শুটকিপল্লীতে মাছের সংকট
সুন্দরবনের দুবলার চরে শুটকি পল্লীতে মাছের সংকট, ব্যবসায়ীদের লোকসানের শঙ্কা
বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনের স্মরণখোলা এলাকায় অবস্থিত দুবলার চরের শুটকি পল্লীতে মাছের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। মৌসুমের ভরা গুণেও কাঙ্ক্ষিত পরিমাণ মাছ পাচ্ছেন না জেলেরা। ফলে শুটকি উৎপাদন ব্যাপকভাবে কমে গেছে। শুটকি ব্যবসায়ীরা লোকসানের আশঙ্কায় দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।
দুবলার চরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান জানান, আলোরকোল, মাঝের কিল্লা, নারিকেলবাড়িয়া ও শ্যালার চরসহ বিভিন্ন শুটকি পল্লীতে মাছ না পাওয়ায় গত এক সপ্তাহে প্রায় ১৬-১৭ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। অন্যান্য শুটকি পল্লীগুলোর ক্ষতির পরিমাণ আরও পাঁচ কোটি টাকা। বাগেরহাট পূর্ব সুন্দরবন বিভাগীয় বন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সাগরে ধরা পড়া মাছের পরিমাণ খুবই কম। যা পাওয়া যাচ্ছে, সেগুলোও ছোট প্রজাতির। গত বছর শুটকি খাত থেকে সাত কোটি ২৩ লাখ টাকার রাজস্ব আয় হলেও এ বছর আট কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে না বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
জেলেরা জানান, ৪ নভেম্বর শুরু হওয়া শুটকি মৌসুমে শুরু থেকেই দামি মাছ, যেমন লইট্টা, ছুরি, রূপচাঁদা, ও লাক্ষা ধরা পড়ছে না। অধিকাংশই কম মূল্যের ছোট চিংড়ি ও পারসে জাতীয় মাছ। ঘন ঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং বৈরী আবহাওয়ার কারণে জাল ফেলা সম্ভব হচ্ছে না।
শুটকি ব্যবসায়ীরা বলছেন, এমন পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে লাভ তো দূরের কথা, চালান টেকানোই কঠিন হয়ে পড়বে। মাছের সংকট কেবল ব্যবসায়ীদের ক্ষতি নয়, শুটকি শিল্পের জন্যও বড় হুমকি।