ঢাকা ০৭:১২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পবিত্র ঈদুল আযহায় স্বাস্থ্যসচেতনতা: সুস্থ থাকুন, নিরাপদে ঈদ করুন আর্জেন্টিনার জয় চিলিতে, গোল আলভারেজের ঈদুল আজহা উপলক্ষে ওমানে ৬৪৫ কারাবন্দিকে ক্ষমা দিলেন সুলতান হাইথাম দুবাইয়ে ঈদুল আজহার নামাজ সম্পন্ন, ঈদগাহে মুসল্লিদের ঢল বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ বিলিয়ন ডলারে ফের অন্তঃসত্ত্বা ‘দৃশ্যম’ অভিনেত্রী ঈশিতা দত্ত, প্রকাশ্যে বেবি বাম্প বেলুন, রশি আর জেদ, এই তিন দিয়েই ডুবন্ত যুদ্ধজাহাজ তুলল উত্তর কোরিয়া 🕋 পবিত্র হজ আজ পুলিশের জন্য কেনা হচ্ছে ২০০ গাড়ি

গাজা হত্যাযজ্ঞে ক্ষুব্ধ ইতালিয়ানরা, রোমে ১৮ এপ্রিল মহাসমাবেশের ডাক

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৮:৪১:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫
  • / 17

ছবি সংগৃহীত

 

 

গাজায় চলমান ইসরাইলি আগ্রাসন ও নারী-শিশুসহ বেসামরিক মানুষের ওপর নির্বিচার হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে ইতালিজুড়ে চলছে ব্যাপক বিক্ষোভ। পালেরমো এবং মিলানের পর এবার রাজধানী রোমেও বিশাল প্রতিবাদ কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

মিলানে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে আসেন। বিভিন্ন ব্যানার-ফেস্টুন হাতে তারা গাজায় চলমান ইসরাইলি বর্বরতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হন। বিক্ষোভকারীরা গাজায় নারী ও শিশুর উপর হওয়া হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানান এবং অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধে আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

বন্দরনগরী পালেরমোতেও এর আগেই বড় ধরনের বিক্ষোভ হয়। সেখানে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার দাবি এবং ইসরাইলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানান।

রাজধানী রোমের মার্কনী এলাকাতেও স্থানীয়ভাবে ছোট আকারে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হয়। এই আয়োজনে বিভিন্ন দেশের মুসলিম সম্প্রদায়ের পাশাপাশি ইতালিতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরাও উল্লেখযোগ্যভাবে অংশগ্রহণ করেন। বিশেষ করে নারী ও শিশুদের সক্রিয় উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।

এদিকে, আসছে ১৮ এপ্রিল রোমের প্রাণকেন্দ্র ‘পিয়াচ্ছা ভিত্তোরিও’ এলাকায় বড় ধরনের সমাবেশের আয়োজন করেছে ‘প্যালেস্টাইন মুক্তি মুভমেন্ট’ নামের একটি সংগঠন। এই প্রতিবাদ কর্মসূচিকে ঘিরে মুসলিম কমিউনিটির পক্ষ থেকে বিশাল প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। বিক্ষোভের আগে খোলা মাঠে জুমার নামাজ আদায় করার পরিকল্পনাও রয়েছে।

আয়োজকরা জানিয়েছেন, এ সমাবেশের মূল উদ্দেশ্য ইসরাইলের গণহত্যার বিরুদ্ধে বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা এবং ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতি আন্তর্জাতিক সংহতি জানানো।

প্রতিনিয়ত বেড়ে চলা সহিংসতা ও মৃত্যু মিছিলের বিরুদ্ধে ইতালির বিভিন্ন শহরে যে সহানুভূতির ঢেউ তৈরি হয়েছে, তা আরও বিস্তৃত হতে যাচ্ছে এই ঘোষিত কর্মসূচিগুলোর মাধ্যমে।

আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ এবং ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিতেই এমন প্রতিবাদে নেমেছে ইতালির সচেতন নাগরিক সমাজ।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

গাজা হত্যাযজ্ঞে ক্ষুব্ধ ইতালিয়ানরা, রোমে ১৮ এপ্রিল মহাসমাবেশের ডাক

আপডেট সময় ০৮:৪১:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫

 

 

গাজায় চলমান ইসরাইলি আগ্রাসন ও নারী-শিশুসহ বেসামরিক মানুষের ওপর নির্বিচার হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে ইতালিজুড়ে চলছে ব্যাপক বিক্ষোভ। পালেরমো এবং মিলানের পর এবার রাজধানী রোমেও বিশাল প্রতিবাদ কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

মিলানে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে আসেন। বিভিন্ন ব্যানার-ফেস্টুন হাতে তারা গাজায় চলমান ইসরাইলি বর্বরতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হন। বিক্ষোভকারীরা গাজায় নারী ও শিশুর উপর হওয়া হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানান এবং অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধে আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

বন্দরনগরী পালেরমোতেও এর আগেই বড় ধরনের বিক্ষোভ হয়। সেখানে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার দাবি এবং ইসরাইলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানান।

রাজধানী রোমের মার্কনী এলাকাতেও স্থানীয়ভাবে ছোট আকারে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হয়। এই আয়োজনে বিভিন্ন দেশের মুসলিম সম্প্রদায়ের পাশাপাশি ইতালিতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরাও উল্লেখযোগ্যভাবে অংশগ্রহণ করেন। বিশেষ করে নারী ও শিশুদের সক্রিয় উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।

এদিকে, আসছে ১৮ এপ্রিল রোমের প্রাণকেন্দ্র ‘পিয়াচ্ছা ভিত্তোরিও’ এলাকায় বড় ধরনের সমাবেশের আয়োজন করেছে ‘প্যালেস্টাইন মুক্তি মুভমেন্ট’ নামের একটি সংগঠন। এই প্রতিবাদ কর্মসূচিকে ঘিরে মুসলিম কমিউনিটির পক্ষ থেকে বিশাল প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। বিক্ষোভের আগে খোলা মাঠে জুমার নামাজ আদায় করার পরিকল্পনাও রয়েছে।

আয়োজকরা জানিয়েছেন, এ সমাবেশের মূল উদ্দেশ্য ইসরাইলের গণহত্যার বিরুদ্ধে বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা এবং ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতি আন্তর্জাতিক সংহতি জানানো।

প্রতিনিয়ত বেড়ে চলা সহিংসতা ও মৃত্যু মিছিলের বিরুদ্ধে ইতালির বিভিন্ন শহরে যে সহানুভূতির ঢেউ তৈরি হয়েছে, তা আরও বিস্তৃত হতে যাচ্ছে এই ঘোষিত কর্মসূচিগুলোর মাধ্যমে।

আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ এবং ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিতেই এমন প্রতিবাদে নেমেছে ইতালির সচেতন নাগরিক সমাজ।