ঢাকা ০৩:২২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশ ইনোভেশন কনক্লেভের আয়োজনে এআই সামিট ও হ্যাকাথন

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:২৪:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ মে ২০২৫
  • / 6

ছবি: সংগৃহীত

 

বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের আয়োজনে ৮ মে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ এআই সামিট। আকিজ রিসোর্স ও মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক পিএলসির পৃষ্ঠপোষকতায় এবং ব্র্যাক বিজনেস স্কুলের সহযোগিতায় এই আয়োজনটি বাংলাদেশ ইনোভেশন কনক্লেভের একটি ফ্ল্যাগশিপ উদ্যোগ।

এই সম্মেলনটি দেশি ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়িক নেতৃবৃন্দ, প্রযুক্তি ও এআই বিশেষজ্ঞ, নীতিনির্ধারক এবং উদ্ভাবকদের একত্রিত করে। বিশেষজ্ঞরা এআই প্রযুক্তির ব্যবহার, তাদের অভিজ্ঞতা ও উদ্ভাবনের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন। এছাড়া, বিভিন্ন খাতে সহযোগিতা জোরদার এবং বাংলাদেশে এআই ট্যালেন্ট তৈরির সুযোগ নিয়েও আলোচনা হয়।

আয়োজকরা জানান, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এখন প্রযুক্তির সীমা ছাড়িয়ে আমাদের জীবনের প্রতিটি খাতে প্রভাব ফেলছে। শিল্প, কৃষি, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা ও প্রশাসন—সব ক্ষেত্রেই এআই নতুন সম্ভাবনা নিয়ে এসেছে। তবে, এর সচেতন ব্যবহার এবং সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করাও আমাদের দায়িত্ব। সামিটটি কেবল আলোচনা নয়, ভবিষ্যতের রূপরেখা তৈরির একটি চেষ্টা।

প্রধান অতিথি হিসেবে উদ্বোধন করেন শীষ হায়দার চৌধুরী, এনডিসি, সচিব, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ। তিনি বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সময়ের সবচেয়ে বড় রূপান্তরমূলক শক্তি। বাংলাদেশ এখন শুধু এআই গ্রহণ করতে চায় না, নেতৃত্বও দিতে প্রস্তুত। সরকার, শিল্প ও শিক্ষাব্যবস্থার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় প্রযুক্তির ব্যবহার সমান সুযোগের ভিত্তিতে নিশ্চিত করতে হবে।

সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি মেজর জেনারেল (অব.) মো. এমদাদ উল বারী, বিটিআরসির চেয়ারম্যান, বলেন, এই প্ল্যাটফর্মে বিভিন্ন খাতের বিশেষজ্ঞরা জ্ঞান বিনিময় করেছে এবং নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে। এআই বিশাল সুযোগ এবং গভীর চ্যালেঞ্জ উভয়ই নিয়ে এসেছে, এবং প্রযুক্তির ভবিষ্যৎ আমাদের আজকের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করে।

বাংলাদেশ এআই সামিটে ৪টি কিনোট সেশন, ২টি প্যানেল আলোচনা, ৫টি ইনসাইট সেশন, ২টি কেস স্টাডি ও ১টি ফায়ারসাইড চ্যাট অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৫টি ব্রেকআউট সেশনে বিশেষজ্ঞরা শিক্ষা, কৃষি, স্বাস্থ্য, ফিনটেক ও শিল্পখাতে এআই অন্তর্ভুক্তি নিয়ে আলোচনা করেন। আলোচনায় ভবিষ্যতের বাংলাদেশ গঠনে এআই-এর ভূমিকা, বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে এআই-এর অগ্রগতি এবং উদীয়মান অর্থনীতির করণীয় বিষয়গুলো উঠে এসেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ ইনোভেশন কনক্লেভের আয়োজনে এআই সামিট ও হ্যাকাথন

আপডেট সময় ০৪:২৪:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ মে ২০২৫

 

বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের আয়োজনে ৮ মে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ এআই সামিট। আকিজ রিসোর্স ও মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক পিএলসির পৃষ্ঠপোষকতায় এবং ব্র্যাক বিজনেস স্কুলের সহযোগিতায় এই আয়োজনটি বাংলাদেশ ইনোভেশন কনক্লেভের একটি ফ্ল্যাগশিপ উদ্যোগ।

এই সম্মেলনটি দেশি ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়িক নেতৃবৃন্দ, প্রযুক্তি ও এআই বিশেষজ্ঞ, নীতিনির্ধারক এবং উদ্ভাবকদের একত্রিত করে। বিশেষজ্ঞরা এআই প্রযুক্তির ব্যবহার, তাদের অভিজ্ঞতা ও উদ্ভাবনের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন। এছাড়া, বিভিন্ন খাতে সহযোগিতা জোরদার এবং বাংলাদেশে এআই ট্যালেন্ট তৈরির সুযোগ নিয়েও আলোচনা হয়।

আয়োজকরা জানান, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এখন প্রযুক্তির সীমা ছাড়িয়ে আমাদের জীবনের প্রতিটি খাতে প্রভাব ফেলছে। শিল্প, কৃষি, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা ও প্রশাসন—সব ক্ষেত্রেই এআই নতুন সম্ভাবনা নিয়ে এসেছে। তবে, এর সচেতন ব্যবহার এবং সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করাও আমাদের দায়িত্ব। সামিটটি কেবল আলোচনা নয়, ভবিষ্যতের রূপরেখা তৈরির একটি চেষ্টা।

প্রধান অতিথি হিসেবে উদ্বোধন করেন শীষ হায়দার চৌধুরী, এনডিসি, সচিব, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ। তিনি বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সময়ের সবচেয়ে বড় রূপান্তরমূলক শক্তি। বাংলাদেশ এখন শুধু এআই গ্রহণ করতে চায় না, নেতৃত্বও দিতে প্রস্তুত। সরকার, শিল্প ও শিক্ষাব্যবস্থার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় প্রযুক্তির ব্যবহার সমান সুযোগের ভিত্তিতে নিশ্চিত করতে হবে।

সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি মেজর জেনারেল (অব.) মো. এমদাদ উল বারী, বিটিআরসির চেয়ারম্যান, বলেন, এই প্ল্যাটফর্মে বিভিন্ন খাতের বিশেষজ্ঞরা জ্ঞান বিনিময় করেছে এবং নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে। এআই বিশাল সুযোগ এবং গভীর চ্যালেঞ্জ উভয়ই নিয়ে এসেছে, এবং প্রযুক্তির ভবিষ্যৎ আমাদের আজকের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করে।

বাংলাদেশ এআই সামিটে ৪টি কিনোট সেশন, ২টি প্যানেল আলোচনা, ৫টি ইনসাইট সেশন, ২টি কেস স্টাডি ও ১টি ফায়ারসাইড চ্যাট অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৫টি ব্রেকআউট সেশনে বিশেষজ্ঞরা শিক্ষা, কৃষি, স্বাস্থ্য, ফিনটেক ও শিল্পখাতে এআই অন্তর্ভুক্তি নিয়ে আলোচনা করেন। আলোচনায় ভবিষ্যতের বাংলাদেশ গঠনে এআই-এর ভূমিকা, বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে এআই-এর অগ্রগতি এবং উদীয়মান অর্থনীতির করণীয় বিষয়গুলো উঠে এসেছে।