ঢাকা ০৫:৫১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ১৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জন্মদিনে ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত ড. মুহাম্মদ ইউনূস, তারেক রহমানের অভিনন্দন থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ, সড়কে জনতার ঢল করোনায় আরও দুজনের মৃত্যু, ২৪ ঘণ্টায় নতুন শনাক্ত ৭ জন শিক্ষা সমাজ ও রাষ্ট্রের উপযোগী মানুষ গড়ে তোলে : প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা পরিবেশই নয়, অর্থনীতি ও জীববৈচিত্র্যও টিকিয়ে রাখতে বন নিরাপত্তার অন্যতম ভিত্তি: রিজওয়ানা জোটবদ্ধ ইসলামি দলই আগামী দিনে দেশের প্রধান রাজনৈতিক শক্তি হয়ে উঠবে: চরমোনাই পীর কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্তে বিজিবির ৯ কোটি টাকার এলএসডি ও ফেনসিডিল উদ্ধার গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে দুই বছরের শিশুর মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ২৬২ জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে জামায়াতের ৩৬ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা বিশেষ অভিযানে ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে গ্রেফতার ১,৫৪০ জন

বাংলাদেশ-রাশিয়া সামরিক সম্পর্ক জোরদারে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বাড়ানোর উদ্যোগ 

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:২৫:৩১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫
  • / 49

ছবি সংগৃহীত

 

বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতার নতুন দিগন্ত উন্মোচনে এগিয়ে যাচ্ছে দুই দেশ। রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে অনুষ্ঠিত এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে এই অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন উভয় দেশের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তারা। বৈঠকে অংশ নেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান এবং রাশিয়ার উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী কর্নেল জেনারেল আলেকজান্ডার ফোমিন।

মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাতে ঢাকায় রাশিয়ান দূতাবাস জানায়, বৈঠকে সামরিক সহযোগিতা, প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তি বিনিময় ও ভবিষ্যৎ যৌথ কার্যক্রম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। উভয় পক্ষই বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় ও কার্যকর করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, “বৈঠকটি ছিল অত্যন্ত উষ্ণ, আন্তরিক এবং বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত। রাশিয়া ও বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা সম্পর্কের ইতিবাচক ধারা বজায় রাখার পাশাপাশি, পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে সহযোগিতা বাড়ানোর ব্যাপারে ঐকমত্যে পৌঁছেছেন দুই দেশের প্রতিনিধিরা।”

বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে দীর্ঘদিনের ঐতিহাসিক বন্ধন রয়েছে। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় এবং পরবর্তী পুনর্গঠনে রাশিয়ার ভূমিকা স্মরণীয়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই সম্পর্ক নতুন মাত্রা পেয়েছে প্রতিরক্ষা ও বাণিজ্য খাতে পারস্পরিক আগ্রহ বৃদ্ধির মাধ্যমে।

বিশ্লেষকদের মতে, বর্তমান বৈঠক দুই দেশের কৌশলগত অংশীদারত্বকে আরও শক্তিশালী করবে এবং ভবিষ্যতে যৌথ মহড়া, প্রযুক্তিগত সহযোগিতা এবং সামরিক প্রশিক্ষণ বিনিময়ের পথ সুগম করবে।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শীর্ষ পর্যায়ের এমন সফর কেবল দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়ন নয়, বরং আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও বাংলাদেশের কূটনৈতিক সক্রিয়তার প্রতিফলন বলে মনে করছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা।

এ বৈঠক দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা, আস্থা ও বন্ধুত্বের আরেকটি নিদর্শন হিসেবে ইতিহাসে যুক্ত হলো। প্রতিরক্ষা খাতে এই ধরনের আলোচনা ভবিষ্যতে আরও ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার ভিত্তি রচনা করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ-রাশিয়া সামরিক সম্পর্ক জোরদারে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বাড়ানোর উদ্যোগ 

আপডেট সময় ১১:২৫:৩১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫

 

বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতার নতুন দিগন্ত উন্মোচনে এগিয়ে যাচ্ছে দুই দেশ। রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে অনুষ্ঠিত এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে এই অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন উভয় দেশের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তারা। বৈঠকে অংশ নেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান এবং রাশিয়ার উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী কর্নেল জেনারেল আলেকজান্ডার ফোমিন।

মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাতে ঢাকায় রাশিয়ান দূতাবাস জানায়, বৈঠকে সামরিক সহযোগিতা, প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তি বিনিময় ও ভবিষ্যৎ যৌথ কার্যক্রম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। উভয় পক্ষই বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় ও কার্যকর করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, “বৈঠকটি ছিল অত্যন্ত উষ্ণ, আন্তরিক এবং বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত। রাশিয়া ও বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা সম্পর্কের ইতিবাচক ধারা বজায় রাখার পাশাপাশি, পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে সহযোগিতা বাড়ানোর ব্যাপারে ঐকমত্যে পৌঁছেছেন দুই দেশের প্রতিনিধিরা।”

বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে দীর্ঘদিনের ঐতিহাসিক বন্ধন রয়েছে। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় এবং পরবর্তী পুনর্গঠনে রাশিয়ার ভূমিকা স্মরণীয়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই সম্পর্ক নতুন মাত্রা পেয়েছে প্রতিরক্ষা ও বাণিজ্য খাতে পারস্পরিক আগ্রহ বৃদ্ধির মাধ্যমে।

বিশ্লেষকদের মতে, বর্তমান বৈঠক দুই দেশের কৌশলগত অংশীদারত্বকে আরও শক্তিশালী করবে এবং ভবিষ্যতে যৌথ মহড়া, প্রযুক্তিগত সহযোগিতা এবং সামরিক প্রশিক্ষণ বিনিময়ের পথ সুগম করবে।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শীর্ষ পর্যায়ের এমন সফর কেবল দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়ন নয়, বরং আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও বাংলাদেশের কূটনৈতিক সক্রিয়তার প্রতিফলন বলে মনে করছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা।

এ বৈঠক দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা, আস্থা ও বন্ধুত্বের আরেকটি নিদর্শন হিসেবে ইতিহাসে যুক্ত হলো। প্রতিরক্ষা খাতে এই ধরনের আলোচনা ভবিষ্যতে আরও ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার ভিত্তি রচনা করবে বলে আশা করা হচ্ছে।