ঢাকা ০৩:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চীনকে নতুন করে ৫০% শুল্কের হুমকি ট্রাম্পের, বাণিজ্য উত্তেজনা তুঙ্গে

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৫:১৭:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল ২০২৫
  • / 37

ছবি সংগৃহীত

 

যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার বাণিজ্য উত্তেজনা আবারও তীব্র আকার ধারণ করেছে। চীন যদি সাম্প্রতিক ৩৪ শতাংশ পাল্টা শুল্ক প্রত্যাহার না করে, তাহলে তাদের পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে এমন হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

গত সপ্তাহে ট্রাম্প তার ‘লিবারেশন ডে’ উপলক্ষে চীনা পণ্যের ওপর ৩৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন। এর পাল্টা হিসেবে রোববার বেইজিংও সমপরিমাণ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেয়। সোমবার ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বলেন, চীন যদি মঙ্গলবারের মধ্যে পাল্টা শুল্ক প্রত্যাহার না করে, তাহলে নতুন করে আরও ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে।

চীনের প্রতি এই হুমকির প্রতিক্রিয়ায় বেইজিং একে ‘ভুলের পর ভুল’ বলে অভিহিত করেছে। যুক্তরাষ্ট্রে চীনা দূতাবাস ওয়াশিংটনের বিরুদ্ধে ‘অর্থনৈতিক নিপীড়নের’ অভিযোগ এনে জানিয়েছে, বেইজিং তার “বৈধ অধিকার ও স্বার্থ শক্তভাবে রক্ষা করবে।”

চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, “এ ধরনের সিদ্ধান্ত শুধু মার্কিন ভোক্তাদের ব্যয় বাড়াবে, একইসঙ্গে বৈশ্বিক বাজারে অনিশ্চয়তা তৈরি করবে।”

বিশ্ব গণমাধ্যমগুলো বলছে, এই নতুন শুল্ক আরোপের ফলে চীনা পণ্যের ওপর মোট শুল্ক বেড়ে দাঁড়াতে পারে ১০৪ শতাংশে। এর আগে মার্চ মাসে ২০ শতাংশ এবং এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে ৩৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিল ট্রাম্প প্রশাসন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, বিশ্বের দুই বৃহৎ অর্থনীতির মধ্যে এই বাণিজ্য যুদ্ধ আরও ঘনীভূত হলে এর প্রভাব পড়বে বৈশ্বিক সরবরাহ শৃঙ্খলা এবং আন্তর্জাতিক বিনিয়োগে। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন মার্কিন কোম্পানি উদ্বেগ প্রকাশ করেছে পণ্যের দাম বৃদ্ধি এবং সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কায়।

ট্রাম্প আরও জানান, শুল্ক বিষয়ে চীন যে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছে, সেটিও বাতিল করা হবে যদি চীন পাল্টা শুল্ক প্রত্যাহার না করে।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের অন্য বাণিজ্য অংশীদারদের ওপর আরোপিত আমদানি শুল্ক স্থগিত করার কোনো পরিকল্পনা নেই বলেও জানিয়ে দিয়েছেন ট্রাম্প।

চীনের প্রতিক্রিয়ায় বলা হয়েছে, চাপ সৃষ্টি কিংবা হুমকি কোনোভাবেই যৌক্তিক নয়, বরং আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধান হওয়া উচিত। বিশ্ব এখন নজর রাখছে এই দুই অর্থনৈতিক পরাশক্তির বাণিজ্যিক সংঘাত কোন পথে মোড় নেয় তার দিকে।

নিউজটি শেয়ার করুন

চীনকে নতুন করে ৫০% শুল্কের হুমকি ট্রাম্পের, বাণিজ্য উত্তেজনা তুঙ্গে

আপডেট সময় ০৫:১৭:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল ২০২৫

 

যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার বাণিজ্য উত্তেজনা আবারও তীব্র আকার ধারণ করেছে। চীন যদি সাম্প্রতিক ৩৪ শতাংশ পাল্টা শুল্ক প্রত্যাহার না করে, তাহলে তাদের পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে এমন হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

গত সপ্তাহে ট্রাম্প তার ‘লিবারেশন ডে’ উপলক্ষে চীনা পণ্যের ওপর ৩৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন। এর পাল্টা হিসেবে রোববার বেইজিংও সমপরিমাণ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেয়। সোমবার ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বলেন, চীন যদি মঙ্গলবারের মধ্যে পাল্টা শুল্ক প্রত্যাহার না করে, তাহলে নতুন করে আরও ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে।

চীনের প্রতি এই হুমকির প্রতিক্রিয়ায় বেইজিং একে ‘ভুলের পর ভুল’ বলে অভিহিত করেছে। যুক্তরাষ্ট্রে চীনা দূতাবাস ওয়াশিংটনের বিরুদ্ধে ‘অর্থনৈতিক নিপীড়নের’ অভিযোগ এনে জানিয়েছে, বেইজিং তার “বৈধ অধিকার ও স্বার্থ শক্তভাবে রক্ষা করবে।”

চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, “এ ধরনের সিদ্ধান্ত শুধু মার্কিন ভোক্তাদের ব্যয় বাড়াবে, একইসঙ্গে বৈশ্বিক বাজারে অনিশ্চয়তা তৈরি করবে।”

বিশ্ব গণমাধ্যমগুলো বলছে, এই নতুন শুল্ক আরোপের ফলে চীনা পণ্যের ওপর মোট শুল্ক বেড়ে দাঁড়াতে পারে ১০৪ শতাংশে। এর আগে মার্চ মাসে ২০ শতাংশ এবং এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে ৩৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিল ট্রাম্প প্রশাসন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, বিশ্বের দুই বৃহৎ অর্থনীতির মধ্যে এই বাণিজ্য যুদ্ধ আরও ঘনীভূত হলে এর প্রভাব পড়বে বৈশ্বিক সরবরাহ শৃঙ্খলা এবং আন্তর্জাতিক বিনিয়োগে। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন মার্কিন কোম্পানি উদ্বেগ প্রকাশ করেছে পণ্যের দাম বৃদ্ধি এবং সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কায়।

ট্রাম্প আরও জানান, শুল্ক বিষয়ে চীন যে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছে, সেটিও বাতিল করা হবে যদি চীন পাল্টা শুল্ক প্রত্যাহার না করে।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের অন্য বাণিজ্য অংশীদারদের ওপর আরোপিত আমদানি শুল্ক স্থগিত করার কোনো পরিকল্পনা নেই বলেও জানিয়ে দিয়েছেন ট্রাম্প।

চীনের প্রতিক্রিয়ায় বলা হয়েছে, চাপ সৃষ্টি কিংবা হুমকি কোনোভাবেই যৌক্তিক নয়, বরং আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধান হওয়া উচিত। বিশ্ব এখন নজর রাখছে এই দুই অর্থনৈতিক পরাশক্তির বাণিজ্যিক সংঘাত কোন পথে মোড় নেয় তার দিকে।