগুলি হয়েছে। এবার প্রথমবার পুঞ্চে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে। ভারতীয় সেনা জানিয়েছে, পুঞ্চে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে পাকিস্তানের সেনা প্রথমে গুলি চালায়। কুপওয়ারাতেও একইভাবে গুলি চলে। তবে কেউ হতাহত হয়নি বলে জানানো হয়েছে।

উরি সীমান্তে উত্তেজনা

ডয়চে ভেলে বাংলার প্রতিনিধি স্যমন্তক ঘোষ উরিতে গিয়ে জানান, শ্রীনগর থেকে ১০৭ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত উরির তিনদিকে পাকিস্তানের সীমান্ত। সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে সাধারণ মানুষ থাকলেও এখন সেখানে বেসামরিক লোকদের যাতায়াত নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

সেখানকার আমন ব্রিজ, যা দিয়ে ভারত-পাকিস্তান চলাচল হতো, সেটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। উরির নদীর ওপর কাঁটাতারের বেড়া তুলে নেওয়া হয়েছে। সেনা উপস্থিতি বাড়ানো হয়েছে। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দিনে গোলাগুলি না হলেও, রাত বারোটার পর থেকে গুলি চলে। এখন পর্যন্ত হতাহতের কোনো খবর নেই।

আশঙ্কায় সীমান্তবাসী

সীমান্তঘেঁষা গ্রামের মানুষ বলছেন, ২০১৬ সালে ভয়াবহ গোলাগুলির সময় অনেককে উরি শহরে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। তাদের আশঙ্কা, আবারও একই পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।

স্থানীয় বাসিন্দা মহম্মদ ইশফাক জানান, “অনেকদিন ধরে বাংকার তৈরির দাবি জানালেও এখনও যথেষ্ট বাংকার হয়নি। রাতের বেলা গুলি শুরু হলে বাংকারে যাওয়া সম্ভব হয় না।”

উরি শহরের বাসিন্দারাও বাংকার না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা বলছেন, কামানের আক্রমণ হলে উরি শহরও নিরাপদ থাকবে না।

উরির বাসিন্দা ওয়াসিম চৌধুরী বলেন, “এই গোলাগুলি বন্ধ হোক। আলোচনা করে একটা সমাধানে পৌঁছানো দরকার। সীমান্তবাসীরা এভাবে সবসময় আতঙ্কে থাকেন।”

উরির পুলিশ জানিয়েছে, জরুরি পরিস্থিতির জন্য বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে। প্রয়োজনে সাধারণ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হবে।