ঢাকা ০৮:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আরব আমিরাতে শ্রমিক ভিসা পুনরায় চালুর আহ্বান বাণিজ্য উপদেষ্টার মিরাজের ব্যাটিং- বোলিং নৈপুণ্যে ইনিংস ব্যবধানে টাইগারদের দাপুটে জয়, সিরিজ শেষ সমতায় ইসকন নেতা চিন্ময় দাসের জামিন স্থগিত চিন্ময় দাসের জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন বেলুচিস্তানে সেনা অভিযানে নিহত ১০ সন্ত্রাসী, উত্তপ্ত চোতির এলাকা ভারতের সম্ভাব্য সামরিক হামলার আশঙ্কা, পাল্টা হুঁশিয়ারি পাকিস্তানের। কাশ্মীর হামলা নিয়ে ভারত-পাকিস্তানের সাথে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বৈঠকে বসছে যুক্তরাষ্ট্র জুলাই গণহত্যা: আ.লীগের দৃশ্যমান বিচার দাবি জোনায়েদ সাকির ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার পক্ষে লড়াইয়ে উত্তর কোরিয়ার ৬০০ সেনা নিহত অসময়ে যমুনায় ভাঙন, দিশেহারা পাবনার নদীপাড়ের মানুষ

জামায়াত নেতা আজহারের মৃত্যুদণ্ড রায়ের আপিল শুনানি ৬ মে

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:৪৯:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫
  • / ১৮ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

 

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামের করা আপিলের শুনানি আগামী ৬ মে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে।

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বিভাগ আজ মঙ্গলবার এ শুনানির দিন নির্ধারণ করেন। আদালত জানায়, নির্ধারিত তারিখে আপিলটি কার্যতালিকার শীর্ষে থাকবে।

গতকাল সোমবার আজহারের আইনজীবী আপিল শুনানির তারিখ নির্ধারণের অনুরোধ জানালে আজ মঙ্গলবার এটি কার্যতালিকার ২৮ নম্বরে ওঠে। শুনানির সময় আদালতে আজহারুলের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এহসান এ সিদ্দিক এবং শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক।

উল্লেখ্য, মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর এ টি এম আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন। ওই রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি আপিল করেন তিনি।

দীর্ঘ শুনানি শেষে ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর আপিল বিভাগ মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে রায় ঘোষণা করেন। এরপর ২০২০ সালের ১৫ মার্চ আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর, ২০২০ সালের ১৯ জুলাই এ রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন আজহারুল।

চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি ওই রিভিউ আবেদনের শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগ লিভ মঞ্জুর করেন এবং দুই সপ্তাহের মধ্যে আপিলের সংক্ষিপ্তসার দাখিলের নির্দেশ দেন। পরে সংক্ষিপ্তসার দাখিল করা হলে আজ শুনানির দিন নির্ধারণের আবেদন করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।

এ আবেদন আমলে নিয়ে আপিল বিভাগ আগামী ৬ মে পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির দিন নির্ধারণ করেন। এ টি এম আজহারুল ইসলাম বর্তমানে কারাগারে আছেন।

রিভিউ শুনানির মাধ্যমে তার মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকবে কিনা তা নির্ধারিত হবে। মামলাটি এখন জাতীয়ভাবে গুরুত্বপূর্ণ এক নজিরবিহীন পরিণতির দিকে অগ্রসর হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

জামায়াত নেতা আজহারের মৃত্যুদণ্ড রায়ের আপিল শুনানি ৬ মে

আপডেট সময় ০১:৪৯:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫

 

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামের করা আপিলের শুনানি আগামী ৬ মে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে।

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বিভাগ আজ মঙ্গলবার এ শুনানির দিন নির্ধারণ করেন। আদালত জানায়, নির্ধারিত তারিখে আপিলটি কার্যতালিকার শীর্ষে থাকবে।

গতকাল সোমবার আজহারের আইনজীবী আপিল শুনানির তারিখ নির্ধারণের অনুরোধ জানালে আজ মঙ্গলবার এটি কার্যতালিকার ২৮ নম্বরে ওঠে। শুনানির সময় আদালতে আজহারুলের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এহসান এ সিদ্দিক এবং শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক।

উল্লেখ্য, মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর এ টি এম আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন। ওই রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি আপিল করেন তিনি।

দীর্ঘ শুনানি শেষে ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর আপিল বিভাগ মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে রায় ঘোষণা করেন। এরপর ২০২০ সালের ১৫ মার্চ আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর, ২০২০ সালের ১৯ জুলাই এ রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন আজহারুল।

চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি ওই রিভিউ আবেদনের শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগ লিভ মঞ্জুর করেন এবং দুই সপ্তাহের মধ্যে আপিলের সংক্ষিপ্তসার দাখিলের নির্দেশ দেন। পরে সংক্ষিপ্তসার দাখিল করা হলে আজ শুনানির দিন নির্ধারণের আবেদন করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।

এ আবেদন আমলে নিয়ে আপিল বিভাগ আগামী ৬ মে পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির দিন নির্ধারণ করেন। এ টি এম আজহারুল ইসলাম বর্তমানে কারাগারে আছেন।

রিভিউ শুনানির মাধ্যমে তার মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকবে কিনা তা নির্ধারিত হবে। মামলাটি এখন জাতীয়ভাবে গুরুত্বপূর্ণ এক নজিরবিহীন পরিণতির দিকে অগ্রসর হচ্ছে।