ঢাকা ০৩:২১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৪ জুন ২০২৫, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আইপিএলের ফাইনালে মুখোমুখি বেঙ্গালুরু ও পাঞ্জাব, জয়ের খোঁজে দুই দলই প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করলেন জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী পরিবহনে ডাকাতি এড়াতে স্টপেজ থেকেই যাত্রীদের ছবি তুলতে হবে- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সচিবালয়ের সংকট সমাধানে উপদেষ্টা পর্যায়ের উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন হচ্ছে: আইন উপদেষ্টা পুশ-ইন ইস্যুতে ভারতকে আবারও চিঠি দেবে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ১২০০ বস্তা চাল “গুজব”: প্রতিক্রিয়া জানালেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সেপ্টেম্বরে মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশে নামবে: গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর কর্ণফুলী নদীতে ফিশিং ভেসেল থেকে পড়ে ২ নাবিকের মর্মান্তিক মৃত্যু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের ২০০ একর জমি হস্তান্তর সম্পন্ন হত্যাসহ ৫ মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন আবেদন আবারও নামঞ্জুর

পাহাড় ধসের আশঙ্কায় বান্দরবানে ৬০টি রিসোর্ট বন্ধ, খোলা হয়েছে আশ্রয়কেন্দ্র

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:৩৮:০৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২ জুন ২০২৫
  • / 2

ছবি সংগৃহীত

 

 

বান্দরবানের লামা উপজেলায় পাহাড় ধসের আশঙ্কায় সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে অন্তত ৬০টি পর্যটন রিসোর্ট। রোববার (১ জুন) দুপুরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত এক জরুরি সভা শেষে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান লামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মইন উদ্দিন।

তিনি বলেন, “উপজেলার মিরিঞ্জা রেঞ্জ এবং শুখিয়া দুখিয়া ভ্যালিসহ অধিকাংশ পর্যটনকেন্দ্র পাহাড়ের ওপর অবস্থিত। টানা ভারী বর্ষণের কারণে পাহাড় ধসের আশঙ্কা রয়েছে। এ অবস্থায় পর্যটকদের নিরাপত্তা বিবেচনায় রিসোর্টগুলো সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।”

উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আবহাওয়া অফিস আরও কয়েকদিন বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকার পূর্বাভাস দিয়েছে। বর্ষণ বন্ধ হলে এবং পাহাড় ধসের শঙ্কা কেটে গেলে পর্যটনকেন্দ্র ও রিসোর্টগুলো আবারও খুলে দেওয়া হবে।

বান্দরবান আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সনাতন কুমার মণ্ডল জানিয়েছেন, রোববার বিকেল ৩টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় জেলার বিভিন্ন স্থানে ৮৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

অপরদিকে, ভারী বর্ষণে সাঙ্গু, মাতামুহুরী ও বাকখালী নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। যদিও এখনো বিপদসীমার ৭ থেকে ১০ ফুট নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে, তবুও জেলার নিম্নাঞ্চলগুলোতে প্লাবনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশারী এলাকায় বাকখালী নদীর পানি ঢুকে পড়ায় কিছু অংশ প্লাবিত হয়েছে।

জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি জানান, দুর্যোগ মোকাবিলায় জেলার সাতটি উপজেলায় ২২০টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, স্বাস্থ্য বিভাগ, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও বিভিন্ন এনজিও একত্রে দুর্যোগকালীন জরুরি সেবা কমিটি গঠন করেছে।

তিনি আরও জানান, পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারী পরিবারগুলোকে সরিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে নিতে মাইকিংসহ সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।

জরুরি পরিস্থিতি বিবেচনায় স্থানীয়দের সচেতন ও সতর্ক থাকতে অনুরোধ করেছে জেলা প্রশাসন। পর্যটকদের সাময়িক দুর্ভোগ মেনে চলার আহ্বানও জানানো হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

পাহাড় ধসের আশঙ্কায় বান্দরবানে ৬০টি রিসোর্ট বন্ধ, খোলা হয়েছে আশ্রয়কেন্দ্র

আপডেট সময় ১১:৩৮:০৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২ জুন ২০২৫

 

 

বান্দরবানের লামা উপজেলায় পাহাড় ধসের আশঙ্কায় সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে অন্তত ৬০টি পর্যটন রিসোর্ট। রোববার (১ জুন) দুপুরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত এক জরুরি সভা শেষে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান লামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মইন উদ্দিন।

তিনি বলেন, “উপজেলার মিরিঞ্জা রেঞ্জ এবং শুখিয়া দুখিয়া ভ্যালিসহ অধিকাংশ পর্যটনকেন্দ্র পাহাড়ের ওপর অবস্থিত। টানা ভারী বর্ষণের কারণে পাহাড় ধসের আশঙ্কা রয়েছে। এ অবস্থায় পর্যটকদের নিরাপত্তা বিবেচনায় রিসোর্টগুলো সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।”

উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আবহাওয়া অফিস আরও কয়েকদিন বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকার পূর্বাভাস দিয়েছে। বর্ষণ বন্ধ হলে এবং পাহাড় ধসের শঙ্কা কেটে গেলে পর্যটনকেন্দ্র ও রিসোর্টগুলো আবারও খুলে দেওয়া হবে।

বান্দরবান আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সনাতন কুমার মণ্ডল জানিয়েছেন, রোববার বিকেল ৩টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় জেলার বিভিন্ন স্থানে ৮৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

অপরদিকে, ভারী বর্ষণে সাঙ্গু, মাতামুহুরী ও বাকখালী নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। যদিও এখনো বিপদসীমার ৭ থেকে ১০ ফুট নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে, তবুও জেলার নিম্নাঞ্চলগুলোতে প্লাবনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশারী এলাকায় বাকখালী নদীর পানি ঢুকে পড়ায় কিছু অংশ প্লাবিত হয়েছে।

জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি জানান, দুর্যোগ মোকাবিলায় জেলার সাতটি উপজেলায় ২২০টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, স্বাস্থ্য বিভাগ, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও বিভিন্ন এনজিও একত্রে দুর্যোগকালীন জরুরি সেবা কমিটি গঠন করেছে।

তিনি আরও জানান, পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারী পরিবারগুলোকে সরিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে নিতে মাইকিংসহ সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।

জরুরি পরিস্থিতি বিবেচনায় স্থানীয়দের সচেতন ও সতর্ক থাকতে অনুরোধ করেছে জেলা প্রশাসন। পর্যটকদের সাময়িক দুর্ভোগ মেনে চলার আহ্বানও জানানো হয়েছে।