ঢাকা ০৮:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত ঢাকা থেকে বিদায় নিয়েছে ভুটান দল, রাতে আসছে সিঙ্গাপুরের ৪২ সদস্য বরগুনায় কোরবানির দিনে পশু কাটতে গিয়ে আহত ২০ জন ষাটগম্বুজ মসজিদে ঈদুল আজহার প্রধান জামাত সম্পন্ন : মুসল্লিদের উপচে পড়া ভিড় ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তাব পুনর্ব্যক্ত করলো বিএনপি ঈদের দিনেও গাজায় রক্তক্ষরণ: ইসরায়েলি হামলায় ৪২ ফিলিস্তিনি নিহত জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পবিত্র ঈদুল আযহায় স্বাস্থ্যসচেতনতা: সুস্থ থাকুন, নিরাপদে ঈদ করুন আর্জেন্টিনার জয় চিলিতে, গোল আলভারেজের ঈদুল আজহা উপলক্ষে ওমানে ৬৪৫ কারাবন্দিকে ক্ষমা দিলেন সুলতান হাইথাম

জুলাইয়ের হত্যাকাণ্ডের বিচার আইসিসিতে পাঠানোর চিন্তাভাবনা করছে সরকার: প্রেস সচিব

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৭:৪৩:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ এপ্রিল ২০২৫
  • / 44

ছবি সংগৃহীত

 

জুলাই ও আগস্টে দেশজুড়ে ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে রক্তে রঞ্জিত হয় রাজপথ। বিক্ষোভ দমনে চালানো সেই নির্বিচার হত্যাযজ্ঞে প্রাণ হারান শত শত মানুষ, আহত হন বহু। রাজনৈতিক পালাবদলের পর জাতিসংঘের তদন্তে উঠে এসেছে ভয়াবহ মানবতাবিরোধী অপরাধের চিত্র।

জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়, আন্দোলনকারীদের হত্যার পেছনে ছিল তৎকালীন ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সরাসরি নির্দেশ। মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করে হত্যার নির্দেশনা দেওয়া হয়।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর তানভীর হাসান জোহা জানান, ঘটনার পর আলামত ধ্বংসে নেওয়া হয় সুপরিকল্পিত পদক্ষেপ। তিনি বলেন, “শুধু ডেটা ডিলিট নয়, স্থায়ীভাবে মুছে ফেলার নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল যাতে কিছুই পুনরুদ্ধার করা না যায়। কিন্তু আমরা আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে এসব তথ্য পুনরুদ্ধারে সক্ষম হয়েছি এবং সেগুলো আদালতে উপস্থাপনের জন্য প্রস্তুত করেছি।”

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত, হেগ-এ পাঠানো সম্ভব কিনা, তা সরকার খতিয়ে দেখছে। তার ভাষায়, “যদি পাঠানো যায়, তবে সারা বিশ্ব জানবে বাংলাদেশে কীভাবে নির্মমভাবে গণহত্যা চালানো হয়েছিল। তবে দেশের স্বার্থকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”

এদিকে, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রসিকিউশন টিম ইতোমধ্যেই বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া এই হত্যাযজ্ঞের বিভিন্ন তথ্য ও প্রমাণ সংগ্রহ করেছে। চ্যানেল ২৪-কে দেওয়া এক ইমেইল বার্তায় তারা জানায়, চাইলে বাংলাদেশকে কারিগরি সহায়তা দিতে তারা প্রস্তুত।

উল্লেখ্য, ২০০২ সালে রোম আইন অনুযায়ী গঠিত এই আন্তর্জাতিক আদালত বর্তমানে ১২৫টি সদস্য দেশের মধ্যে যুদ্ধাপরাধ, গণহত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশও এর সদস্য রাষ্ট্র।

নিউজটি শেয়ার করুন

জুলাইয়ের হত্যাকাণ্ডের বিচার আইসিসিতে পাঠানোর চিন্তাভাবনা করছে সরকার: প্রেস সচিব

আপডেট সময় ০৭:৪৩:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ এপ্রিল ২০২৫

 

জুলাই ও আগস্টে দেশজুড়ে ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে রক্তে রঞ্জিত হয় রাজপথ। বিক্ষোভ দমনে চালানো সেই নির্বিচার হত্যাযজ্ঞে প্রাণ হারান শত শত মানুষ, আহত হন বহু। রাজনৈতিক পালাবদলের পর জাতিসংঘের তদন্তে উঠে এসেছে ভয়াবহ মানবতাবিরোধী অপরাধের চিত্র।

জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়, আন্দোলনকারীদের হত্যার পেছনে ছিল তৎকালীন ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সরাসরি নির্দেশ। মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করে হত্যার নির্দেশনা দেওয়া হয়।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর তানভীর হাসান জোহা জানান, ঘটনার পর আলামত ধ্বংসে নেওয়া হয় সুপরিকল্পিত পদক্ষেপ। তিনি বলেন, “শুধু ডেটা ডিলিট নয়, স্থায়ীভাবে মুছে ফেলার নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল যাতে কিছুই পুনরুদ্ধার করা না যায়। কিন্তু আমরা আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে এসব তথ্য পুনরুদ্ধারে সক্ষম হয়েছি এবং সেগুলো আদালতে উপস্থাপনের জন্য প্রস্তুত করেছি।”

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত, হেগ-এ পাঠানো সম্ভব কিনা, তা সরকার খতিয়ে দেখছে। তার ভাষায়, “যদি পাঠানো যায়, তবে সারা বিশ্ব জানবে বাংলাদেশে কীভাবে নির্মমভাবে গণহত্যা চালানো হয়েছিল। তবে দেশের স্বার্থকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”

এদিকে, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রসিকিউশন টিম ইতোমধ্যেই বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া এই হত্যাযজ্ঞের বিভিন্ন তথ্য ও প্রমাণ সংগ্রহ করেছে। চ্যানেল ২৪-কে দেওয়া এক ইমেইল বার্তায় তারা জানায়, চাইলে বাংলাদেশকে কারিগরি সহায়তা দিতে তারা প্রস্তুত।

উল্লেখ্য, ২০০২ সালে রোম আইন অনুযায়ী গঠিত এই আন্তর্জাতিক আদালত বর্তমানে ১২৫টি সদস্য দেশের মধ্যে যুদ্ধাপরাধ, গণহত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশও এর সদস্য রাষ্ট্র।