প্রেমের টানে ২০ বছর পর বরগুনায় ফিরলেন ডেনিশ নারী

- আপডেট সময় ১১:১৬:২২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫
- / ৫১৩ বার পড়া হয়েছে
প্রেম কখনও সময়, দূরত্ব বা অভিমানকে পরাস্ত করতে পারে না। মহাসাগর কিংবা সাগর দূরত্ব যাই হোক, প্রেমের কাছে হার মানতেই হয়। এমনটাই প্রমাণ করেছেন সাংবাদিক মান্নু ও রুমানা মারিয়া দম্পতি।
২১ বছর যোগাযোগ না থাকার পর ফেসবুকের মাধ্যমে একে অপরকে খুঁজে পেয়ে রুমানা, যিনি ডেনমার্কে বসবাস করেন, বাংলাদেশে আসেন। অন্যদিকে, প্রায় ২৫০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে বরগুনা থেকে ঢাকায় ছুটে গিয়েছেন মাহবুবুল আলম মান্নু, যিনি দৈনিক আমাদের সময়ের বরগুনা প্রতিনিধি এবং বরগুনা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি। পরে মান্নু রুমানাকে নিয়ে নিজ বাসায় ফিরে আসেন।
জানা গেছে, মান্নু নব্বইয়ের দশকে জীবিকার তাগিদে ডেনমার্কে যান এবং সেখানে বন্ধুর ফাস্টফুডের দোকানে রুমানা মারিয়ার সঙ্গে পরিচিত হন। তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব ও প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে, এবং ১৯৯৭ সালে তারা বিয়ে করেন।
বিয়ের বছরেই রুমানাকে নিয়ে বাংলাদেশে এসে বরগুনায় আকন ডায়াগনস্টিক সেন্টার স্থাপন করেন। সেখানে দরিদ্র মানুষের সেবা করার চেষ্টা করেন। তবে রাজনৈতিক চাপের কারণে ২০০০ সালে ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে দেন এবং রুমানাকে তার বাবা-মায়ের কাছে পাঠিয়ে দেন। তাদের দাম্পত্য জীবনে একটি ছেলে সন্তানের জন্ম হয়।
এরপর তিন বছর ফোনে যোগাযোগ থাকলেও পরে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরবর্তীতে রুমানা নতুন করে বিয়ে করলেও সেখানেও বনিবনা না হওয়ায় তিনি বিবাহ বিচ্ছেদ করেন।
ফেব্রুয়ারিতে ফেসবুকে সংযোগ স্থাপন করার পর প্রায় ২১ বছর পর আবার যোগাযোগ হয়। রুমানা ১০ এপ্রিল ডেনমার্ক থেকে বাংলাদেশে এসে মান্নুর সঙ্গে আবার বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। এবারের দেনমোহর ছিল এক লাখ টাকা।
মান্নু বলেন, “তিন বছর যোগাযোগ থাকলেও আমাদের মধ্যে ২১ বছর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল। জানুয়ারিতে ফেসবুকের মাধ্যমে আবার যোগাযোগ হয়। রুমানা দশ দিনের ছুটিতে এসেছে, এবং আমাদের ম্যারেজ সার্টিফিকেট জমা দিলে সে দীর্ঘ সময় বাংলাদেশে থাকতে পারবে।”
তিনি আরও জানান, যদি তিনি ডেনমার্কে চলে যান, তাতে রুমানার কোনো আপত্তি নেই। অন্যথায়, রুমানা আগামী মাসে তার কর্মস্থল থেকে অব্যাহতি নিয়ে বাংলাদেশে ফিরে আসবেন।