বাংলাদেশ–তুরস্ক ঐতিহাসিক বৈঠক: বাংলাদেশকে ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে দেখতে চায় তুরস্ক

- আপডেট সময় ০৪:৫৭:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫
- / 19
বাংলাদেশ ও তুরস্কের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও গভীর ও গতিশীল করতে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক নতুন মাত্রা যোগ করেছে। ১৪ এপ্রিল তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদানের সঙ্গে বৈঠক করেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলমসহ একটি প্রতিনিধিদল।
দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও জোরদার করতে এই বৈঠকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হয়। উভয়পক্ষই বাংলাদেশ-তুরস্কের বিদ্যমান অনিষ্পন্ন বিষয়গুলোর দ্রুত নিষ্পত্তির ওপর গুরুত্বারোপ করে। পাশাপাশি নতুন কিছু উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমেও পারস্পরিক সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। আলোচনায় উঠে আসে, সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে তুরস্কের সঙ্গে সম্পর্ক আরও জোরদার করার এখনই উপযুক্ত সময়।
তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান বৈঠকে জানান, বাংলাদেশকে তার অন্যতম ঘনিষ্ঠ বন্ধু রাষ্ট্র হিসেবে গণ্য করে তুরস্ক সব ধরনের সহযোগিতামূলক কর্মসূচিতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অন্তর্ভুক্ত করবে। তিনি বলেন, তুরস্কের কৌশলগত অংশীদারদের জন্য নির্ধারিত সব সুযোগ-সুবিধা বাংলাদেশও পাবে। অর্থনীতি, বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা, স্বাস্থ্য এবং শিক্ষা খাতেও বাংলাদেশকে পূর্ণ সহায়তা দিতে তুরস্ক প্রস্তুত রয়েছে বলে আশ্বস্ত করেন তিনি।
বাংলাদেশের পক্ষ থেকেও জানানো হয়, দুই দেশের মধ্যকার কূটনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং নিরাপত্তা খাতে সহযোগিতাকে আরও সুসংহত করতে ঢাকা সর্বাত্মক প্রস্তুত। বিশেষত প্রতিরক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে পারস্পরিক বিনিয়োগ এবং প্রকল্প গ্রহণের সুযোগকে কাজে লাগাতে আগ্রহী বাংলাদেশ।
বৈঠকটি ছিল উষ্ণ, আন্তরিক ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত যা উভয় দেশের মধ্যে পারস্পরিক আস্থা, বন্ধুত্ব ও ভ্রাতৃত্বের নতুন অধ্যায় রচনা করবে বলে আশা করা হচ্ছে। কূটনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, এই বৈঠকের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ-তুরস্ক সম্পর্ক এক নতুন গতি ও গভীরতা পাবে, যা দুই দেশের ভবিষ্যৎ উন্নয়ন ও অংশীদারত্বে বড় ভূমিকা রাখবে।