ঢাকা ০১:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান ইসরায়েলের, আমরা দীর্ঘমেয়াদি লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত: হামাস জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিতেই গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলন চলছে: ড. মঈন খান গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর চালানো হামলায় নিহত ৫১, আহত বহু ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের ১০ বিলিয়ন ডলারের মানহানি মামলা যুদ্ধবিরতিতে রাজি সিরিয়া- ইসরায়েল, মার্কিন রাষ্ট্রদূতের পোস্ট জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়ের চুক্তি বাতিল না করলে ওলামায়ে কেরাম চুপ করে বসে থাকবে না, হেফাজতে ইসলাম লস অ্যাঞ্জেলেসে ভয়াবহ বিস্ফোরণ, নিহত ৩ পুলিশ কর্মকর্তা আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের সুযোগ নেই: হাসনাত আবদুল্লাহ লোকে লোকারণ্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, জামায়াতে ইসলামীর মহাসমাবেশ শুরু জাতিসংঘ মানবাধিকার মিশন চালু, প্রাথমিক মেয়াদকাল তিন বছর

দেশীয় মাছের সুরক্ষা ও উৎপাদন বাড়াতে জোর দিলেন মৎস্য উপদেষ্টা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৬:৪৫:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫
  • / 58

ছবি সংগৃহীত

 

দেশীয় প্রজাতির মাছ আজ বিলুপ্তির মুখে, আর তাই এগুলো রক্ষা ও উৎপাদন বৃদ্ধিতে সঠিক পরিকল্পনার প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।

তিনি বলেন, “দেশের মানুষের আমিষের চাহিদা পূরণে দেশীয় মাছের গুরুত্ব অপরিসীম। শুধু বিলুপ্তপ্রায় মাছ সংরক্ষণ নয়, সঠিক পদ্ধতিতে চাষ করা মাছের উৎপাদনও বাড়াতে হবে।”

বুধবার (১৬ এপ্রিল) রাজধানীর বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (BARC) অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। কর্মশালাটির আয়োজন করে মৎস্য অধিদপ্তর, যার বিষয় ছিল ‘সরকারি মৎস্য খামারসমূহের সক্ষমতা ও মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের (প্রথম পর্যায়) কেন্দ্রীয় পর্যায়ে অবহিতকরণ’।

ফরিদা আখতার বলেন, “আমাদের দেশে অনেকেই বাণিজ্যিকভাবে মাছ চাষ করছে ঠিকই, তবে অনেক ক্ষেত্রেই তা পরিকল্পনাবিহীনভাবে হচ্ছে। এর ফলে যেমন উৎপাদনে ক্ষতি হয়, তেমনি পরিবেশেও বিরূপ প্রভাব পড়ে। এজন্য মৎস্য কর্মকর্তাদের আরও সক্রিয় হতে হবে, চাষিদের সচেতন ও প্রশিক্ষিত করতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “স্বাদ ও পুষ্টিগুণে দেশীয় মাছ অতুলনীয়। ছোট-বড় সবার কাছে প্রিয় এই প্রাণিজ আমিষ আমাদের সাংস্কৃতিক ও খাদ্য ঐতিহ্যের অংশ। পৃথিবীর আর কোনো দেশে এত প্রজাতির দেশীয় মাছ নেই। সেগুলো রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব।”

কর্মশালায় আরও বক্তৃতা করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) তোফাজ্জেল হোসেন এবং অতিরিক্ত সচিব সৈয়দা নওয়ারা জাহান। সভাপতিত্ব করেন মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুর রউফ।

বক্তারা বলেন, একসময় দেশের ৯০ শতাংশ মাছ দেশীয় উৎস থেকে আসত, কিন্তু এখন তা আশঙ্কাজনকভাবে কমে গেছে। দেশীয় মাছের সংরক্ষণ এবং চাষযোগ্য মাছের উৎপাদন বৃদ্ধিতে মৎস্য কর্মকর্তাদের পাশাপাশি চাষিদেরও সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।

কর্মশালায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, মৎস্য অধিদপ্তর, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং গণপূর্ত অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সরকার এসব প্রকল্পকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং এজন্য সবধরনের সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত বলেও জানান উপদেষ্টা।

নিউজটি শেয়ার করুন

দেশীয় মাছের সুরক্ষা ও উৎপাদন বাড়াতে জোর দিলেন মৎস্য উপদেষ্টা

আপডেট সময় ০৬:৪৫:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫

 

দেশীয় প্রজাতির মাছ আজ বিলুপ্তির মুখে, আর তাই এগুলো রক্ষা ও উৎপাদন বৃদ্ধিতে সঠিক পরিকল্পনার প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।

তিনি বলেন, “দেশের মানুষের আমিষের চাহিদা পূরণে দেশীয় মাছের গুরুত্ব অপরিসীম। শুধু বিলুপ্তপ্রায় মাছ সংরক্ষণ নয়, সঠিক পদ্ধতিতে চাষ করা মাছের উৎপাদনও বাড়াতে হবে।”

বুধবার (১৬ এপ্রিল) রাজধানীর বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (BARC) অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। কর্মশালাটির আয়োজন করে মৎস্য অধিদপ্তর, যার বিষয় ছিল ‘সরকারি মৎস্য খামারসমূহের সক্ষমতা ও মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের (প্রথম পর্যায়) কেন্দ্রীয় পর্যায়ে অবহিতকরণ’।

ফরিদা আখতার বলেন, “আমাদের দেশে অনেকেই বাণিজ্যিকভাবে মাছ চাষ করছে ঠিকই, তবে অনেক ক্ষেত্রেই তা পরিকল্পনাবিহীনভাবে হচ্ছে। এর ফলে যেমন উৎপাদনে ক্ষতি হয়, তেমনি পরিবেশেও বিরূপ প্রভাব পড়ে। এজন্য মৎস্য কর্মকর্তাদের আরও সক্রিয় হতে হবে, চাষিদের সচেতন ও প্রশিক্ষিত করতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “স্বাদ ও পুষ্টিগুণে দেশীয় মাছ অতুলনীয়। ছোট-বড় সবার কাছে প্রিয় এই প্রাণিজ আমিষ আমাদের সাংস্কৃতিক ও খাদ্য ঐতিহ্যের অংশ। পৃথিবীর আর কোনো দেশে এত প্রজাতির দেশীয় মাছ নেই। সেগুলো রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব।”

কর্মশালায় আরও বক্তৃতা করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) তোফাজ্জেল হোসেন এবং অতিরিক্ত সচিব সৈয়দা নওয়ারা জাহান। সভাপতিত্ব করেন মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুর রউফ।

বক্তারা বলেন, একসময় দেশের ৯০ শতাংশ মাছ দেশীয় উৎস থেকে আসত, কিন্তু এখন তা আশঙ্কাজনকভাবে কমে গেছে। দেশীয় মাছের সংরক্ষণ এবং চাষযোগ্য মাছের উৎপাদন বৃদ্ধিতে মৎস্য কর্মকর্তাদের পাশাপাশি চাষিদেরও সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।

কর্মশালায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, মৎস্য অধিদপ্তর, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং গণপূর্ত অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সরকার এসব প্রকল্পকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং এজন্য সবধরনের সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত বলেও জানান উপদেষ্টা।