“একজন প্যাট কামিন্সকে নিয়ে লেখা যায় ক্যাপ্টেনসির নতুন সংজ্ঞা

- আপডেট সময় ০১:১৫:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারী ২০২৫
- / 52
৩০ ডিসেম্বর ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট ম্যাচ জেতার পর সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিক কামিন্সের দিকে ইয়র্কার ছুঁড়লেন, এটা কি প্যাট কামিন্সের সেরা টেস্ট জয়! অধিনায়ক কামিন্স দারুণ হেসে তার আন্তরিক উত্তরে একটা শব্দ টেনে আনলেন, এমাজিং। শব্দটা মনে ধরার মতো। আসলেই তো, প্যাট ক্যামিন্স এক বিস্ময়কর নাম ইমাজিং খেলোয়াড়। শুধু খেলোয়াড় হিসেবে নয় নেতৃত্বের এক অন্যন্য উচ্চতায় নিজেকে পৌঁছে দিয়েছেন।
নেতৃত্ব গ্রহণের আগে হঠাৎ করে টিম পেইন অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট টিমের ক্যাপ্টেন্সির দায়িত্ব ছেড়ে দেয়ার পর অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বোর্ড বেশ দুশ্চিন্তায় পড়ে গিয়েছিল। দুই সিনিয়র ক্রিকেটার স্টিভ স্মিথ ও ডেভিড ওয়ার্নার বল টেম্পারিংয়ের জন্য পাওয়া নিষেধাজ্ঞা থেকে সদ্য ফিরেছিলেন। বোর্ড যে তাদের ক্যাপ্টেন্সির বিবেচনায় রাখবে না, তা অনুমেয় ছিল।
ঠিক তখনই ক্যাপ্টেন্সির গুরুদায়িত্বটা কাঁধে তুলে নেন প্যাট কামিন্স। এর আগে আন্তর্জাতিক কোনো ম্যাচে ক্যাপ্টেন্সি না করা এই ফাস্ট বোলার প্রেস কনফারেন্সে এসে বলেছিলেন, টিম পেইনের মতো করেই তিনি দলকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। (উল্লেখ্য, টিম পেইন গড়পড়তা ব্যাটার হলেও ক্যাপ্টেন হিসেবে তার রেকর্ড বেশ ভালো ছিল।)
তবে অনভিজ্ঞ কামিন্সের এই সাহসী কথায় অনেকে অর্ধ আস্থায়, অর্ধ অনাস্থায় হাততালি দিয়েছিলেন।
কামিন্সের উত্থান:
আজ, কামিন্স নিজেকে লিডার হিসেবে এমন এক উচ্চতায় নিয়ে গেছেন, যেখানে তার ক্যাপ্টেন্সির সংজ্ঞা নির্ধারণ করা কঠিন। বরং তার দেখানো পথে ক্যাপ্টেন্সির সংজ্ঞা নতুনভাবে নির্ধারণ করা উচিত।
ক্রিটিকাল মোমেন্টে গেম চেইঞ্জিং সিদ্ধান্ত নেয়া, ব্যাটারদের ব্যর্থতার দিনে নিজে ঢাল হয়ে ব্যাটার বনে যাওয়া, বল হাতে ব্রেকথ্রু এনে দেয়া, কিংবা ম্যাচের আগে প্রেস কনফারেন্সে প্রতিপক্ষের বিশাল ক্রাউডকে মানসিকভাবে “বোল্ড আউট” করে দেয়া—এগুলোই কামিন্সকে আলাদা করেছে।
ক্যাপ্টেন অফ অল ক্যাপ্টেনস
প্যাট কামিন্সের মতো নেতৃত্বের উদাহরণ খুব কমই পাওয়া যায়। তার প্রতিটি পদক্ষেপই যেন বলে, “ক্যাপ্টেন অফ অল ক্যাপ্টেনস হতে এর চেয়ে বেশি আর কী লাগে?”
মো. সুলতান সালাহ্উদ্দিন
বিশ্লেষক