ঢাকা ০৩:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ষাটগম্বুজ মসজিদে ঈদুল আজহার প্রধান জামাত সম্পন্ন : মুসল্লিদের উপচে পড়া ভিড় ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তাব পুনর্ব্যক্ত করলো বিএনপি ঈদের দিনেও গাজায় রক্তক্ষরণ: ইসরায়েলি হামলায় ৪২ ফিলিস্তিনি নিহত জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পবিত্র ঈদুল আযহায় স্বাস্থ্যসচেতনতা: সুস্থ থাকুন, নিরাপদে ঈদ করুন আর্জেন্টিনার জয় চিলিতে, গোল আলভারেজের ঈদুল আজহা উপলক্ষে ওমানে ৬৪৫ কারাবন্দিকে ক্ষমা দিলেন সুলতান হাইথাম দুবাইয়ে ঈদুল আজহার নামাজ সম্পন্ন, ঈদগাহে মুসল্লিদের ঢল বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ বিলিয়ন ডলারে ফের অন্তঃসত্ত্বা ‘দৃশ্যম’ অভিনেত্রী ঈশিতা দত্ত, প্রকাশ্যে বেবি বাম্প

গাজায় ফের রক্তগঙ্গা, ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৬৪ জন

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:০৫:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫
  • / 19

ছবি সংগৃহীত

 

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর টানা বিমান হামলায় ফের রক্তাক্ত হলো ফিলিস্তিন। শুক্রবার ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চালানো এসব হামলায় অন্তত ৬৪ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও বহু মানুষ। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, নিহতদের অধিকাংশই গাজা শহর ও উত্তর গাজার বাসিন্দা। বেসামরিক জনগণ, বিশেষ করে নারী ও শিশুরাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ইসরায়েলি বাহিনী একযোগে গাজার উত্তর, মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলেও ব্যাপক হামলা চালিয়েছে। বিস্ফোরণের বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে পুরো উপত্যকা। ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও আটকে আছেন বহু মানুষ। উদ্ধারকর্মীরা প্রাণপণ চেষ্টা চালালেও টানা বোমাবর্ষণের কারণে কাজ ব্যাহত হচ্ছে।

২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি আগ্রাসন ইতোমধ্যে গাজাকে মৃত্যুপুরীতে পরিণত করেছে। সর্বশেষ এই হামলার পর মোট প্রাণহানির সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫১ হাজার। আহত হয়েছেন প্রায় ১ লাখ ১৭ হাজার মানুষ। এদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা প্রায় ৫৬ শতাংশ।

মানবাধিকার সংগঠনগুলো এই অব্যাহত হামলাকে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে অভিহিত করছে। তাদের অভিযোগ, আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে ইসরায়েল বারবার বেসামরিক স্থাপনা ও জনগণের ওপর হামলা চালাচ্ছে।

গাজা এখন এক অনিশ্চয়তা আর ভয়াবহতার নাম। প্রতিদিন ভাঙছে ঘরবাড়ি, হারাচ্ছে পরিবার, নিভে যাচ্ছে হাজারো স্বপ্ন। যুদ্ধ বন্ধে বিশ্ব সম্প্রদায়ের কার্যকর ভূমিকার দাবি জানাচ্ছেন সাধারণ মানুষ ও মানবাধিকার কর্মীরা।

তবে ইসরায়েলি সরকার এই অভিযানের পক্ষে বলছে, তারা ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হামাসের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে। যদিও বাস্তবে সবচেয়ে বড় বলি হচ্ছে গাজার সাধারণ মানুষ।

চোখের সামনে সন্তান হারানো এক মায়ের কান্না যেন গোটা মানবতাকে প্রশ্ন করে এই হত্যাযজ্ঞ আর কতকাল চলবে?

নিউজটি শেয়ার করুন

গাজায় ফের রক্তগঙ্গা, ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৬৪ জন

আপডেট সময় ১০:০৫:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫

 

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর টানা বিমান হামলায় ফের রক্তাক্ত হলো ফিলিস্তিন। শুক্রবার ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চালানো এসব হামলায় অন্তত ৬৪ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও বহু মানুষ। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, নিহতদের অধিকাংশই গাজা শহর ও উত্তর গাজার বাসিন্দা। বেসামরিক জনগণ, বিশেষ করে নারী ও শিশুরাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ইসরায়েলি বাহিনী একযোগে গাজার উত্তর, মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলেও ব্যাপক হামলা চালিয়েছে। বিস্ফোরণের বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে পুরো উপত্যকা। ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও আটকে আছেন বহু মানুষ। উদ্ধারকর্মীরা প্রাণপণ চেষ্টা চালালেও টানা বোমাবর্ষণের কারণে কাজ ব্যাহত হচ্ছে।

২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি আগ্রাসন ইতোমধ্যে গাজাকে মৃত্যুপুরীতে পরিণত করেছে। সর্বশেষ এই হামলার পর মোট প্রাণহানির সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫১ হাজার। আহত হয়েছেন প্রায় ১ লাখ ১৭ হাজার মানুষ। এদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা প্রায় ৫৬ শতাংশ।

মানবাধিকার সংগঠনগুলো এই অব্যাহত হামলাকে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে অভিহিত করছে। তাদের অভিযোগ, আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে ইসরায়েল বারবার বেসামরিক স্থাপনা ও জনগণের ওপর হামলা চালাচ্ছে।

গাজা এখন এক অনিশ্চয়তা আর ভয়াবহতার নাম। প্রতিদিন ভাঙছে ঘরবাড়ি, হারাচ্ছে পরিবার, নিভে যাচ্ছে হাজারো স্বপ্ন। যুদ্ধ বন্ধে বিশ্ব সম্প্রদায়ের কার্যকর ভূমিকার দাবি জানাচ্ছেন সাধারণ মানুষ ও মানবাধিকার কর্মীরা।

তবে ইসরায়েলি সরকার এই অভিযানের পক্ষে বলছে, তারা ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হামাসের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে। যদিও বাস্তবে সবচেয়ে বড় বলি হচ্ছে গাজার সাধারণ মানুষ।

চোখের সামনে সন্তান হারানো এক মায়ের কান্না যেন গোটা মানবতাকে প্রশ্ন করে এই হত্যাযজ্ঞ আর কতকাল চলবে?