ঢাকা ০৫:৪০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পবিত্র ঈদুল আযহায় স্বাস্থ্যসচেতনতা: সুস্থ থাকুন, নিরাপদে ঈদ করুন আর্জেন্টিনার জয় চিলিতে, গোল আলভারেজের ঈদুল আজহা উপলক্ষে ওমানে ৬৪৫ কারাবন্দিকে ক্ষমা দিলেন সুলতান হাইথাম দুবাইয়ে ঈদুল আজহার নামাজ সম্পন্ন, ঈদগাহে মুসল্লিদের ঢল বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ বিলিয়ন ডলারে ফের অন্তঃসত্ত্বা ‘দৃশ্যম’ অভিনেত্রী ঈশিতা দত্ত, প্রকাশ্যে বেবি বাম্প বেলুন, রশি আর জেদ, এই তিন দিয়েই ডুবন্ত যুদ্ধজাহাজ তুলল উত্তর কোরিয়া 🕋 পবিত্র হজ আজ পুলিশের জন্য কেনা হচ্ছে ২০০ গাড়ি

গাজা গণহত্যার প্রতিবাদে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলায় সারাদেশে গ্রেফতার ৭২  

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:৪৫:০০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫
  • / 35

ছবি সংগৃহীত

 

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বর গণহত্যার বিরুদ্ধে বিক্ষোভের জেরে দেশের বিভিন্ন শহরে ছড়িয়ে পড়েছে উত্তেজনা। বিক্ষোভ চলাকালে কিছু এলাকায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লক্ষ্য করে সংঘটিত হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৭২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বুধবার (৯ এপ্রিল) সকালে বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, খুলনা, সিলেট, চট্টগ্রাম, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা ও কক্সবাজারসহ বিভিন্ন শহরে এসব ঘটনায় মোট ১০টি মামলা হয়েছে। খুলনায় সবচেয়ে বেশি ৩৩ জন, সিলেটে ১৯ জন, চট্টগ্রামে ৫ জন, গাজীপুর ও কক্সবাজারে ৪ জন করে, নারায়ণগঞ্জে ৪ জন এবং কুমিল্লায় ৩ জন গ্রেফতার হয়েছেন।

পুলিশ বলছে, তদন্ত অব্যাহত রয়েছে এবং যারা এই নৈরাজ্যকর কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত মামলার প্রস্তুতি চলছে। এরই মধ্যে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকেও সক্রিয় করা হয়েছে হামলার পেছনে থাকা পরিকল্পনাকারীদের শনাক্তে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকেও বলা হয়েছে, ৭ এপ্রিলের বিক্ষোভ চলাকালে সংঘটিত হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় অন্তত ৭২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যেসব আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে জনপ্রিয় ফাস্টফুড চেইন কেএফসি এবং জুতার ব্র্যান্ড বাটা। এই ধরনের হামলার ঘটনায় বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, গাজা ইস্যুতে বাংলাদেশের জনগণের আবেগ ও সহানুভূতি স্বাভাবিক হলেও এর সুযোগ নিয়ে কিছু উগ্রবাদী গোষ্ঠী সহিংসতা উসকে দিচ্ছে, যা জননিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ। সামাজিক অস্থিরতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে সংঘটিত এমন নাশকতার ঘটনায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নজরদারি অপরিহার্য হয়ে উঠেছে।

সরকার জানিয়েছে, বিক্ষোভ করা জনগণের অধিকার থাকলেও তা হতে হবে শান্তিপূর্ণ এবং আইনগত কাঠামোর মধ্যে। জনজীবন ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বিঘ্নিত হয়—এমন কোনও কর্মকাণ্ড বরদাস্ত করা হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

সারাদেশে ইতোমধ্যেই নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বিশেষ করে যেসব আন্তর্জাতিক ও বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে, সেগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ ও র‌্যাব টহল বাড়িয়েছে।

পরিস্থিতি শান্ত রাখতে সংশ্লিষ্টদের সংযম ও সচেতনতার আহ্বান জানিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা।

নিউজটি শেয়ার করুন

গাজা গণহত্যার প্রতিবাদে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলায় সারাদেশে গ্রেফতার ৭২  

আপডেট সময় ১১:৪৫:০০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫

 

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বর গণহত্যার বিরুদ্ধে বিক্ষোভের জেরে দেশের বিভিন্ন শহরে ছড়িয়ে পড়েছে উত্তেজনা। বিক্ষোভ চলাকালে কিছু এলাকায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লক্ষ্য করে সংঘটিত হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৭২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বুধবার (৯ এপ্রিল) সকালে বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, খুলনা, সিলেট, চট্টগ্রাম, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা ও কক্সবাজারসহ বিভিন্ন শহরে এসব ঘটনায় মোট ১০টি মামলা হয়েছে। খুলনায় সবচেয়ে বেশি ৩৩ জন, সিলেটে ১৯ জন, চট্টগ্রামে ৫ জন, গাজীপুর ও কক্সবাজারে ৪ জন করে, নারায়ণগঞ্জে ৪ জন এবং কুমিল্লায় ৩ জন গ্রেফতার হয়েছেন।

পুলিশ বলছে, তদন্ত অব্যাহত রয়েছে এবং যারা এই নৈরাজ্যকর কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত মামলার প্রস্তুতি চলছে। এরই মধ্যে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকেও সক্রিয় করা হয়েছে হামলার পেছনে থাকা পরিকল্পনাকারীদের শনাক্তে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকেও বলা হয়েছে, ৭ এপ্রিলের বিক্ষোভ চলাকালে সংঘটিত হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় অন্তত ৭২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যেসব আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে জনপ্রিয় ফাস্টফুড চেইন কেএফসি এবং জুতার ব্র্যান্ড বাটা। এই ধরনের হামলার ঘটনায় বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, গাজা ইস্যুতে বাংলাদেশের জনগণের আবেগ ও সহানুভূতি স্বাভাবিক হলেও এর সুযোগ নিয়ে কিছু উগ্রবাদী গোষ্ঠী সহিংসতা উসকে দিচ্ছে, যা জননিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ। সামাজিক অস্থিরতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে সংঘটিত এমন নাশকতার ঘটনায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নজরদারি অপরিহার্য হয়ে উঠেছে।

সরকার জানিয়েছে, বিক্ষোভ করা জনগণের অধিকার থাকলেও তা হতে হবে শান্তিপূর্ণ এবং আইনগত কাঠামোর মধ্যে। জনজীবন ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বিঘ্নিত হয়—এমন কোনও কর্মকাণ্ড বরদাস্ত করা হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

সারাদেশে ইতোমধ্যেই নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বিশেষ করে যেসব আন্তর্জাতিক ও বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে, সেগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ ও র‌্যাব টহল বাড়িয়েছে।

পরিস্থিতি শান্ত রাখতে সংশ্লিষ্টদের সংযম ও সচেতনতার আহ্বান জানিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা।