ঢাকা ১১:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ইরানে ধ/র্ষ/ণে/র দায়ে ৩ ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর শ্রমিকদের কঠোর পরিশ্রম ও অবদানে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই হবে আগামী দিনের লক্ষ্য: জামায়াত আমির মানবাধিকারের পক্ষে থাকুন, ঘেটো বানাবেন না: তথ্য উপদেষ্টা ইরানে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনায় ২১ জন নিহত, আহত অন্তত ২৯ শিশুদের মাঝে গড়ে তুলতে হবে পরিবেশ সচেতনতা: রিজওয়ানা হাসান বাংলাদেশে মানবাধিকার সুরক্ষায় জাতিসংঘের নতুন মিশন চালু: প্রেস উইং দেশজুড়ে ডেঙ্গুতে আরও ১ জনের মৃত্যু, ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি ৩৯৪ জন আর কোনো ‘গডফাদার’ বাংলাদেশে সৃষ্টি হতে দেওয়া হবে না: হুঁশিয়ারি নাহিদ ইসলামের শ্রমিকদের কালো তালিকাভুক্ত করার অধিকার নেই মালিকদের: শ্রম উপদেষ্টা

কালজয়ী কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৭:২১:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫
  • / 3

ছবি সংগৃহীত

 

 

আজ ১৯ জুলাই, শনিবার কালজয়ী কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০১২ সালের এই দিনে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের বেলভিউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তবে মৃত্যুর এক যুগ পেরিয়ে গেলেও তিনি অমর হয়ে আছেন লক্ষ-কোটি পাঠকের হৃদয়ে নিজের সৃষ্টিকর্মের মধ্য দিয়ে, চিরকালীন শিল্পসত্তা হিসেবে।

১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার কুতুবপুর গ্রামে জন্ম নেন হুমায়ূন আহমেদ। পাঠকের হৃদয়ে আজও জেগে আছে তাঁকে হারানোর শোক। মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে গাজীপুরের নুহাশপল্লীতে নানা আয়োজন করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁর জন্মস্থানসহ সারা দেশজুড়েই ভক্তদের নিজস্ব আয়োজনে পালিত হচ্ছে স্মরণসভা, আলোচনা ও সাহিত্য পাঠ।

হুমায়ূন আহমেদ ছিলেন এক বহুমাত্রিক স্রষ্টা। ছোটগল্পের নির্মোহ বর্ণনায় তিনি ছুঁয়েছেন পাঠকের মর্ম; উপন্যাসে সৃষ্টি করেছেন মোহের জাল। বাংলা সাহিত্যে সংলাপনির্ভর নতুন ধারার প্রবর্তক হিসেবে তিনি আজও অনন্য। কথাসাহিত্যের পাশাপাশি নাট্যকার, চলচ্চিত্র নির্মাতা, গীতিকার এবং বাংলা কল্পবিজ্ঞান সাহিত্যের পথিকৃৎ হিসেবেও তাঁর অবদান বিশাল।

তাঁর রচিত গ্রন্থের সংখ্যা তিন শতাধিক। ‘নন্দিত নরকে’, ‘শঙ্খনীল কারাগার’, ‘মধ্যাহ্ন’, ‘জোছনা ও জননীর গল্প’, ‘মাতাল হাওয়া’, ‘বাদশা নামদার’ প্রতিটি উপন্যাসেই তিনি বাংলা সাহিত্যে এক ভিন্ন মাত্রা যুক্ত করেছেন। হিমু, মিসির আলী, রুপা, শুভ্র এই চরিত্রগুলো হয়ে উঠেছে বাঙালির আবেগ, কল্পনা ও ভালোবাসার প্রতিচ্ছবি।

নাটকজগতেও হুমায়ূন আহমেদ ছিলেন সমান জনপ্রিয়। ‘এইসব দিনরাত্রি’, ‘অয়োময়’, ‘কোথাও কেউ নেই’, ‘নক্ষত্রের রাত’, ‘আজ রবিবার’ এসব নাটক আজও দর্শকের কাছে প্রিয়। চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবেও তিনি উপহার দিয়েছেন ‘আগুনের পরশমণি’, ‘দুই দুয়ারী’, ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’, ‘শ্যামল ছায়া’, ‘চন্দ্রকথা’ ও ‘ঘেটুপুত্র কমলা’র মতো জনপ্রিয় ছবি। তাঁর নির্মিত চলচ্চিত্রগুলো জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে।

সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে অসামান্য অবদানের জন্য হুমায়ূন আহমেদ একুশে পদক, বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারসহ অসংখ্য সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন।

তিনি নেই শারীরিকভাবে, কিন্তু তাঁর সৃষ্টি আজও জীবন্ত প্রজন্মের পর প্রজন্মকে আলোড়িত করে চলেছে, ঠিক যেমন তিনি চেয়েছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

কালজয়ী কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

আপডেট সময় ০৭:২১:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫

 

 

আজ ১৯ জুলাই, শনিবার কালজয়ী কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০১২ সালের এই দিনে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের বেলভিউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তবে মৃত্যুর এক যুগ পেরিয়ে গেলেও তিনি অমর হয়ে আছেন লক্ষ-কোটি পাঠকের হৃদয়ে নিজের সৃষ্টিকর্মের মধ্য দিয়ে, চিরকালীন শিল্পসত্তা হিসেবে।

১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার কুতুবপুর গ্রামে জন্ম নেন হুমায়ূন আহমেদ। পাঠকের হৃদয়ে আজও জেগে আছে তাঁকে হারানোর শোক। মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে গাজীপুরের নুহাশপল্লীতে নানা আয়োজন করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁর জন্মস্থানসহ সারা দেশজুড়েই ভক্তদের নিজস্ব আয়োজনে পালিত হচ্ছে স্মরণসভা, আলোচনা ও সাহিত্য পাঠ।

হুমায়ূন আহমেদ ছিলেন এক বহুমাত্রিক স্রষ্টা। ছোটগল্পের নির্মোহ বর্ণনায় তিনি ছুঁয়েছেন পাঠকের মর্ম; উপন্যাসে সৃষ্টি করেছেন মোহের জাল। বাংলা সাহিত্যে সংলাপনির্ভর নতুন ধারার প্রবর্তক হিসেবে তিনি আজও অনন্য। কথাসাহিত্যের পাশাপাশি নাট্যকার, চলচ্চিত্র নির্মাতা, গীতিকার এবং বাংলা কল্পবিজ্ঞান সাহিত্যের পথিকৃৎ হিসেবেও তাঁর অবদান বিশাল।

তাঁর রচিত গ্রন্থের সংখ্যা তিন শতাধিক। ‘নন্দিত নরকে’, ‘শঙ্খনীল কারাগার’, ‘মধ্যাহ্ন’, ‘জোছনা ও জননীর গল্প’, ‘মাতাল হাওয়া’, ‘বাদশা নামদার’ প্রতিটি উপন্যাসেই তিনি বাংলা সাহিত্যে এক ভিন্ন মাত্রা যুক্ত করেছেন। হিমু, মিসির আলী, রুপা, শুভ্র এই চরিত্রগুলো হয়ে উঠেছে বাঙালির আবেগ, কল্পনা ও ভালোবাসার প্রতিচ্ছবি।

নাটকজগতেও হুমায়ূন আহমেদ ছিলেন সমান জনপ্রিয়। ‘এইসব দিনরাত্রি’, ‘অয়োময়’, ‘কোথাও কেউ নেই’, ‘নক্ষত্রের রাত’, ‘আজ রবিবার’ এসব নাটক আজও দর্শকের কাছে প্রিয়। চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবেও তিনি উপহার দিয়েছেন ‘আগুনের পরশমণি’, ‘দুই দুয়ারী’, ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’, ‘শ্যামল ছায়া’, ‘চন্দ্রকথা’ ও ‘ঘেটুপুত্র কমলা’র মতো জনপ্রিয় ছবি। তাঁর নির্মিত চলচ্চিত্রগুলো জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে।

সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে অসামান্য অবদানের জন্য হুমায়ূন আহমেদ একুশে পদক, বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারসহ অসংখ্য সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন।

তিনি নেই শারীরিকভাবে, কিন্তু তাঁর সৃষ্টি আজও জীবন্ত প্রজন্মের পর প্রজন্মকে আলোড়িত করে চলেছে, ঠিক যেমন তিনি চেয়েছিলেন।