০১:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
মোহাম্মদপুরে মা–মেয়েকে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হচ্ছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ঢাকা-১১ আসনে নির্বাচন করবেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম থাই–কাম্বোডিয়া সীমান্তে পুনরায় উত্তেজনা: অস্ত্রবিরতি ভেঙে বিমান হামলা, নিহত ১ সৈন্য ইসির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধি দল জার্মান সেনাবাহিনী বাড়ছে: ২০৩৫ সালের মধ্যে ২,৬০,০০০ সক্রিয় সদস্যের লক্ষ্য অনুমোদন মধ্যপ্রাচ্যের কঠিনতম পানি প্রকল্প সম্পন্ন করল ইরান ফিনল্যান্ডে ডাটা সেন্টারের নির্গত  তাপে গরম হচ্ছে পুরো শহর চীন কোয়ান্টাম কম্পিউটারে সফলতা পেলে যুক্তরাষ্ট্রকে এক নিমেষে প্রস্তরযুগে পাঠিয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্রের F-35 যুদ্ধবিমান প্রকল্পে ফিরে আসার বিষয়ে আরো একধাপ এগিয়ে গেল তুরস্ক: এমনটাই জানিয়েছেন তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাক।

শান্তিপূর্ণ পরিবেশে মহা অষ্টমী ও পুণ্যস্নান উদযাপন, নিরাপত্তায় সেনাবাহিনী তৎপর

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:২২:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৫
  • / 78

ছবি সংগৃহীত

 

 

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব মহা অষ্টমী, বাসন্তী পূজা ও পুণ্যস্নান দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অত্যন্ত শ্রদ্ধা, উৎসবমুখর পরিবেশ এবং ধর্মীয় ভাবগম্ভীরতায় পালিত হচ্ছে। লাখো পুণ্যার্থী এসব অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে ধর্মীয় দায়িত্ব পালন করছেন।

বিজ্ঞাপন

বিশেষ করে নারায়ণগঞ্জের ঐতিহাসিক লাঙ্গলবন্দ এলাকায় এবং ব্রহ্মপুত্র নদ তীরে দুই দিনব্যাপী পুণ্যস্নানে দেশ-বিদেশ থেকে আগত ভক্তদের ঢল নামে। মধ্যরাত থেকে শুরু হওয়া এই উৎসব ঘিরে ১৯টি ঘাটে চলে পুণ্যস্নান, যেখানে অংশ নিচ্ছেন ভারত, শ্রীলংকা ও নেপালসহ বিভিন্ন দেশের হাজার হাজার পুণ্যার্থী।

কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদেও পবিত্র অষ্টমী স্নান ঘিরে লক্ষাধিক পুণ্যার্থী সমবেত হয়েছেন। এইসব স্থানে শুরু থেকেই কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। তারা শুধু টহলই নয়, যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক কন্ট্রোল পোস্ট ও চেকপোস্ট বসিয়ে সহযোগিতা করে চলেছেন।

আইএসপিআরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ধর্মীয় অনুভূতিকে সম্মান জানিয়ে সেনাবাহিনী সার্বক্ষণিক সশস্ত্র টহল ও নজরদারি বজায় রেখেছে। গুরুত্বপূর্ণ পূজামণ্ডপ, স্নানঘাট ও ধর্মীয় উপাসনালয়গুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা একযোগে কাজ করছেন।

এদিকে, শনিবার চট্টগ্রাম, কক্সবাজারের রামু, বরিশালের গৌরনদী, টাঙ্গাইলের নাগরপুর ও ভুঞাপুর, কুমিল্লা, চাঁদপুর এবং রাজধানীর রায়ের বাজার দুর্গা মন্দিরে মহা অষ্টমী ও বাসন্তী পূজা উপলক্ষে ভক্তদের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। ঝালকাঠির কোনাবাড়ি ঠাকুরবাড়ি মন্দিরেও পালিত হয় শ্যামা পূজা।

সব মিলিয়ে দেশজুড়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের এই ধর্মীয় উৎসব শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হয়েছে, যা ধর্মীয় সম্প্রীতির একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

শান্তিপূর্ণ পরিবেশে মহা অষ্টমী ও পুণ্যস্নান উদযাপন, নিরাপত্তায় সেনাবাহিনী তৎপর

আপডেট সময় ০১:২২:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৫

 

 

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব মহা অষ্টমী, বাসন্তী পূজা ও পুণ্যস্নান দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অত্যন্ত শ্রদ্ধা, উৎসবমুখর পরিবেশ এবং ধর্মীয় ভাবগম্ভীরতায় পালিত হচ্ছে। লাখো পুণ্যার্থী এসব অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে ধর্মীয় দায়িত্ব পালন করছেন।

বিজ্ঞাপন

বিশেষ করে নারায়ণগঞ্জের ঐতিহাসিক লাঙ্গলবন্দ এলাকায় এবং ব্রহ্মপুত্র নদ তীরে দুই দিনব্যাপী পুণ্যস্নানে দেশ-বিদেশ থেকে আগত ভক্তদের ঢল নামে। মধ্যরাত থেকে শুরু হওয়া এই উৎসব ঘিরে ১৯টি ঘাটে চলে পুণ্যস্নান, যেখানে অংশ নিচ্ছেন ভারত, শ্রীলংকা ও নেপালসহ বিভিন্ন দেশের হাজার হাজার পুণ্যার্থী।

কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদেও পবিত্র অষ্টমী স্নান ঘিরে লক্ষাধিক পুণ্যার্থী সমবেত হয়েছেন। এইসব স্থানে শুরু থেকেই কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। তারা শুধু টহলই নয়, যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক কন্ট্রোল পোস্ট ও চেকপোস্ট বসিয়ে সহযোগিতা করে চলেছেন।

আইএসপিআরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ধর্মীয় অনুভূতিকে সম্মান জানিয়ে সেনাবাহিনী সার্বক্ষণিক সশস্ত্র টহল ও নজরদারি বজায় রেখেছে। গুরুত্বপূর্ণ পূজামণ্ডপ, স্নানঘাট ও ধর্মীয় উপাসনালয়গুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা একযোগে কাজ করছেন।

এদিকে, শনিবার চট্টগ্রাম, কক্সবাজারের রামু, বরিশালের গৌরনদী, টাঙ্গাইলের নাগরপুর ও ভুঞাপুর, কুমিল্লা, চাঁদপুর এবং রাজধানীর রায়ের বাজার দুর্গা মন্দিরে মহা অষ্টমী ও বাসন্তী পূজা উপলক্ষে ভক্তদের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। ঝালকাঠির কোনাবাড়ি ঠাকুরবাড়ি মন্দিরেও পালিত হয় শ্যামা পূজা।

সব মিলিয়ে দেশজুড়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের এই ধর্মীয় উৎসব শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হয়েছে, যা ধর্মীয় সম্প্রীতির একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।