ঈদের বিরতির পর আজ থেকে প্রাথমিক স্কুলে পাঠদান শুরু, মাধ্যমিক স্কুল খুলবে বুধবার

- আপডেট সময় ১১:৪২:৫৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল ২০২৫
- / ৫১৯ বার পড়া হয়েছে
দীর্ঘ ছুটি শেষে দেশের শিক্ষাঙ্গনে আবারও প্রাণ ফিরতে শুরু করেছে। রমজান, ঈদুল ফিতর ও বিভিন্ন ধর্মীয় ছুটির কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো দীর্ঘদিন বন্ধ থাকলেও এখন পুরোদমে পাঠদান শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মাদরাসাগুলোতে ক্লাস চালু হয়েছে। বুধবার (৯ এপ্রিল) থেকে খুলছে দেশের সব মাধ্যমিক বিদ্যালয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর তথ্যমতে, এবারের ছুটি ছিল প্রায় ৪০ দিনের মতো। দীর্ঘ এ ছুটির সময়ে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের মাঝে নতুন করে ক্লাসে ফিরে আসার প্রস্তুতি এবং উৎসাহ লক্ষ্য করা গেছে।
ছুটি শুরু হয়েছিল ২৬ ফেব্রুয়ারি, শ্রী শ্রী শিবরাত্রি ব্রতের মাধ্যমে। এরপর একে একে রমজান, দোলযাত্রা, স্বাধীনতা দিবস, হরিচাঁদ ঠাকুরের আবির্ভাব দিবস, শবে কদর, জুমাতুল বিদা ও ঈদুল ফিতরের ছুটির কারণে টানা বন্ধ থাকে বিদ্যালয়গুলো।
প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো সোমবার (৭ এপ্রিল) খুললেও ‘গ্লোবাল স্ট্রাইক ফর গাজা’ আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে সেদিন ক্লাস হয়নি। ফলে মঙ্গলবার থেকেই পূর্ণাঙ্গ পাঠদান শুরু হয়।
মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর ছুটি শুরু হয়েছিল ২ মার্চ থেকে। যদিও এর আগেই ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যত শিক্ষার্থীরা ছুটিতে চলে যায় সাপ্তাহিক ছুটির কারণে। দীর্ঘ ৪০ দিনের এ ছুটি শেষে আগামীকাল বুধবার থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ের সকল বিদ্যালয় নিয়মিত ক্লাসে ফিরছে।
মাদরাসাগুলোর ছুটি শুরু হয়েছিল আরও আগে ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে। রমজান, স্বাধীনতা দিবস, শবে কদর, জুমাতুল বিদা ও ঈদ উপলক্ষে ৪২ দিন ছুটি শেষে মঙ্গলবার থেকে মাদরাসাগুলোও আবারও শিক্ষাদানে ফিরেছে। মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর ক্লাস চালু রাখার বিষয়ে কড়া নির্দেশনা দিয়েছে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলেজগুলো ৩ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটিতে ছিল। রোববার (৬ এপ্রিল) থেকে পুনরায় ক্লাস শুরু হয়। তবে ৭ এপ্রিল ‘নো ওয়ার্ক, নো স্কুল’ কর্মসূচির কারণে সেদিন ক্লাস হয়নি। এখন থেকে এসব কলেজে স্বাভাবিকভাবে পাঠদান চলবে। যেসব প্রতিষ্ঠান স্কুল অ্যান্ড কলেজ হিসেবে পরিচালিত, সেগুলো মাধ্যমিকের মতোই বুধবার খুলবে।
ছুটি শেষে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ফের তাদের কার্যক্রমে ফিরেছে এতে শিক্ষার্থীদের মাঝে নতুন উদ্যম ও ছন্দ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। শিক্ষক-অভিভাবকরা আশা করছেন, অব্যাহত শ্রেণি পাঠের মধ্য দিয়ে শিক্ষার ক্ষতি দ্রুত পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে।