ঢাকা ০৭:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ অগাস্ট ২০২৫, ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

স্বাদের রাজ্যে এক নাম ‘চুনিলালের রাজভোগ’: সরাইলের মিষ্টি বিস্ময়ের গল্প।

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৬:১৬:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ অগাস্ট ২০২৫
  • / 4

ছবি সংগৃহীত

 

সরাইল উপজেলার একটি জনপ্রিয় বাজার অরুয়াইল। এখানেই জন্ম নিয়েছে এক মিষ্টি বিস্ময় ‘চুনিলালের রাজভোগ’। নামটি শুনলেই মনে হতে পারে, এটি কোনো রাজকীয় খাবার, হয়তো কোনো দামী হোটেলে পাওয়া যায়। কিন্তু না, এ রাজভোগের রাজত্ব শুরু হয়েছে সরাইলের একান্ত ঘরোয়া পরিবেশ থেকে। নামেই রাজভোগ, কিন্তু স্বাদে ও গুণে তা সত্যিই রাজকীয়। অনেকেই বলেন, মুখে দিলেই গলে যায়, যেন তুলতুলে দুধের ছানায় তৈরি এক পরম তৃপ্তি। চুনিলাল, যাঁর প্রকৃত নাম সুনিল মল্লিক, পেশায় একজন মিষ্টি কারিগর। গত ৩০ বছর ধরে তিনি তৈরি করে আসছেন এই মিষ্টি। তাঁর বয়স এখন ৬৮ বছর, কিন্তু হাতে এখনো সেই পুরনো অভিজ্ঞতার ছোঁয়া। অরুয়াইল বাজারের দক্ষিণ প্রান্তে তাঁর ছোট্ট দোকান, যেখানে শুধু একটি মিষ্টিই তৈরি হয়, রাজভোগ। কোনো সন্দেহ নেই, এই একমাত্র পণ্যে গড়ে উঠেছে এমন একখানা স্বাদজগত, যার খ্যাতি দেশের সীমানা ছাড়িয়ে পৌঁছে গেছে প্রবাসেও।

প্রতিটি রাজভোগের দাম ৫০ টাকা। মিষ্টিটির ওজন প্রায় ১৫০ গ্রাম। এমন আয়তনের মিষ্টি এক পিস খেলেই এক কাপ চায়ের আনন্দ দ্বিগুণ হয়। তৈরি হয় গরুর খাঁটি দুধের ছানায়, যার ৯৯ ভাগ অংশই ছানা এবং মাত্র এক ভাগ ময়দা। এই সামান্য ময়দা ব্যবহার করা হয় শুধু মিষ্টিটিকে একটু ফোলানোর জন্য। এই অনুপাতে প্রস্তুত হওয়ায় রাজভোগ থাকে একেবারে ভেজালমুক্ত এবংচুনিলাল নরম তুলতুলে। মুখে দিলে যেন গলে যায়, এমনটাই বলেন আগত ক্রেতারা। রাজভোগের এমন মান ধরে রাখতে গিয়ে ব্যবসার মুনাফা একটু কম হয় বটে, তবে চুনিলাল কিংবা তাঁর ছেলে গোপাল মল্লিক তাতে সন্তুষ্ট। তাঁরা চান মানুষ ভালো মিষ্টি খাক, মনে রাখুক স্বাদটুকু। গোপাল বলেন, “বেশি বানাতে চাইলে পারতাম, তবে স্বাদটা আর হতো না আগের মতো। আমরা চাই না কেউ খেয়ে বলুক, আগের মতো হলো না।” চুনিলালের রাজভোগে কোনো রকম অতিরিক্ত রং, স্বাদবর্ধক বা রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করা হয় না। প্রতিটি রাজভোগ তৈরি হয় খাঁটি দুধ থেকে ছানা বানিয়ে, চোখের সামনে প্রস্তুতির সকল ধাপ চলে। মানুষ তাই ভরসা করে খেতে আসে দূরদূরান্ত থেকে।

চুনিলালের রাজভোগ এখন শুধুই সরাইলের গণ্ডিতে সীমাবদ্ধ নেই। ঢাকাসহ দেশের নানা জায়গায় মানুষ এটি খুঁজে বেড়ায়। কেউ বাড়িতে নিয়ে যান, কেউবা আবার প্রবাসী আত্মীয়-স্বজনের জন্য প্যাকেট করে পাঠান বিদেশে। সহজ উপায়ে প্রিজারভেটিভ ছাড়া সংরক্ষণের ব্যবস্থা থাকায় রাজভোগ সহজেই কয়েকদিন ভালো থাকে, এ কারণেই অনেকে একসঙ্গে অনেক পিস নিয়ে যান।
এত খ্যাতির পেছনে রয়েছে কঠিন পরিশ্রম, অধ্যবসায় এবং সততার গল্প। ১৯৮৮ সালে চুনিলাল প্রথম দোকান দেন অরুয়াইল বাজারে। তখন তা ছিল একটি সাধারণ চায়ের দোকান। বিক্রি করতেন চা, পুরি, সিঙ্গারা। ধীরে ধীরে সেই দোকানেই এক সময় শুরু হয় মিষ্টি তৈরির উদ্যোগ। প্রথমে বাড়িতে তৈরি করে আনতেন, পরে দোকানেই তৈরি শুরু করেন। তখন থেকেই রাজভোগ তাঁর প্রধান সৃষ্টি। শুরু করেছিলেন মাত্র পাঁচ টাকায় বিক্রি করে। আজ তা দাঁড়িয়েছে ৫০ টাকায়, কিন্তু সেই স্বাদে এখনো একটুও পরিবর্তন আসেনি। এই ৫০ টাকার রাজভোগ তৈরিতে খরচ পড়ে ৪০-৪২ টাকা। লাভ থাকে সীমিত, কিন্তু আনন্দ থাকে অপরিসীম। চুনিলাল বলেন, “মানুষ যখন এসে বলে, ভাই, মিষ্টিটা দারুণ লাগছে, এই কথাগুলোর দাম টাকায় মাপা যায় না।”

চুনিলাল যাঁর কাছ থেকে রাজভোগ তৈরির কৌশল শিখেছেন, তিনি ছিলেন নাসিরনগরের গৌরাঙ্গ রায়। তাঁর কাছ থেকে দুধের ছানা বানানো, সেদ্ধ করার সময়, চিনির অনুপাত, সবকিছু শিখেছেন। আজ সেই শিক্ষারই ফল তিনি নিজে এবং তাঁর পরিবার ভোগ করছেন সম্মান, সুনাম ও সন্তুষ্টির মাধ্যমে। আজ সরাইলের মানুষ গর্ব করে বলেন “আমাদের এলাকায় চুনিলাল আছেন, যিনি শুধু মিষ্টি বিক্রি করেন না, বিক্রি করেন ঐতিহ্য, স্বাদ ও সততার প্রতীক।”
বর্তমানে প্রতিদিন প্রায় ৪০০ পিস রাজভোগ তৈরি হয়। চাহিদা এত বেশি যে, অনেক সময় আগেই সব বিক্রি হয়ে যায়। দোকান ছোট হলেও কাস্টমার বড়। এই দুই রুমের দোকানের একটিতে রাজভোগ তৈরি হয়, আরেকটিতে ক্রয়-বিক্রয় চলে। গোপাল ও চুনিলাল মিলেই সামাল দেন পুরো কাজ। বিশেষ কোনো দিবস কিংবা উৎসবের সময় অর্ডার পড়ে দ্বিগুণেরও বেশি। তখন রাত-দিন কাজ করেও হয়রান হয়ে যান তারা, কিন্তু মুখে থাকে এক ধরনের শান্তির হাসি।

চুনিলালের রাজভোগ এখন স্থানীয় জনগণের জন্য শুধুই একটি মিষ্টি নয়, এটি এক ধরণের আবেগ, স্মৃতি, পরিচয়ের উৎস। যারা একবার খেয়েছেন, তাদের কাছে এটি রয়ে গেছে স্বাদের স্মৃতিতে। যারা এখনো খাননি, তাঁরা রাজভোগ খাওয়ার পরিকল্পনা করছেন অনেক আগেভাগেই।চুনিলালের রাজভোগ শুধু একটি খাবার নয়, এটি বাংলাদেশের একটি অঞ্চলভিত্তিক সাংস্কৃতিক প্রতিনিধিত্ব। সরাইলের মানুষ আজ গর্ব করতে পারেন, তাদের অঞ্চলের একটি ছোট্ট দোকান, একটি পরিবার, আর একটি নাম, যা শুধু স্বাদের জন্য নয়, সততার প্রতীক হিসেবেও এখন পরিচিত। এই গল্পের শেষ নেই। যতদিন মানুষ ভালো খাবারের স্বাদ মনে রাখবে, ততদিন বেঁচে থাকবে চুনিলালের রাজভোগ। এক রাজভোগেই লেখা হচ্ছে এক রাজকীয় গল্প, যেখানে রয়েছে মিষ্টির, মানুষের এবং মাটির।

@ একদিন সন্ধ্যায় সপরিবারে অরুয়াইল গিয়েছিলাম এই মিষ্টি খেতে, মিষ্টির স্বাদটা এখনো লেগে আছে…

@ একজন ক্রেতা, যিনি এসেছেন হবিগঞ্জের মাধবপুর থেকে, জানালেন, “শুনেছি বহুবার, আজ এলাম খেতে।
সত্যিই অতুলনীয় স্বাদ।”

@ একজন বলেছেন, “স্ত্রী ও বাচ্চাকে নিয়ে এসেছি রাজভোগ খাওয়াতে। মিষ্টির কথা এত শুনেছি যে আর বসে থাকতে পারলাম না।”

নিউজটি শেয়ার করুন

স্বাদের রাজ্যে এক নাম ‘চুনিলালের রাজভোগ’: সরাইলের মিষ্টি বিস্ময়ের গল্প।

আপডেট সময় ০৬:১৬:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ অগাস্ট ২০২৫

 

সরাইল উপজেলার একটি জনপ্রিয় বাজার অরুয়াইল। এখানেই জন্ম নিয়েছে এক মিষ্টি বিস্ময় ‘চুনিলালের রাজভোগ’। নামটি শুনলেই মনে হতে পারে, এটি কোনো রাজকীয় খাবার, হয়তো কোনো দামী হোটেলে পাওয়া যায়। কিন্তু না, এ রাজভোগের রাজত্ব শুরু হয়েছে সরাইলের একান্ত ঘরোয়া পরিবেশ থেকে। নামেই রাজভোগ, কিন্তু স্বাদে ও গুণে তা সত্যিই রাজকীয়। অনেকেই বলেন, মুখে দিলেই গলে যায়, যেন তুলতুলে দুধের ছানায় তৈরি এক পরম তৃপ্তি। চুনিলাল, যাঁর প্রকৃত নাম সুনিল মল্লিক, পেশায় একজন মিষ্টি কারিগর। গত ৩০ বছর ধরে তিনি তৈরি করে আসছেন এই মিষ্টি। তাঁর বয়স এখন ৬৮ বছর, কিন্তু হাতে এখনো সেই পুরনো অভিজ্ঞতার ছোঁয়া। অরুয়াইল বাজারের দক্ষিণ প্রান্তে তাঁর ছোট্ট দোকান, যেখানে শুধু একটি মিষ্টিই তৈরি হয়, রাজভোগ। কোনো সন্দেহ নেই, এই একমাত্র পণ্যে গড়ে উঠেছে এমন একখানা স্বাদজগত, যার খ্যাতি দেশের সীমানা ছাড়িয়ে পৌঁছে গেছে প্রবাসেও।

প্রতিটি রাজভোগের দাম ৫০ টাকা। মিষ্টিটির ওজন প্রায় ১৫০ গ্রাম। এমন আয়তনের মিষ্টি এক পিস খেলেই এক কাপ চায়ের আনন্দ দ্বিগুণ হয়। তৈরি হয় গরুর খাঁটি দুধের ছানায়, যার ৯৯ ভাগ অংশই ছানা এবং মাত্র এক ভাগ ময়দা। এই সামান্য ময়দা ব্যবহার করা হয় শুধু মিষ্টিটিকে একটু ফোলানোর জন্য। এই অনুপাতে প্রস্তুত হওয়ায় রাজভোগ থাকে একেবারে ভেজালমুক্ত এবংচুনিলাল নরম তুলতুলে। মুখে দিলে যেন গলে যায়, এমনটাই বলেন আগত ক্রেতারা। রাজভোগের এমন মান ধরে রাখতে গিয়ে ব্যবসার মুনাফা একটু কম হয় বটে, তবে চুনিলাল কিংবা তাঁর ছেলে গোপাল মল্লিক তাতে সন্তুষ্ট। তাঁরা চান মানুষ ভালো মিষ্টি খাক, মনে রাখুক স্বাদটুকু। গোপাল বলেন, “বেশি বানাতে চাইলে পারতাম, তবে স্বাদটা আর হতো না আগের মতো। আমরা চাই না কেউ খেয়ে বলুক, আগের মতো হলো না।” চুনিলালের রাজভোগে কোনো রকম অতিরিক্ত রং, স্বাদবর্ধক বা রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করা হয় না। প্রতিটি রাজভোগ তৈরি হয় খাঁটি দুধ থেকে ছানা বানিয়ে, চোখের সামনে প্রস্তুতির সকল ধাপ চলে। মানুষ তাই ভরসা করে খেতে আসে দূরদূরান্ত থেকে।

চুনিলালের রাজভোগ এখন শুধুই সরাইলের গণ্ডিতে সীমাবদ্ধ নেই। ঢাকাসহ দেশের নানা জায়গায় মানুষ এটি খুঁজে বেড়ায়। কেউ বাড়িতে নিয়ে যান, কেউবা আবার প্রবাসী আত্মীয়-স্বজনের জন্য প্যাকেট করে পাঠান বিদেশে। সহজ উপায়ে প্রিজারভেটিভ ছাড়া সংরক্ষণের ব্যবস্থা থাকায় রাজভোগ সহজেই কয়েকদিন ভালো থাকে, এ কারণেই অনেকে একসঙ্গে অনেক পিস নিয়ে যান।
এত খ্যাতির পেছনে রয়েছে কঠিন পরিশ্রম, অধ্যবসায় এবং সততার গল্প। ১৯৮৮ সালে চুনিলাল প্রথম দোকান দেন অরুয়াইল বাজারে। তখন তা ছিল একটি সাধারণ চায়ের দোকান। বিক্রি করতেন চা, পুরি, সিঙ্গারা। ধীরে ধীরে সেই দোকানেই এক সময় শুরু হয় মিষ্টি তৈরির উদ্যোগ। প্রথমে বাড়িতে তৈরি করে আনতেন, পরে দোকানেই তৈরি শুরু করেন। তখন থেকেই রাজভোগ তাঁর প্রধান সৃষ্টি। শুরু করেছিলেন মাত্র পাঁচ টাকায় বিক্রি করে। আজ তা দাঁড়িয়েছে ৫০ টাকায়, কিন্তু সেই স্বাদে এখনো একটুও পরিবর্তন আসেনি। এই ৫০ টাকার রাজভোগ তৈরিতে খরচ পড়ে ৪০-৪২ টাকা। লাভ থাকে সীমিত, কিন্তু আনন্দ থাকে অপরিসীম। চুনিলাল বলেন, “মানুষ যখন এসে বলে, ভাই, মিষ্টিটা দারুণ লাগছে, এই কথাগুলোর দাম টাকায় মাপা যায় না।”

চুনিলাল যাঁর কাছ থেকে রাজভোগ তৈরির কৌশল শিখেছেন, তিনি ছিলেন নাসিরনগরের গৌরাঙ্গ রায়। তাঁর কাছ থেকে দুধের ছানা বানানো, সেদ্ধ করার সময়, চিনির অনুপাত, সবকিছু শিখেছেন। আজ সেই শিক্ষারই ফল তিনি নিজে এবং তাঁর পরিবার ভোগ করছেন সম্মান, সুনাম ও সন্তুষ্টির মাধ্যমে। আজ সরাইলের মানুষ গর্ব করে বলেন “আমাদের এলাকায় চুনিলাল আছেন, যিনি শুধু মিষ্টি বিক্রি করেন না, বিক্রি করেন ঐতিহ্য, স্বাদ ও সততার প্রতীক।”
বর্তমানে প্রতিদিন প্রায় ৪০০ পিস রাজভোগ তৈরি হয়। চাহিদা এত বেশি যে, অনেক সময় আগেই সব বিক্রি হয়ে যায়। দোকান ছোট হলেও কাস্টমার বড়। এই দুই রুমের দোকানের একটিতে রাজভোগ তৈরি হয়, আরেকটিতে ক্রয়-বিক্রয় চলে। গোপাল ও চুনিলাল মিলেই সামাল দেন পুরো কাজ। বিশেষ কোনো দিবস কিংবা উৎসবের সময় অর্ডার পড়ে দ্বিগুণেরও বেশি। তখন রাত-দিন কাজ করেও হয়রান হয়ে যান তারা, কিন্তু মুখে থাকে এক ধরনের শান্তির হাসি।

চুনিলালের রাজভোগ এখন স্থানীয় জনগণের জন্য শুধুই একটি মিষ্টি নয়, এটি এক ধরণের আবেগ, স্মৃতি, পরিচয়ের উৎস। যারা একবার খেয়েছেন, তাদের কাছে এটি রয়ে গেছে স্বাদের স্মৃতিতে। যারা এখনো খাননি, তাঁরা রাজভোগ খাওয়ার পরিকল্পনা করছেন অনেক আগেভাগেই।চুনিলালের রাজভোগ শুধু একটি খাবার নয়, এটি বাংলাদেশের একটি অঞ্চলভিত্তিক সাংস্কৃতিক প্রতিনিধিত্ব। সরাইলের মানুষ আজ গর্ব করতে পারেন, তাদের অঞ্চলের একটি ছোট্ট দোকান, একটি পরিবার, আর একটি নাম, যা শুধু স্বাদের জন্য নয়, সততার প্রতীক হিসেবেও এখন পরিচিত। এই গল্পের শেষ নেই। যতদিন মানুষ ভালো খাবারের স্বাদ মনে রাখবে, ততদিন বেঁচে থাকবে চুনিলালের রাজভোগ। এক রাজভোগেই লেখা হচ্ছে এক রাজকীয় গল্প, যেখানে রয়েছে মিষ্টির, মানুষের এবং মাটির।

@ একদিন সন্ধ্যায় সপরিবারে অরুয়াইল গিয়েছিলাম এই মিষ্টি খেতে, মিষ্টির স্বাদটা এখনো লেগে আছে…

@ একজন ক্রেতা, যিনি এসেছেন হবিগঞ্জের মাধবপুর থেকে, জানালেন, “শুনেছি বহুবার, আজ এলাম খেতে।
সত্যিই অতুলনীয় স্বাদ।”

@ একজন বলেছেন, “স্ত্রী ও বাচ্চাকে নিয়ে এসেছি রাজভোগ খাওয়াতে। মিষ্টির কথা এত শুনেছি যে আর বসে থাকতে পারলাম না।”