০২:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
থাই–কাম্বোডিয়া সীমান্তে পুনরায় উত্তেজনা: অস্ত্রবিরতি ভেঙে বিমান হামলা, নিহত ১ সৈন্য ইসির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধি দল জার্মান সেনাবাহিনী বাড়ছে: ২০৩৫ সালের মধ্যে ২,৬০,০০০ সক্রিয় সদস্যের লক্ষ্য অনুমোদন মধ্যপ্রাচ্যের কঠিনতম পানি প্রকল্প সম্পন্ন করল ইরান ফিনল্যান্ডে ডাটা সেন্টারের নির্গত  তাপে গরম হচ্ছে পুরো শহর চীন কোয়ান্টাম কম্পিউটারে সফলতা পেলে যুক্তরাষ্ট্রকে এক নিমেষে প্রস্তরযুগে পাঠিয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্রের F-35 যুদ্ধবিমান প্রকল্পে ফিরে আসার বিষয়ে আরো একধাপ এগিয়ে গেল তুরস্ক: এমনটাই জানিয়েছেন তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাক। ফিফার শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হলেন ট্রাম্প ব্রাজিলে অবতরণের পর আগুনে পুড়ল এয়ারবাস এ-৩২০, অল্পের জন্য রক্ষা পেল যাত্রীরা পাক-আফগান সীমান্তে তীব্র গোলাগুলি, উত্তেজনা চরমে

আমরা চাই সকল শহীদ পরিবারের চোখের জল মুছে দিতে: মা ও শিশু উপদেষ্টা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:০৯:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ জুলাই ২০২৫
  • / 104

ছবি সংগৃহীত

 

সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক উপদেষ্টা শারমীন এস. মুরশিদ বলেছেন, শহীদ রিয়ার নামে নির্মিত স্টেডিয়াম বছরের পর বছর ধরে রিয়ার স্মৃতি বহন করবে। শিশু-কিশোররা যখনই খেলতে আসবে, তখনই রিয়ার নাম দেখে জানতে চাইবে কেন এই নামকরণ। সেই সঙ্গে তারা রিয়ার গল্প জানবে এবং তার বীরত্বের ইতিহাস মনে রাখবে। তিনি জানান, স্টেডিয়ামের একটি অংশে সুন্দর কর্নার তৈরি করা হবে, যেখানে দেশের হারিয়ে যাওয়া ও শহীদ শিশুদের নাম ও স্মৃতি সংরক্ষিত থাকবে।

রবিবার (৬ জুলাই) সকালে নারায়ণগঞ্জ শহরের নয়ামাটি এলাকায় শহীদ রিয়া গোপের বাড়িতে গিয়ে শহীদ রিয়ার মায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন শারমীন এস. মুরশিদ। এ সময় তিনি রিয়ার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান এবং এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিচার করা হবে বলে আশ্বস্ত করেন।

বিজ্ঞাপন

শারমীন মুরশিদ বলেন, “এই প্রথমবারের মতো আমরা জানতে পেরেছি যে এই আন্দোলনে ১১ জন মেয়ে ও ১৩৫ জন শিশু শহীদ হয়েছে। আমরা চাই তাদের পরিবারের চোখের জল মুছে দিতে। সব শহীদ পরিবারে যাওয়া সম্ভব না হলেও, আমরা পাশে আছি।”

তিনি আরও বলেন, “পুরো জুলাই মাস আমরা এই শহীদ শিশুদের স্মরণে উৎসর্গ করেছি। যারা চলে গেছে, তাদের পরিবারের কাছে গিয়ে বলছি আমরা তোমাদের ভুলিনি এবং কোনোদিন ভুলব না। যে ক্ষতি হয়েছে, যে আত্মত্যাগ তারা করেছে, তার যথাযথ সম্মান রাষ্ট্র দেবে। দেশের মানুষও তাদের চিরকাল মনে রাখবে। এটি যেন আমাদের মননে এবং ভাষণে অম্লান থাকে।”

এ সময় নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিঞাসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উপদেষ্টা আরও জানান, শহীদ শিশুদের স্মরণে সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। পাশাপাশি এই ধরনের নির্মম ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালানোর আশ্বাস দেন তিনি।

শহীদ রিয়ার নামে গড়ে ওঠা স্টেডিয়াম ও স্মৃতিকোণ ভবিষ্যত প্রজন্মকে অনুপ্রেরণা দেবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আমরা চাই সকল শহীদ পরিবারের চোখের জল মুছে দিতে: মা ও শিশু উপদেষ্টা

আপডেট সময় ০৪:০৯:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ জুলাই ২০২৫

 

সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক উপদেষ্টা শারমীন এস. মুরশিদ বলেছেন, শহীদ রিয়ার নামে নির্মিত স্টেডিয়াম বছরের পর বছর ধরে রিয়ার স্মৃতি বহন করবে। শিশু-কিশোররা যখনই খেলতে আসবে, তখনই রিয়ার নাম দেখে জানতে চাইবে কেন এই নামকরণ। সেই সঙ্গে তারা রিয়ার গল্প জানবে এবং তার বীরত্বের ইতিহাস মনে রাখবে। তিনি জানান, স্টেডিয়ামের একটি অংশে সুন্দর কর্নার তৈরি করা হবে, যেখানে দেশের হারিয়ে যাওয়া ও শহীদ শিশুদের নাম ও স্মৃতি সংরক্ষিত থাকবে।

রবিবার (৬ জুলাই) সকালে নারায়ণগঞ্জ শহরের নয়ামাটি এলাকায় শহীদ রিয়া গোপের বাড়িতে গিয়ে শহীদ রিয়ার মায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন শারমীন এস. মুরশিদ। এ সময় তিনি রিয়ার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান এবং এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিচার করা হবে বলে আশ্বস্ত করেন।

বিজ্ঞাপন

শারমীন মুরশিদ বলেন, “এই প্রথমবারের মতো আমরা জানতে পেরেছি যে এই আন্দোলনে ১১ জন মেয়ে ও ১৩৫ জন শিশু শহীদ হয়েছে। আমরা চাই তাদের পরিবারের চোখের জল মুছে দিতে। সব শহীদ পরিবারে যাওয়া সম্ভব না হলেও, আমরা পাশে আছি।”

তিনি আরও বলেন, “পুরো জুলাই মাস আমরা এই শহীদ শিশুদের স্মরণে উৎসর্গ করেছি। যারা চলে গেছে, তাদের পরিবারের কাছে গিয়ে বলছি আমরা তোমাদের ভুলিনি এবং কোনোদিন ভুলব না। যে ক্ষতি হয়েছে, যে আত্মত্যাগ তারা করেছে, তার যথাযথ সম্মান রাষ্ট্র দেবে। দেশের মানুষও তাদের চিরকাল মনে রাখবে। এটি যেন আমাদের মননে এবং ভাষণে অম্লান থাকে।”

এ সময় নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিঞাসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উপদেষ্টা আরও জানান, শহীদ শিশুদের স্মরণে সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। পাশাপাশি এই ধরনের নির্মম ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালানোর আশ্বাস দেন তিনি।

শহীদ রিয়ার নামে গড়ে ওঠা স্টেডিয়াম ও স্মৃতিকোণ ভবিষ্যত প্রজন্মকে অনুপ্রেরণা দেবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।