ঢাকা ০৮:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫, ১৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
পরিবেশই নয়, অর্থনীতি ও জীববৈচিত্র্যও টিকিয়ে রাখতে বন নিরাপত্তার অন্যতম ভিত্তি: রিজওয়ানা জোটবদ্ধ ইসলামি দলই আগামী দিনে দেশের প্রধান রাজনৈতিক শক্তি হয়ে উঠবে: চরমোনাই পীর কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্তে বিজিবির ৯ কোটি টাকার এলএসডি ও ফেনসিডিল উদ্ধার গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে দুই বছরের শিশুর মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ২৬২ জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে জামায়াতের ৩৬ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা বিশেষ অভিযানে ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে গ্রেফতার ১,৫৪০ জন ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা বাড়াচ্ছে ইউরোপ, পুতিনের যুক্তভুক্তির উচ্চাকাঙ্ক্ষা বহাল এনবিআরের পূর্ণ শাটডাউনে অচল দেশের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম রিজার্ভে স্বস্তি: বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছাড়াল ৩০ বিলিয়ন ডলার ফক্স নিউজের বিরুদ্ধে ৭৮ কোটি ডলারের মানহানি মামলা ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নরের

বিগ ব্যাংয়ের পর বিজ্ঞানীদের মহাকাশে সবচেয়ে শক্তিশালী বিস্ফোরণ আবিষ্কার

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:২২:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ জুন ২০২৫
  • / 31

ছবি: সংগৃহীত

 

বিগ ব্যাংয়ের পর থেকে মহাকাশে সবচেয়ে শক্তিশালী একটি বিস্ফোরণের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। সম্প্রতি ‘সায়েন্স অ্যাডভান্সেস’ জার্নালে প্রকাশিত গবেষণায় এই বিস্ময়কর ঘটনার বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। বিজ্ঞানীদের ভাষায়, এটিকে বলা হচ্ছে Extreme Nuclear Transient (ENT) বা চরম মাত্রার পারমাণবিক ক্ষণস্থায়ী বিস্ফোরণ।

যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের গবেষকরা এই নতুন মহাজাগতিক বিস্ফোরণ শ্রেণি চিহ্নিত করেছেন। তাদের মতে, এই বিস্ফোরণটি এতটাই শক্তিশালী যে এর মাধ্যমে ১০০টি সূর্যের সমান শক্তি নির্গত হয়েছে। এমনকি এটি বিগ ব্যাংয়ের পর মহাকাশে দেখা সবচেয়ে শক্তিশালী ঘটনাগুলোর একটি।

এই বিস্ফোরণ ঘটে তখন, যখন বিশাল আকারের নক্ষত্র কোনো সুদূর ছায়াপথের কেন্দ্রে অবস্থিত সুপার ম্যাসিভ কৃষ্ণগহ্বরের গহ্বরে টেনে নেওয়া হয় এবং সেখানে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। সাধারণত এসব নক্ষত্রের ভর আমাদের সূর্যের চেয়ে অন্তত তিন গুণ বেশি হয়ে থাকে। বিস্ফোরণের সময় নির্গত শক্তি এত বেশি যে, ১০০টি সূর্য তাদের পুরো আয়ুষ্কালে যত শক্তি নির্গত করে, ENT-তে সেই শক্তি মাত্র এক বছরের মধ্যেই নির্গত হয়ে যায়।

গবেষণায় জানা যায়, এই বিস্ফোরণগুলো বছরের পর বছর ধরে আকাশে আলো ছড়িয়ে রাখে এবং সাধারণ সুপারনোভার চেয়ে প্রায় ১০ গুণ বেশি উজ্জ্বল হয়। বিজ্ঞানী হিংকল এই ENT-এর প্রথম খোঁজ পান, যখন তিনি একটি ছায়াপথের কেন্দ্র থেকে নির্গত দীর্ঘস্থায়ী অগ্নিতরঙ্গ নিয়ে গবেষণা করছিলেন। তার মতে, “আমরা বহু বছর ধরে বিভিন্ন নক্ষত্রকে কৃষ্ণগহ্বরে ছিন্নভিন্ন হতে দেখেছি, কিন্তু ENT সম্পূর্ণ আলাদা। এটা এতটাই তীব্র ও শক্তিশালী যে আমাদের পরিচিত সুপারনোভাগুলোকেও ছাড়িয়ে গেছে।”

‘Gaia18cjd’ নামের একটি ঘটনা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এটি সুপরিচিত যে কোনো সুপারনোভার চেয়ে প্রায় ২৫ গুণ বেশি শক্তি নির্গত করেছে। যেখানে সাধারণ একটি সুপারনোভা এক বছরে সূর্যের ১০ বিলিয়ন বছরের শক্তির সমান বিকিরণ করে, সেখানে Gaia18cjd মাত্র এক বছরে ১০০টি সূর্যের সমান শক্তি বিকিরণ করেছে।

এই মহাজাগতিক বিস্ফোরণের নতুন শ্রেণি সম্পর্কে আবিষ্কার আমাদের নক্ষত্র এবং কৃষ্ণগহ্বরের পারস্পরিক সম্পর্ক এবং মহাবিশ্বের শক্তি বিন্যাস সম্পর্কে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করবে।

সূত্র: এনডিটিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

বিগ ব্যাংয়ের পর বিজ্ঞানীদের মহাকাশে সবচেয়ে শক্তিশালী বিস্ফোরণ আবিষ্কার

আপডেট সময় ০১:২২:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ জুন ২০২৫

 

বিগ ব্যাংয়ের পর থেকে মহাকাশে সবচেয়ে শক্তিশালী একটি বিস্ফোরণের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। সম্প্রতি ‘সায়েন্স অ্যাডভান্সেস’ জার্নালে প্রকাশিত গবেষণায় এই বিস্ময়কর ঘটনার বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। বিজ্ঞানীদের ভাষায়, এটিকে বলা হচ্ছে Extreme Nuclear Transient (ENT) বা চরম মাত্রার পারমাণবিক ক্ষণস্থায়ী বিস্ফোরণ।

যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের গবেষকরা এই নতুন মহাজাগতিক বিস্ফোরণ শ্রেণি চিহ্নিত করেছেন। তাদের মতে, এই বিস্ফোরণটি এতটাই শক্তিশালী যে এর মাধ্যমে ১০০টি সূর্যের সমান শক্তি নির্গত হয়েছে। এমনকি এটি বিগ ব্যাংয়ের পর মহাকাশে দেখা সবচেয়ে শক্তিশালী ঘটনাগুলোর একটি।

এই বিস্ফোরণ ঘটে তখন, যখন বিশাল আকারের নক্ষত্র কোনো সুদূর ছায়াপথের কেন্দ্রে অবস্থিত সুপার ম্যাসিভ কৃষ্ণগহ্বরের গহ্বরে টেনে নেওয়া হয় এবং সেখানে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। সাধারণত এসব নক্ষত্রের ভর আমাদের সূর্যের চেয়ে অন্তত তিন গুণ বেশি হয়ে থাকে। বিস্ফোরণের সময় নির্গত শক্তি এত বেশি যে, ১০০টি সূর্য তাদের পুরো আয়ুষ্কালে যত শক্তি নির্গত করে, ENT-তে সেই শক্তি মাত্র এক বছরের মধ্যেই নির্গত হয়ে যায়।

গবেষণায় জানা যায়, এই বিস্ফোরণগুলো বছরের পর বছর ধরে আকাশে আলো ছড়িয়ে রাখে এবং সাধারণ সুপারনোভার চেয়ে প্রায় ১০ গুণ বেশি উজ্জ্বল হয়। বিজ্ঞানী হিংকল এই ENT-এর প্রথম খোঁজ পান, যখন তিনি একটি ছায়াপথের কেন্দ্র থেকে নির্গত দীর্ঘস্থায়ী অগ্নিতরঙ্গ নিয়ে গবেষণা করছিলেন। তার মতে, “আমরা বহু বছর ধরে বিভিন্ন নক্ষত্রকে কৃষ্ণগহ্বরে ছিন্নভিন্ন হতে দেখেছি, কিন্তু ENT সম্পূর্ণ আলাদা। এটা এতটাই তীব্র ও শক্তিশালী যে আমাদের পরিচিত সুপারনোভাগুলোকেও ছাড়িয়ে গেছে।”

‘Gaia18cjd’ নামের একটি ঘটনা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এটি সুপরিচিত যে কোনো সুপারনোভার চেয়ে প্রায় ২৫ গুণ বেশি শক্তি নির্গত করেছে। যেখানে সাধারণ একটি সুপারনোভা এক বছরে সূর্যের ১০ বিলিয়ন বছরের শক্তির সমান বিকিরণ করে, সেখানে Gaia18cjd মাত্র এক বছরে ১০০টি সূর্যের সমান শক্তি বিকিরণ করেছে।

এই মহাজাগতিক বিস্ফোরণের নতুন শ্রেণি সম্পর্কে আবিষ্কার আমাদের নক্ষত্র এবং কৃষ্ণগহ্বরের পারস্পরিক সম্পর্ক এবং মহাবিশ্বের শক্তি বিন্যাস সম্পর্কে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করবে।

সূত্র: এনডিটিভি