ঢাকা ০৭:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ২৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
শিক্ষকের মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয়, এমন কোনো কাজ শিক্ষার্থীদের করা উচিত নয়: শিক্ষা উপদেষ্টা জলমহাল নীতিমালা পরিবর্তন করে প্রকৃত মৎস্যজীবীদের পাবে অগ্রাধিকার: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বাংলাদেশ ব্যাংক পেতে যাচ্ছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ হয়েছে ১১ জন মেয়ে ও ১৩৫ জন শিশু: শারমিন মুরশিদ চীন ও তুরস্কের সহায়তার অভিযোগ সরাসরি প্রত্যাখ্যান করল পাকিস্তান লাগামহীন ও অবিশ্বাস্য মাত্রার লুটপাট আওয়ামী লীগ সরকারের বড় দৃষ্টান্ত: আসিফ মাহমুদ সারা দেশে পুলিশের বিশেষ অভিযানে ১৪৫৪ জন গ্রেপ্তার সব শ্রেণির মানুষের রক্ত-ঘামে জুলাই বিপ্লবের সাফল্য: আসিফ মাহমুদ ট্রাম্পের শুল্কনীতিতে বিপর্যস্ত মার্কিন অর্থনীতি, ছাঁটাই-ব্যয় সংকটে ব্যবসা খাত গাজীপুরে পুকুরে ডুবে দুই কিশোরের মর্মান্তিক মৃত্যু

আমরা চাই সকল শহীদ পরিবারের চোখের জল মুছে দিতে: মা ও শিশু উপদেষ্টা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:০৯:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ জুলাই ২০২৫
  • / 5

ছবি সংগৃহীত

 

সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক উপদেষ্টা শারমীন এস. মুরশিদ বলেছেন, শহীদ রিয়ার নামে নির্মিত স্টেডিয়াম বছরের পর বছর ধরে রিয়ার স্মৃতি বহন করবে। শিশু-কিশোররা যখনই খেলতে আসবে, তখনই রিয়ার নাম দেখে জানতে চাইবে কেন এই নামকরণ। সেই সঙ্গে তারা রিয়ার গল্প জানবে এবং তার বীরত্বের ইতিহাস মনে রাখবে। তিনি জানান, স্টেডিয়ামের একটি অংশে সুন্দর কর্নার তৈরি করা হবে, যেখানে দেশের হারিয়ে যাওয়া ও শহীদ শিশুদের নাম ও স্মৃতি সংরক্ষিত থাকবে।

রবিবার (৬ জুলাই) সকালে নারায়ণগঞ্জ শহরের নয়ামাটি এলাকায় শহীদ রিয়া গোপের বাড়িতে গিয়ে শহীদ রিয়ার মায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন শারমীন এস. মুরশিদ। এ সময় তিনি রিয়ার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান এবং এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিচার করা হবে বলে আশ্বস্ত করেন।

শারমীন মুরশিদ বলেন, “এই প্রথমবারের মতো আমরা জানতে পেরেছি যে এই আন্দোলনে ১১ জন মেয়ে ও ১৩৫ জন শিশু শহীদ হয়েছে। আমরা চাই তাদের পরিবারের চোখের জল মুছে দিতে। সব শহীদ পরিবারে যাওয়া সম্ভব না হলেও, আমরা পাশে আছি।”

তিনি আরও বলেন, “পুরো জুলাই মাস আমরা এই শহীদ শিশুদের স্মরণে উৎসর্গ করেছি। যারা চলে গেছে, তাদের পরিবারের কাছে গিয়ে বলছি আমরা তোমাদের ভুলিনি এবং কোনোদিন ভুলব না। যে ক্ষতি হয়েছে, যে আত্মত্যাগ তারা করেছে, তার যথাযথ সম্মান রাষ্ট্র দেবে। দেশের মানুষও তাদের চিরকাল মনে রাখবে। এটি যেন আমাদের মননে এবং ভাষণে অম্লান থাকে।”

এ সময় নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিঞাসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উপদেষ্টা আরও জানান, শহীদ শিশুদের স্মরণে সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। পাশাপাশি এই ধরনের নির্মম ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালানোর আশ্বাস দেন তিনি।

শহীদ রিয়ার নামে গড়ে ওঠা স্টেডিয়াম ও স্মৃতিকোণ ভবিষ্যত প্রজন্মকে অনুপ্রেরণা দেবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আমরা চাই সকল শহীদ পরিবারের চোখের জল মুছে দিতে: মা ও শিশু উপদেষ্টা

আপডেট সময় ০৪:০৯:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ জুলাই ২০২৫

 

সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক উপদেষ্টা শারমীন এস. মুরশিদ বলেছেন, শহীদ রিয়ার নামে নির্মিত স্টেডিয়াম বছরের পর বছর ধরে রিয়ার স্মৃতি বহন করবে। শিশু-কিশোররা যখনই খেলতে আসবে, তখনই রিয়ার নাম দেখে জানতে চাইবে কেন এই নামকরণ। সেই সঙ্গে তারা রিয়ার গল্প জানবে এবং তার বীরত্বের ইতিহাস মনে রাখবে। তিনি জানান, স্টেডিয়ামের একটি অংশে সুন্দর কর্নার তৈরি করা হবে, যেখানে দেশের হারিয়ে যাওয়া ও শহীদ শিশুদের নাম ও স্মৃতি সংরক্ষিত থাকবে।

রবিবার (৬ জুলাই) সকালে নারায়ণগঞ্জ শহরের নয়ামাটি এলাকায় শহীদ রিয়া গোপের বাড়িতে গিয়ে শহীদ রিয়ার মায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন শারমীন এস. মুরশিদ। এ সময় তিনি রিয়ার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান এবং এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিচার করা হবে বলে আশ্বস্ত করেন।

শারমীন মুরশিদ বলেন, “এই প্রথমবারের মতো আমরা জানতে পেরেছি যে এই আন্দোলনে ১১ জন মেয়ে ও ১৩৫ জন শিশু শহীদ হয়েছে। আমরা চাই তাদের পরিবারের চোখের জল মুছে দিতে। সব শহীদ পরিবারে যাওয়া সম্ভব না হলেও, আমরা পাশে আছি।”

তিনি আরও বলেন, “পুরো জুলাই মাস আমরা এই শহীদ শিশুদের স্মরণে উৎসর্গ করেছি। যারা চলে গেছে, তাদের পরিবারের কাছে গিয়ে বলছি আমরা তোমাদের ভুলিনি এবং কোনোদিন ভুলব না। যে ক্ষতি হয়েছে, যে আত্মত্যাগ তারা করেছে, তার যথাযথ সম্মান রাষ্ট্র দেবে। দেশের মানুষও তাদের চিরকাল মনে রাখবে। এটি যেন আমাদের মননে এবং ভাষণে অম্লান থাকে।”

এ সময় নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিঞাসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উপদেষ্টা আরও জানান, শহীদ শিশুদের স্মরণে সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। পাশাপাশি এই ধরনের নির্মম ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালানোর আশ্বাস দেন তিনি।

শহীদ রিয়ার নামে গড়ে ওঠা স্টেডিয়াম ও স্মৃতিকোণ ভবিষ্যত প্রজন্মকে অনুপ্রেরণা দেবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।