ঢাকা ০২:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫, ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
হবিগঞ্জে দীর্ঘদিনের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বে ঈদে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক লস এঞ্জেলেসে প্রতিবাদে বিক্ষোভ, নিয়ন্ত্রণে ২ হাজার ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন” বিশ্ব সমুদ্র দিবস আজ ঈদের দ্বিতীয় দিন চলবে অধিকাংশ আন্তঃনগর ট্রেন, যুক্ত হচ্ছে অতিরিক্ত কোচ লন্ডনে যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য বৈঠক সোমবার গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে হামলায় বিএনপি নেতার মৃত্যু ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র স্বীকৃতি দেওয়া থেকে সরে দাঁড়াল ইউরোপের দুই প্রভাবশালী দেশ ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত ঢাকা থেকে বিদায় নিয়েছে ভুটান দল, রাতে আসছে সিঙ্গাপুরের ৪২ সদস্য বরগুনায় কোরবানির দিনে পশু কাটতে গিয়ে আহত ২০ জন

হবিগঞ্জে দীর্ঘদিনের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বে ঈদে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০২:৩৬:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ জুন ২০২৫
  • / 3

ছবি: সংগৃহীত

 

হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার বেজুড়া গ্রামে ঈদের দিন তীব্র গোষ্ঠী দ্বন্দ্বে দুই পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনায় মাধবপুর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ কমপক্ষে ৬০ জন আহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার (৭ জুলাই) রাত৮টার দিকে ঘটনাটি ঘটে।

স্থানীয় এবং পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বেজুড়ার বারঘরিয়া ও তেরঘরিয়া নামে দুই গোষ্ঠী প্রায় ৫০ বছর ধরে বিরোধে জড়িয়ে আছে। এই দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্বের সূত্রেই ঈদের আনন্দ বর্ষিত মুহূর্তে তারা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে দু’পক্ষের কমপক্ষে ৫০ জন স্থানীয় আহত হন। পরে আহতদের মাধবপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গুরুতর আহতদের মধ্যে রয়েছেন রোবশির উল্লাহ (৩০), লাখাছ মিয়া (২৫), গাজী মিয়া (৩৫), ইমানউল্লাহ (৪০), রাফিউল­্লাহ (২৪), মুখলেছ মিয়া (৩৫), মহিবউল্লাহ (৭০), শের আলী (৫০), হোসাইন মিয়া (৩২), বাছির মিয়া (৩০), তাউস মিয়া (৬০), ওমর ফারুক (২৫), আব্দুর রহমান (৩৫), আকাশ মিয়া (২৪), মেহেদী হাসান (২২), মোবারক মিয়া (৫০) ও হারিছ মিয়া (৪৫)। বাকিদের নাম এখনও নির্দিষ্ট করা যায়নি।
স্থানীয়রা জানান, এ সংঘর্ষে আগে জোড়া খুনসহ একাধিক হত্যাকাণ্ড, মামলার লড়াই ও প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ ছাড়া প্রক্ষেপণ বিছিন্ন হচ্ছে না।

মাধবপুর থানা ও উপজেলা প্রশাসন বিগত দুই মাসে গ্রামীণ শান্তি প্রতিষ্ঠার অংশ হিসেবে দুই গোষ্ঠীর শীর্ষ নেতৃবৃন্দ নিয়ে একটি আইনি ও সমঝোতা বৈঠকের আয়োজন করেন। উভয়পক্ষের সমাধান টীমে ১০ জন করে প্রতিনিধিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়, যাতে সামান্য মনোমালিন্যও হলে তারা নিজ উদ্যোগে সমাধান করতে পারে।

ঈদের দিন রাতেই তারা তীব্র যুদ্ধের মুখে পড়লে আহতের সংখ্যা বেড়ে যায়। মাধবপুর থানার ওসি সাংবাদিকদের জানান, “যা কিছু পুলিশ অভিযানে দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। ঘটনা নিয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চলছে, শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে।”

প্রশাসন ও স্থানীয়দের আবেদন বেজুড়া গ্রামে শান্তি ফিরে যাক, এটাই বর্তমান প্রাধান্য। এর জন্য পুলিশ-প্রশাসনের উপস্থিতি ও সার্বক্ষণিক নজরদারি আরও জোরদার করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

হবিগঞ্জে দীর্ঘদিনের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বে ঈদে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক

আপডেট সময় ০২:৩৬:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ জুন ২০২৫

 

হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার বেজুড়া গ্রামে ঈদের দিন তীব্র গোষ্ঠী দ্বন্দ্বে দুই পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনায় মাধবপুর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ কমপক্ষে ৬০ জন আহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার (৭ জুলাই) রাত৮টার দিকে ঘটনাটি ঘটে।

স্থানীয় এবং পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বেজুড়ার বারঘরিয়া ও তেরঘরিয়া নামে দুই গোষ্ঠী প্রায় ৫০ বছর ধরে বিরোধে জড়িয়ে আছে। এই দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্বের সূত্রেই ঈদের আনন্দ বর্ষিত মুহূর্তে তারা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে দু’পক্ষের কমপক্ষে ৫০ জন স্থানীয় আহত হন। পরে আহতদের মাধবপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গুরুতর আহতদের মধ্যে রয়েছেন রোবশির উল্লাহ (৩০), লাখাছ মিয়া (২৫), গাজী মিয়া (৩৫), ইমানউল্লাহ (৪০), রাফিউল­্লাহ (২৪), মুখলেছ মিয়া (৩৫), মহিবউল্লাহ (৭০), শের আলী (৫০), হোসাইন মিয়া (৩২), বাছির মিয়া (৩০), তাউস মিয়া (৬০), ওমর ফারুক (২৫), আব্দুর রহমান (৩৫), আকাশ মিয়া (২৪), মেহেদী হাসান (২২), মোবারক মিয়া (৫০) ও হারিছ মিয়া (৪৫)। বাকিদের নাম এখনও নির্দিষ্ট করা যায়নি।
স্থানীয়রা জানান, এ সংঘর্ষে আগে জোড়া খুনসহ একাধিক হত্যাকাণ্ড, মামলার লড়াই ও প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ ছাড়া প্রক্ষেপণ বিছিন্ন হচ্ছে না।

মাধবপুর থানা ও উপজেলা প্রশাসন বিগত দুই মাসে গ্রামীণ শান্তি প্রতিষ্ঠার অংশ হিসেবে দুই গোষ্ঠীর শীর্ষ নেতৃবৃন্দ নিয়ে একটি আইনি ও সমঝোতা বৈঠকের আয়োজন করেন। উভয়পক্ষের সমাধান টীমে ১০ জন করে প্রতিনিধিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়, যাতে সামান্য মনোমালিন্যও হলে তারা নিজ উদ্যোগে সমাধান করতে পারে।

ঈদের দিন রাতেই তারা তীব্র যুদ্ধের মুখে পড়লে আহতের সংখ্যা বেড়ে যায়। মাধবপুর থানার ওসি সাংবাদিকদের জানান, “যা কিছু পুলিশ অভিযানে দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। ঘটনা নিয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চলছে, শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে।”

প্রশাসন ও স্থানীয়দের আবেদন বেজুড়া গ্রামে শান্তি ফিরে যাক, এটাই বর্তমান প্রাধান্য। এর জন্য পুলিশ-প্রশাসনের উপস্থিতি ও সার্বক্ষণিক নজরদারি আরও জোরদার করা হয়েছে।