ঢাকা ০৯:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
শাহাদাতের রক্তে রাঙা অবিনাশী চেতনা শীর্ষক কনফারেন্স সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফফুজে খতমে নবুওয়তের সভাপতি নির্বাচিত হলেন আল্লামা শায়েখ সাজিদুর রহমান খন্দকার মোশাররফের নেতৃত্বে যমুনায় বিএনপির প্রতিনিধি দল থাইল্যান্ডে পুলিশ হেলিকপ্টার বিধ্বস্তে ৩ জন নিহত চার দাবিতে এনবিআরে পূর্ণাঙ্গ কর্মবিরতি চলবে রোববার সর্বদলীয় বৈঠক ডাকলেন প্রধান উপদেষ্টা নবীনগরে গলায় লিচুর বিচি আটকে শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু ভারতের টেস্ট দলের নতুন অধিনায়ক হলেন শুভমান গিল পুঁজিবাজার থেকে উধাও ১৫ হাজার কোটি টাকা: দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের বিস্ফোরক দাবি ওষুধ ছাড়াই ইউরিক এসিড নিয়ন্ত্রণে যেসব খাবার খাবেন!

ঐকমত্য কমিশনের ১৫ প্রস্তাবেই দ্বিমত জানাল খেলাফত মজলিস

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:৫০:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫
  • / 15

ছবি সংগৃহীত

 

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দেওয়া ১৬৬টি সংস্কার প্রস্তাবের মধ্যে ১৫টিতে সরাসরি দ্বিমত জানিয়েছে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস। এছাড়া আরও ৪টি প্রস্তাবে দলটি আংশিকভাবে একমত হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মাওলানা জালাল উদ্দিন আহমদ।

সোমবার (২১ এপ্রিল) সকালে জাতীয় সংসদের এলডি হলে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা জানান।

মাওলানা জালাল উদ্দিন বলেন, “আমরা কমিশনের প্রস্তাবিত ১৪৭টি সংস্কারে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছি। তবে ১৫টি প্রস্তাবে আমাদের দ্বিমত রয়েছে এবং ৪টিতে আংশিক সমর্থন করেছি। আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী, কিছু প্রস্তাব ইসলামী মূল্যবোধের সঙ্গে সাংঘর্ষিক, তাই আমরা আমাদের অবস্থান পরিষ্কার করেছি।”

তিনি জানান, সংবিধানের মূলনীতির অংশ হিসেবে ‘আল্লাহর ওপর বিশ্বাস’ পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবিতে তারা সুপারিশ করেছে বহুত্ববাদের ধারণা বাদ দিতে। এছাড়া প্রস্তাবিত চারটি প্রাদেশিক অঞ্চল গঠনের পরিকল্পনার বিরোধিতা করেছে দলটি।

স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে আরও গণমুখী করতে তারা প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে সর্বস্তরে জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের পক্ষে মত দিয়েছে। তাদের মতে, জনগণের সরাসরি অংশগ্রহণ ছাড়া গণতন্ত্রের ভিত্তি মজবুত হয় না।

মাওলানা জালাল উদ্দিন আহমদ বলেন, “বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের অধীনে সংঘটিত অপরাধগুলোর বিচারের দাবিতে আমরা সোচ্চার। রাষ্ট্রে সুশাসন ও ন্যায়ের প্রতিষ্ঠা না হলে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পরিবেশ তৈরি হবে না। আমরা সেই প্রক্রিয়ার অংশ হতে আগ্রহী, যেখানে সরকার বাস্তব সংস্কারের পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।”

তিনি আরও বলেন, দেশের মানুষ স্থিতিশীলতা ও ন্যায়বিচার চায়। সেই লক্ষ্যে তারা সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করে, তবে তা অবশ্যই ইসলামি মূল্যবোধ ও জাতীয় ঐক্যের পরিপন্থী হওয়া উচিত নয়।

সংবিধান, প্রশাসনিক কাঠামো ও নির্বাচন পদ্ধতিতে বাস্তব পরিবর্তনের প্রস্তাব নিয়ে গঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশন দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মতামত নিচ্ছে। এই প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়ে খেলাফত মজলিস তাদের নীতিগত অবস্থান স্পষ্ট করেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ঐকমত্য কমিশনের ১৫ প্রস্তাবেই দ্বিমত জানাল খেলাফত মজলিস

আপডেট সময় ০১:৫০:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫

 

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দেওয়া ১৬৬টি সংস্কার প্রস্তাবের মধ্যে ১৫টিতে সরাসরি দ্বিমত জানিয়েছে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস। এছাড়া আরও ৪টি প্রস্তাবে দলটি আংশিকভাবে একমত হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মাওলানা জালাল উদ্দিন আহমদ।

সোমবার (২১ এপ্রিল) সকালে জাতীয় সংসদের এলডি হলে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা জানান।

মাওলানা জালাল উদ্দিন বলেন, “আমরা কমিশনের প্রস্তাবিত ১৪৭টি সংস্কারে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছি। তবে ১৫টি প্রস্তাবে আমাদের দ্বিমত রয়েছে এবং ৪টিতে আংশিক সমর্থন করেছি। আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী, কিছু প্রস্তাব ইসলামী মূল্যবোধের সঙ্গে সাংঘর্ষিক, তাই আমরা আমাদের অবস্থান পরিষ্কার করেছি।”

তিনি জানান, সংবিধানের মূলনীতির অংশ হিসেবে ‘আল্লাহর ওপর বিশ্বাস’ পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবিতে তারা সুপারিশ করেছে বহুত্ববাদের ধারণা বাদ দিতে। এছাড়া প্রস্তাবিত চারটি প্রাদেশিক অঞ্চল গঠনের পরিকল্পনার বিরোধিতা করেছে দলটি।

স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে আরও গণমুখী করতে তারা প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে সর্বস্তরে জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের পক্ষে মত দিয়েছে। তাদের মতে, জনগণের সরাসরি অংশগ্রহণ ছাড়া গণতন্ত্রের ভিত্তি মজবুত হয় না।

মাওলানা জালাল উদ্দিন আহমদ বলেন, “বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের অধীনে সংঘটিত অপরাধগুলোর বিচারের দাবিতে আমরা সোচ্চার। রাষ্ট্রে সুশাসন ও ন্যায়ের প্রতিষ্ঠা না হলে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পরিবেশ তৈরি হবে না। আমরা সেই প্রক্রিয়ার অংশ হতে আগ্রহী, যেখানে সরকার বাস্তব সংস্কারের পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।”

তিনি আরও বলেন, দেশের মানুষ স্থিতিশীলতা ও ন্যায়বিচার চায়। সেই লক্ষ্যে তারা সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করে, তবে তা অবশ্যই ইসলামি মূল্যবোধ ও জাতীয় ঐক্যের পরিপন্থী হওয়া উচিত নয়।

সংবিধান, প্রশাসনিক কাঠামো ও নির্বাচন পদ্ধতিতে বাস্তব পরিবর্তনের প্রস্তাব নিয়ে গঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশন দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মতামত নিচ্ছে। এই প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়ে খেলাফত মজলিস তাদের নীতিগত অবস্থান স্পষ্ট করেছে।