ঢাকা ০১:১৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫, ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
নিঃশব্দ আতঙ্কের ছায়া: বোবায় ধরা বা স্লিপ প্যারালাইসিসের বৈজ্ঞানিক রহস্য। রংপুরে হিন্দুপল্লীতে হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৫ কোনো ধরনের নিরাপত্তা শঙ্কা নেই ৫ আগস্ট ঘিরে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মতলব উত্তরে কিস্তি নিয়ে বিরোধ, চাচার ঘুষিতে প্রাণ গেল ভাতিজার সাবেক প্রধান বিচারপতির সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর লেস্টারে ইতিহাস গড়া দাওয়াতি সম্মেলন, শুরু হলো নতুন দাওয়াতি যুগ নিখোঁজের পর ইউনিয়ন পরিষদের টয়লেট থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার রিয়ালে ১০ নম্বর জার্সির নতুন উত্তরাধিকারী এমবাপে অভিনেত্রী নন্দিনীর গাড়ির ধাক্কায় আহত যুবকের মৃত্যু শুল্কবিরতির মেয়াদ বাড়বে কিনা, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন ট্রাম্প

বিদেশি ঋণ নিতে ছোট পরামর্শকের শর্তই বড় বাধা: পরিকল্পনা উপদেষ্টা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৭:৩৮:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫
  • / 42

ছবি সংগৃহীত

 

পরিকল্পনা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, “বিদেশি বড় ঋণ নিতে হলে তাদের দেওয়া ছোট পরামর্শকের বোঝাও ঘাড়ে নিতে হয়। না হলে তারা ঋণ দিতেই চায় না।”

রবিবার (২০ এপ্রিল) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শেষে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এদিন একনেকে মোট ১৪টি উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে চট্টগ্রাম বে টার্মিনালের অবকাঠামো উন্নয়ন অন্যতম। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২৪ হাজার ২৪৭ কোটি টাকা।

ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ জানান, চট্টগ্রাম বে টার্মিনাল উন্নয়ন প্রকল্পে ব্যয় হবে ১৩ হাজার ৫২৫ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। এর মধ্যে বিশ্বব্যাংক দিচ্ছে ৯ হাজার ৩৩৩ কোটি টাকা এবং সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে খরচ করা হবে ৪ হাজার ১৯২ কোটি টাকা।

তিনি বলেন, “চট্টগ্রাম বন্দর প্রকৃতপক্ষে নদীবন্দর। কিন্তু দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ সমুদ্রবন্দর প্রয়োজন। সে কারণেই বে টার্মিনালকে ঘিরে একটি বড় পরিসরের মেগা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। আজ একটির অনুমোদন হয়েছে, ভবিষ্যতে আরও একটি পিপিপি (পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ) ভিত্তিক প্রকল্প নেওয়া হবে।”

তিনি জানান, সব মিলিয়ে সেখানে চারটি টার্মিনাল গড়ে তোলা হবে। প্রকল্পটি যেন দ্রুত বাস্তবায়ন হয়, সে বিষয়ে নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।

এ সময় বিদেশি ঋণের প্রসঙ্গ তুলে ধরে তিনি বলেন, “অনেক সময় প্রকল্পে যে পরামর্শক দেওয়া হয়, তার প্রয়োজন ততটা না থাকলেও ঋণ পাওয়ার শর্ত হিসেবে মেনে নিতে হয়। এতে করে প্রকল্প ব্যয়ও বেড়ে যায়, কিন্তু আমাদের উপায় থাকে না।”

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিগুলোতে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ থাকায় প্রকৃত উপকারভোগীরা প্রায় ৫০ শতাংশ বঞ্চিত হন। অনেক সময় স্থানীয়ভাবে প্রভাব খাটিয়ে সুবিধাভোগীর তালিকা তৈরি করা হয়।”

ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনা সচিব ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুনসহ পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

বিদেশি ঋণ নিতে ছোট পরামর্শকের শর্তই বড় বাধা: পরিকল্পনা উপদেষ্টা

আপডেট সময় ০৭:৩৮:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫

 

পরিকল্পনা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, “বিদেশি বড় ঋণ নিতে হলে তাদের দেওয়া ছোট পরামর্শকের বোঝাও ঘাড়ে নিতে হয়। না হলে তারা ঋণ দিতেই চায় না।”

রবিবার (২০ এপ্রিল) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শেষে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এদিন একনেকে মোট ১৪টি উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে চট্টগ্রাম বে টার্মিনালের অবকাঠামো উন্নয়ন অন্যতম। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২৪ হাজার ২৪৭ কোটি টাকা।

ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ জানান, চট্টগ্রাম বে টার্মিনাল উন্নয়ন প্রকল্পে ব্যয় হবে ১৩ হাজার ৫২৫ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। এর মধ্যে বিশ্বব্যাংক দিচ্ছে ৯ হাজার ৩৩৩ কোটি টাকা এবং সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে খরচ করা হবে ৪ হাজার ১৯২ কোটি টাকা।

তিনি বলেন, “চট্টগ্রাম বন্দর প্রকৃতপক্ষে নদীবন্দর। কিন্তু দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ সমুদ্রবন্দর প্রয়োজন। সে কারণেই বে টার্মিনালকে ঘিরে একটি বড় পরিসরের মেগা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। আজ একটির অনুমোদন হয়েছে, ভবিষ্যতে আরও একটি পিপিপি (পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ) ভিত্তিক প্রকল্প নেওয়া হবে।”

তিনি জানান, সব মিলিয়ে সেখানে চারটি টার্মিনাল গড়ে তোলা হবে। প্রকল্পটি যেন দ্রুত বাস্তবায়ন হয়, সে বিষয়ে নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।

এ সময় বিদেশি ঋণের প্রসঙ্গ তুলে ধরে তিনি বলেন, “অনেক সময় প্রকল্পে যে পরামর্শক দেওয়া হয়, তার প্রয়োজন ততটা না থাকলেও ঋণ পাওয়ার শর্ত হিসেবে মেনে নিতে হয়। এতে করে প্রকল্প ব্যয়ও বেড়ে যায়, কিন্তু আমাদের উপায় থাকে না।”

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিগুলোতে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ থাকায় প্রকৃত উপকারভোগীরা প্রায় ৫০ শতাংশ বঞ্চিত হন। অনেক সময় স্থানীয়ভাবে প্রভাব খাটিয়ে সুবিধাভোগীর তালিকা তৈরি করা হয়।”

ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনা সচিব ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুনসহ পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।