ঢাকা ০৮:৪২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৫, ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
নির্বাচন করলে তফসিলের আগেই উপদেষ্টার পদ ছেড়ে দেব: আসিফ মাহমুদ রাজনীতি থেকে মাইনাস হবে, যারা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করবে: সালাহউদ্দিন ইউক্রেন যুদ্ধ সমাধানে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর মডেলের প্রস্তাব ডিএমপি আবারো রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে যান চলাচল বন্ধ, যমুনা সেতুতে শিক্ষার্থীদের ব্লকেড ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৩ ইউক্রেনের ক্ষেপণাস্ত্র কারখানায় রাশিয়ার হামলা নির্বাচন ফেব্রুয়ারি মাস যেন ক্রস না করে : শামসুজ্জামান দুদু ভোলাগঞ্জে সাদা পাথর লুট: দায়ীদের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট, শুনানি ১৭ আগস্ট ত্রিদেশীয় জয় শেষে ইংল্যান্ড সফরে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব–১৯ দল

কুয়েট উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য অব্যাহতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:৩৩:৫৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫
  • / 32

ছবি সংগৃহীত

 

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ এবং উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ শরীফুল আলমকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। দীর্ঘ প্রায় দুই মাস ধরে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের প্রেক্ষিতে তাদের এ অব্যাহতি দেওয়া হলো।

প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে ‘খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০০৩’ এর ধারা ১০(২) অনুযায়ী উপাচার্য হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদকে তার নিজ বিভাগে প্রত্যাবর্তনের নির্দেশ দিয়ে তার উপাচার্য পদের আদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। একইভাবে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ শরীফুল আলমকেও পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। জনস্বার্থে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব এ এস এম কাসেম এই প্রজ্ঞাপনে স্বাক্ষর করেন।

জানা গেছে, কুয়েটে ছাত্র-রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রদল ও বহিরাগতদের সংঘর্ষ ঘটে। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীসহ প্রায় দেড় শতাধিক মানুষ আহত হন। এরপর থেকেই কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থী উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের অপসারণের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। টানা দুই মাস ধরে এই আন্দোলন চলতে থাকে।

সম্প্রতি ২৩ এপ্রিল রাতে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মামুন অর রশিদ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান, উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যকে অব্যাহতির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাতে ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অতি দ্রুত একটি সার্চ কমিটি গঠন করে দুই শূন্য পদে নতুন নিয়োগ দেওয়া হবে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম সচল রাখার স্বার্থে সিনিয়র অধ্যাপকদের মধ্যে একজনকে সাময়িকভাবে উপাচার্যের দায়িত্ব দেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, কুয়েটে চলমান এই পরিস্থিতি শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের মধ্যে উত্তেজনা বাড়িয়ে তুলেছিল। অব্যাহতির এ সিদ্ধান্তে চলমান সংকটের অবসান হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

কুয়েট উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য অব্যাহতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি

আপডেট সময় ১১:৩৩:৫৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫

 

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ এবং উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ শরীফুল আলমকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। দীর্ঘ প্রায় দুই মাস ধরে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের প্রেক্ষিতে তাদের এ অব্যাহতি দেওয়া হলো।

প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে ‘খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০০৩’ এর ধারা ১০(২) অনুযায়ী উপাচার্য হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদকে তার নিজ বিভাগে প্রত্যাবর্তনের নির্দেশ দিয়ে তার উপাচার্য পদের আদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। একইভাবে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ শরীফুল আলমকেও পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। জনস্বার্থে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব এ এস এম কাসেম এই প্রজ্ঞাপনে স্বাক্ষর করেন।

জানা গেছে, কুয়েটে ছাত্র-রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রদল ও বহিরাগতদের সংঘর্ষ ঘটে। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীসহ প্রায় দেড় শতাধিক মানুষ আহত হন। এরপর থেকেই কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থী উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের অপসারণের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। টানা দুই মাস ধরে এই আন্দোলন চলতে থাকে।

সম্প্রতি ২৩ এপ্রিল রাতে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মামুন অর রশিদ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান, উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যকে অব্যাহতির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাতে ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অতি দ্রুত একটি সার্চ কমিটি গঠন করে দুই শূন্য পদে নতুন নিয়োগ দেওয়া হবে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম সচল রাখার স্বার্থে সিনিয়র অধ্যাপকদের মধ্যে একজনকে সাময়িকভাবে উপাচার্যের দায়িত্ব দেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, কুয়েটে চলমান এই পরিস্থিতি শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের মধ্যে উত্তেজনা বাড়িয়ে তুলেছিল। অব্যাহতির এ সিদ্ধান্তে চলমান সংকটের অবসান হবে বলে আশা করা হচ্ছে।