মৌলভীবাজারের ধলই সীমান্তে বিজিবির হাতে ১৫ বাংলাদেশি আটক

- আপডেট সময় ০১:১৫:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ মে ২০২৫
- / 18
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ শুরুর পরপরই ভারত থেকে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার ধলই সীমান্তে নারী, পুরুষ ও শিশুসহ ১৫ জনকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। একইসঙ্গে সীমান্ত এলাকায় আরও অনুপ্রবেশকারীর জমায়েতের খবর মিলেছে বিভিন্ন সূত্রে।
গতকাল বুধবার (৭ মে) সকালেও এই অনুপ্রবেশ ঘটে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় মাধবপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শীব নারায়ণ শীল। তিনি জানান, “বিজিবি ১৫ জন অনুপ্রবেশকারীকে আটক করেছে, যাদের মধ্যে ৯ জন পুরুষ, ৩ জন নারী ও ৩ জন শিশু রয়েছে। তাদের বাড়ি বাংলাদেশের নড়াইল, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলায়।”
আটককৃতরা বিজিবির প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, তারা বিগত পাঁচ বছর ধরে ভারতের আসাম রাজ্যে বসবাস করে আসছিলেন। সম্প্রতি ভারতীয় পুলিশ তাদের বাড়িঘর ভেঙ্গে দিয়ে হেলিকপ্টারে করে ত্রিপুরার মানিকভাণ্ডারে নিয়ে যায় এবং সেখান থেকে বিএসএফ (ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী) এর হাতে তুলে দেয়। পরবর্তীতে বিএসএফ তাদের একটি বড় দলের অংশ হিসেবে ধলই সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ‘পুশ ইন’ করে। ওই দলে প্রায় ৩০০ জন ছিল বলে তারা জানিয়েছে। তবে বাকি লোকজন কোন সীমান্ত দিয়ে পাঠানো হয়েছে, তা তারা নিশ্চিত করতে পারেনি।
মাধবপুর ইউনিয়নের সংরক্ষিত নারী সদস্য বিনা রানী দেব জানান, “আমি নিজে উপস্থিত ছিলাম যখন বিজিবি আটককৃতদের ক্যাম্প থেকে থানায় নেওয়ার জন্য গাড়িতে তোলে। তবে পরবর্তীতে তাদের থানায় হস্তান্তর করা হয়নি।”
কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন বলেন, “বিজিবি ১৫ জনকে আটক করেছে এমন খবর বিভিন্ন মাধ্যমে শুনেছি, তবে এখনো পর্যন্ত আমাদের থানায় কোনো হস্তান্তর হয়নি।”
শ্রীমঙ্গল সেক্টরের আওতাধীন ৪৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. জাকারিয়ার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
স্থানীয়দের আশঙ্কা, সীমান্ত এলাকায় যদি অনুপ্রবেশের এই প্রবণতা অব্যাহত থাকে, তবে তা নিরাপত্তা ঝুঁকির সৃষ্টি করতে পারে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।